পুলিশ, সেনা,র্যাব, বিজিবি, মন্ত্রী, এম্পি, দুদক, বিচারপতি একে একে সবাই ছাত্রছাত্রীদের হাতে প্রকাশ্যে নাস্তানাবুদ হতে দেখে মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী অর্থাৎ বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে সুকৌশলী নেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব অর্পণ করলেন দেশের সবচাইতে স্বনামধন্য, ক্ষমতাধর, বারবার সংকটয় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সফল ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের উপর।
যারা অধীর আগ্রহে এই গুরুদায়িত্ব গ্রহনের অপেক্ষায় ছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন নতুন নেতৃত্ব গ্রহন করা সদস্যদের দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ পাবার জন্য। নেত্রীর আদেশ পাওয়ামাত্র সদস্যরা হাতে আসমান পাবার মতোই আনন্দিত হয়ে নেমে পড়লেন মাঠে। গোটা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো ক্ষুদে শিক্ষার্থী থুক্কু সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি হলেন ছাত্রলীগের ভাইয়েরা প্রাণ হাতের মুঠোয় নিয়ে। ভাবা যায় তাদের দেশপ্রেমের গভীরতা কতোটুকু? ভাবা যায় মাননীয় নেত্রীর আদেশ পালন করতে কিভাবে জানবাজি রাখতে পারলেন তারা? ভাবা যায়না, ভাবতে পারার প্রশ্নই উঠেনা। এ যে শুধু ছাত্রলীগের পক্ষেই সম্ভব।
তারা এতোটাই দক্ষতার পরিচয় দিলেন যে, তারা মাঠে নামলেন খেললেন কিন্তু তাদের দেখাই গেলনা। অদৃশ্য কোনো এক শক্তি যেন দলবদ্ধ ভাবে আঘাত করা শুরু করলো শিক্ষার্থীদের। যাদের শরীরে আঘাত লাগলো তারাই শুধু দেখতে পারলো ছাত্রলীগের ইনভিজিবল স্কোয়াডের সদস্যদের কারিশমা। বাকি সবাই দেখলো শুধু লাশ, রক্ত, আহত ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের থুক্কু সন্ত্রাসীদের।
ছাত্রলীগের ভাইরা খুবই অমায়িক, বিনয়ী তাই তারাও অস্বীকার করলেন তাদের কৃতিত্ব। ভাবা যায় এতো বিনয়ের কথা! এতোবড় অসাধ্য সাধন করলেন তারা কিন্তু কেউ দেখলোনা, প্রচার হলো গুজব। তাদের এ মহান অবদান গুজব বলে উড়িয়ে দেয়া হলো। ছাত্রলীগের বিনয়ী ভাইরা কোনো প্রতিবাদই করলেন ন। আমরা আজ গর্বিত আমাদের দেশে এরকম দক্ষ ইনভিজিবল স্কোয়াড আছে। এখন খুব নিরাপদ লাগছে ভাবতেই যে, যে কোনো বিপদজনক পরিস্থিতিতে এই ইনভিজিবল স্কোয়াড ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাদের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করবে। শত্রুরা টেরই পাবেনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাই আমার বিনীত অনুরোধ র্যাব, পুলিশ, সেনা এরা কোনো কাজের না আসলে সেটা আপনিই প্রমাণ করেছেন ছাত্রলীগের স্পেশাল ফোর্সকে অপারেশনে নামিয়ে। তাই তাদের একটি স্বিকৃতী দেয়া প্রয়োজন। র্যব,চিতা, কোবরা কতোকিছুই তো সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। এবার নাহয় ছাত্রলীগ ইমিডিয়েট একশন ব্যাটালিয়ন নামে আরেকটি স্পেশাল ফোর্স চালু করুন ছাত্রলীগের দীর্ঘ দিনের সাফল্যকে স্বীকৃতি দেবার উদ্দেশ্যে। যার সংক্ষিপ্ত নাম হবে সি, আই, এ, বি (সিয়াব) Chatro league Immediate Action Battalion. আমার প্রস্তাবটুকু বিবেচনা করার একান্ত অনুরোধ রইলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল বিনয়ী ভাইরা আশাকরি "CIAB" এর প্রস্তাবনাকে সমর্থন করবেন।
@copy right reserved : Sayed Mahfuj Ahmed
বিঃদ্রঃ ছাত্রলীগ ইমিডিয়েট একশন ব্যাটালিয়ন গঠিত হলে জনবল নিয়োগের সময় অবশ্যই শধু ছাত্রলীগ সদস্যরা সুযোগ পাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০২