মানুষ বদলায়, কারণে অকারণে বদলায় বদলাতে হয়,
মানুষ রেগে যায়, কারণে অকারণে রেগে যায়, রাগতে হয়।
মানুষ যখন বেশি রেগে যায় তখন রাগ প্রকাশের ভিন্নতা থাকলেও এর আওতা পরিধিতে তেমন পার্থক্য থাকে না,
গরু রেগে গেলে হয় শিং দিয়ে ঢু মারে নয়ত পায়ের কেরামতি দিয়ে নিউটনের সুত্রের বাস্তবতা প্রমাণ করে,
বাঘ রেগে গেলে থাবা বসিয়ে দেয়...
মুরগী ঠোকর মারে নয়ত বড়জোর নখ দিয়ে আঁচড় কাটে।
সব মাখলুকাতই বুঝিয়ে দিতে পারে রাগের মাত্রা টা।
আসা যাক আসল কথায়...
বাস্তব পরিস্থিতি, ঘটে যাওয়া নিয়ম অনিয়ম, নানাবিধ ইস্যু নিয়ে কমবেশি সবাই যে যার মতো মত প্রকাশ করে।। ভালো কে অভিনন্দন জানায়, সাদরে গ্রহন করে। আর দুর্নীতি, অনিয়ম ইত্যাদি রুখতে রাগ প্রকাশ করে।
এই রাগ সামাজিক। কোন জিনিস ভেংগে ফেলা নাহ, কার কলার ধরে নাকে হস্ত চালান নাহ, নিজ নিজ যায়গা থেকে প্রতিবাদ জানানো। নিন্দা জানানো, যার যতটুকু করার সাধ্য ততটুকু...
আমাদের কোন ফিল্ড নেই... যেখানে কথা বললে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশুতোষ সুদৃষ্টি পড়বে।
ইত্যাদির একটা প্লাটফর্ম আছে। চিঠিপত্র পড়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আর আমরা ...
অনেকেই অনেক ইস্যু নিয়েই ফেসবুকে লেখালেখি করি।
আবার অনেকেই আছে অনেক বড় মাপের লেখক, সেলিব্রিটি, পারসোনালিটি, টকশো তে অনেকেই ঝড় তুলে। আর তারা যদি আমাদের মত শুধু ফেসবুকে লিখে ওয়াল ভরিয়ে দেয় তবে এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়...
বাঘ রেগে গেলে থাবা না বসিয়ে যদি গরুর মত লাথি দেয় ঠিক তেমনটা হাস্যকর।
আজ আমাদের দেশের আর্থিক নিরাপত্তা নেই...
ব্যাংক লোপাট হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে...
সমস্যা নাই.. হোক... এমন মন্তব্য করা মানুষের অভাব নেই আশেপাশে।
হয়ত আমার মত আপনারও বাংক হিসাব নাই...
কিন্তু ভাবুনতো যদি আপনার আমার হত!!!!! আমরা তো রাষ্ট্রের সম্পদকে নিজের ভাবতে শিখি নি... যদি ভাবতাম তবে হয়তো যে যার জায়গা হতে আওয়াজ তুলতাম...
দেশটা আমার... আপনার... সকলের।।
জাস্ট নিরাপত্তা চাই!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৫২