পাসপোর্ট পাওয়া এখন অনেকটা সহজ হয়েছে। মানে পদ্ধতি মেনে কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট প্রদান করছেন।
আবেদন পত্র পূরণ করাটা জটীল কিছু নয়। আবার সংযুক্ত কাগজপত্রও যা চায় তা হাতের নাগালে।(পাসপোর্ট অফিসে ফ্রি আবেদন পত্র পাওয়া যায় আবার নেট থেকেও সংগ্রহ করা যায়।)
এরপর সত্যায়িত করিয়ে(কারা সত্যায়িত করতে পারবেন. তা আবেদন পত্রে বলা আছে)।
আগারগাঁ পাসপোর্ট অফিসে সোনালী ব্যাংকের শাখায় টাকা জমা দিয়ে আবেদন পত্র জমা দিলে ঐ দিনই ছবি তুলে আপনাকে নতুন পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ দিয়ে দেবে ।নির্ধারিত তারিখে আপনার মোবাইলে ম্যাসেজ আসবে। আপনি যেয়ে রশিদ দেখিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন
এই হলো সহজ নিয়ম । নির্ধারিত ফিস নরমাল যেটা এক মাসে দেয় ৩৯০০ টাকা(সম্ভবত) আর জরুরী যেটি সর্বোচ্চ ৭ দিনে দেয় ৬৯০০ টাকা(সম্ভবত)। আর ছবি তুলতে আপনাকে যেতেই হবে।এর জন্য দালালের কোন প্রয়োজন নেই।
অথচ পাসপোর্ট অফিসের ভিতরে তুমুলে চলছে দালালি ব্যবসা। এরা সকলে ঐ অফিসে চাকুরী করে অথবা ওখানে ডিউটি করে। নরমালের জন্য নেয় ৭০০০ টাকা আর জরুরী ১১০০০ টাকা। এ ছাড়াও যার কাছে যেমন পায়।ছবি তুলতে কিন্তু আপনাকে যেতেই হবে।
এত সহজ পদ্ধতির পরেও আমরা বেশী টাকা নিয়ে দালাল পুষছি। দালাল দিয়েই পাসপোর্ট করছি। এর মানে কি ? আমরা দালাল পছন্দ করি অথবা যে টাকাটা দালালকে দিচ্ছি তা দালালি করে পাওয়া?
বি: দ্র: আগারগাঁ ছাড়াও এখন অনেক আঞ্চলিক অফিস হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১১