পত্রিকা খুল্লেই প্রতিদিন তিন-চারটা ধর্ষনের নিউজ চোখে পড়বে। এমন কেউ কি বলতে পারবেন আমাদের দেশ থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকায় একটা দিন বাদ্গেছে যে পত্রিকায় ধর্ষনের নিউজ ছাপা হয় নাই। আর যে সব ধর্ষনের ঘটনা প্রকাশ পায় ওগুলায় নিউজ হয় বাকিগুলা অন্তরালেই থেকেযায়। তার মানে বাংলাদেশে প্রতিদিনিই কোথাও না কোথাও ধর্ষনের মত নেক্কারজনক ঘটনা ঘটছে!
বিশ্বে সবচে বেশি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে ভারতে তার পরে আছে পশ্চিমা দেশগুলোতে,সবচে কম আরব দেশগুলোতে এবং পর্যায়ক্রমে মুসলিম প্রধান দেশে। ভারতের ধর্ষণের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন দেশটির বিখ্যাত লেখিকা রাধা কুমার
১. ক্রোধের বহি:প্রকাশ
২. ক্ষমতার অপচর্চা
৩. সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
৪. মাদকাসক্তি
৫. দু:খের বহি:প্রকাশ
৬. পূর্ব পরিকল্পনা
৭. মানসিক বিকৃতি
৮. পরিবারের অসহযোগিতা
৯. শৈশবের স্মৃতি
১০. দারিদ্রতা
উনি এতগুলো কারন ব্যাখ্যা করলেন কিন্তু পারিবারিক বা ধর্মীয় মুল্যবোধের অভাবের কথা কোথাও বলেন নাই। আর এটাই প্রধান কারন। আমাদের মাঝে যদি পারিবারিক বা ধর্মীয় কোন মূল্যবোধ না থাকে তবে শুধু ধর্ষন কেন ?? সব ধরনের অপরাধ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরবে সমাজে।
নারীকে ধর্ষনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে ধর্মীয়,পারিবারিক মুল্যবোধ তথা পর্দা। অনেকে বলবেন শুধু নারীকে পর্দা করতে হবে কেন? সৃষ্টিকর্তা নারীকে এখানে ছোট করেছেন,সম অধিকার দেন নাই।
থামেন ভাই! ইসলাম শুধু নারীকে নয় পুরুষকেও পর্দা করতে বলেছেন শুধু নারী-পুরুষ ভেদে তাদের পর্দার ধরন আলাদা।
অনেকে বলবেন,বুঝলাম সে সব নারীরা পর্দা না করার অপরাধে ধর্ষনের শিকার হতে হচ্ছে! তাহলে কিছু দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম,বাবার হাতে মেয়ে,ভাইয়ের হাতে বোন,মামী,চাচী ধর্ষিত হয়েছে। চার বছরের এক শিশুকেও শিকার হতে হয়েছে এই ভয়ানক নির্যাতনে। শুধু মেয়ে শিশু নয় ছেলে শিশুও ধর্ষনের শিকার! তাদের অপরাধ কি তাদেরও কি পর্দা করতে হবে??
তাদের বলছি, আজ আমরা দেখতেছি,নারী অধিকারের নামে নারীদেরকে বাজারের পন্য করা হচ্ছে। করা হচ্ছে পুরুষের লালোসার বস্তু। কিন্তু আমাদের নারী সমাজ এটাকেই নারী অধিকার মনে করে। বর্তমানে কোন একটা প্রোগ্রামে ফিতা কাটা হবে সেখানে নারী মঠেল লাগে। এমন কোন পন্যের বিজ্ঞাপনের কথা কি বলতে পারবেন যেখানে নারীকে কামনার বা লালোসার বা বিনোদনের বস্তু হিসাবে উপস্থাপন করা হয় না।
ছেলদের আন্ডার ওয়্যার থেকে শুরু করে সেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনেও নারীকে উপস্থাপন করা হচ্ছে যৌন সুড়সুড়িমুলক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে?
