বর্তমানে দেশে যতধরনের ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ও গ্ল্যমারস সমৃদ্ধ ব্যবসা হল চেতনা ব্যবসা৷মহান মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছানো এটা নতুন এক ফর্মূলা৷এতে আপনার কোন পুজি লাগবেনা৷আপনার চৌদ্দগুষ্ঠির কেউ মুক্তিযুদ্ধ না করলে ও কোন সমস্যা নেই৷দরকার শুধু ক্ষমতাশীলদের কাছ থেকে একটা লাইসেন্স আর বাকপটু৷অনর্গল মিথ্যাকে সত্য বলার অভিজ্ঞতা৷আর দরকার নির্লজ্জতা,বেহায়াপানা৷তাহলেই আপনি চেতনা ব্যবসায় সফল৷আসুন জেনে নেই চেতনা ব্যবসার সুফল ও কুফল৷প্রথমেই জেনে নেই এই ব্যবসার সুফল:
১.মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি জন্মগ্রহন না করলে ও পেতে পারেন মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র৷
২.মুছে যাবে আপনার বাপ-দাদার সকল কু-আমল৷
৩.আপনি প্রতিদিন পাবেন নতুন পায়জামা-পাঞ্জাবী,সাথে নতুন নতুন সয্যাশঙ্গী৷
৪.আপনার খাবার আসবে হোটেল সোনারগাও বা শেরাটন থেকে৷
৫.আপনি যিরো থেকে হিরো বনে যাবেন৷
৬.আপনার কথায় দেশের আইন ও পরিবর্তিত হবে৷
৭.আপনি যখন তখন যেকোন রাস্তা বন্ধ করার ক্ষমতা পাবেন৷
৮.খুশি কবির,মুরগী কবিরের মত আলেমদের সান্নিধ্য লাভ করতে পারবেন৷
কূফলঃ
১.লোকজন আপনিসহ আপনার বাপ দাদার চৌদ্দগুষ্ঠীরে প্রান খুলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করবে৷
২.জনগনের রামধোলাইয়ের ভয়তে কখনো একা কোথাও বেরোতে পারবেন না৷
৩.আপমি সবসময় পাঞ্জাবী পরবেন,মূখে দাড়ি রাখবেন তারপরও মানুষ আপনাকে ভাববে মিথ্যুক,ভন্ড,দুশ্চরিত্র,লম্পট ও জানোয়ার৷
৪.সরকার পষিবর্তনের সাথে সাথে আপনাকে দেশ থেকে মাইরের ভয়তে পালাতে হবে৷
আসুন এতসবকিছু পিছনে ফেলে আমরা দলে দলে এই মহৎ পেশায় যোগদান করে দেশ ও দশের কল্যানে নিয়োজিত হই৷
আমীন৷
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১