টিভি নাটক,সিনেমার কথা বাদই দিলাম,চ্যানেল গুরালেই বুঝাযায় নারীদের কিভাবে নগ্ন অবস্থায় পন্য হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। আপনি ওসব দেখতে না চাইলেও আপনাকে জোর করে দেখানো হবে। রাস্তায় বের হলে বিলবোর্ডের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ইন্টারনেটে এক ক্লিকেই আপনি দেখতে পাচ্ছেন হাজার হাজার পর্নোভিডিও।
মেয়েরা আজকাল রাস্তায় আধুনিকতার নামে কিভাবে খোলামেলাভাবে নিজেদের উপস্থাপন করছে? তা দেখে যে আপনার মাঝে কামুক চরিত্রের ঘুমন্ত শয়তানটা জাগবে না তার গ্যারান্টি কি? যদি না জাগে তবে বুঝতে হবে আপনি পুরুষ নন ! মহাপুরুষ। আর আপনার মত সবাই ত মহাপুরুষ না।
আপনি বলবেন পর্দা কিছুই না,মনের পর্দাই হল আসল পর্দা। আপনার কথা আমি মেনে নিব যদি আপনি এবং আপনার এই কথার বিশ্বাসীরা কাপড় পরিধান না করতেন। আপনাদের মনেই যদি পর্দা থাকে তবে ত কাপড় পরার দরকার নাই,মনের পর্দাই কাপড়ের কাজ করবে।
এই সব নগ্ন,অর্ধনগ্ন মেয়েদের দেখে সেটা হোক রাস্তায় বা টিভিতে, মানুষের মনেও একটা ভয়ংকর দানবের জন্ম হয়। সে আশায় থাকে কখন সে শিকার ধরবে! পুরন করবে তার লালসা,কামনা। আর এর শিকার হয় আশেপাশে থাকা দুর্বল মানুষগুলা বা শিশুরা। যাদের হাত থেকে রক্ষা হয় না নিজ কলিগ,বোন,মেয়ে,চাচী,আমীরা। আর কিছু দানব তাদের এমন পশুত্বের উচ্চতায় নিয়েগেছে যে তাদের আর কিছুই চাই না,একটা শিয়ালের গর্ত হলেই হয়। তাই চার-পাচ বছরের শিশু ধর্ষনের শিকার। দেখবেন সমাজের সবলরা কিন্তু ধর্ষনের শিকার হয় না। শুধু মাত্র সবলের হাতে দুর্বলরা এই নির্যাতনে শিকার। একমাত্র পর্দা তথা ধর্মীয় এবং পারিবারিক মূল্যবোধই পারে আমদের ধর্ষন মুক্ত সমাজ উপহার দিতে। আর এ কারনেই মুসলিম দেশে তুলনামুলক ধর্ষনের হার কম
আবার প্রশ্ন আসতে পারে,বোরকা পরা মেয়েও ধর্ষিত হয়,কেন? আমার জানা মতে কোন পর্দাশীল মেয়ে নিজের কারনে ধর্ষনের শিকার হতে পারে না। বর্তমানে দেখবেন কিছু ডিজিটাল হিজাবধারী আছে। যাদের বোরকা হাটুর পর্যন্ত থাকে এবং কোমরে বেল্ট থাকে,পরনে জিন্স বা চোজ! এটাকে আপনি বোরকা বা পর্দা বলবেন?
এই বোরকা ত ঐ মেয়েকে আরও আকর্ষনীয় করতেছে পুরুষদের কাছে!
আবার অনেকে অনেক উলটাপালটা কাজ করে ঐ সব লোকের হাত থেকে বাচার জন্য বোরকার আশ্রয় নেয়। এখন ঐ মেয়ে যদি ধর্ষিত হয় তবে কি বোরকার দোষ হবে ? হবে না। নিয়মিত পর্দা করা বা একটা ভদ্র মেয়ের সাথে কথা বলতে ধর্ষক ত দূরে থাক ভয়ানক সন্ত্রাসীদেরও বুক কাপবে কারন আল্লাহ মেয়েদের মাঝে সেই গুনটুকু দিয়েছেন।
নারী অধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন,প্লিজ আমাদের মেয়েদের পন্য হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করুন। অবাধ যৌনচার,স্বামীর সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলা বা ঘরের বাহিরে ডেমকেয়ার ভাবে চলাচলের নাম নারী স্বধীনতা হতে পারে না।
নারীরা যতই বেপর্দা ভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে ততই তারা পুরুষের ভোগ পন্যে পরিনত হয়রযাবে। নারী অধিকার নিয়ে যে পশ্চিমা বিশ্ব এত বেশি কথা বলে তাদের অবস্থা দেখেন......
পুরুষেরা এমন পোশাক পরে যে তাদের দেহে বাতাস ঢোকার জায়গা থাকে না কিন্তু মেয়েদের রেখেছে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ।এর কারন হল তারা মেয়েদের পন্য , বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে নিয়েছে।
তাদের অবস্থা অনেকটা শিয়ালের মত,কারন প্রত্যেক শিয়ালই চায় মুরগির স্বাধীনতা
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪১