বিডিআর বিদ্রোহঃ সমাধান কোন পথে?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বিডিআর এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীতে আজ যে বিদ্রোহ বিশৃঙ্খলা দেখা গেল তা খুবই অনাকাঙ্খিত। এই বিদ্রোহ মেনে নেওয়া যায় না, দেশের জন্য এটা একটা খারাপ উদাহরন হিসাবে থাকবে। এ ধরনের বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না তা সে যে কোনো পরিস্থিতিতেই হোক না।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাদের ডাল-ভাতের কর্মসুচিতে নিযুক্ত রাখা হয়েছিল বিডিআর কে। আমরা দেখেছি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র চালা ডাল শব্জী থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের কারবারী হিসাবে বিডিআর শপ গুলিকে। বিডিআর এর অবকাঠামো আর প্রশিক্ষন, কিংবা তাদের কর্মকৌশলের সাথে এই কারবারী হয়ে উঠা কতটুকু সামঞ্জস্যপুর্ণ তা বিবেচনায় নেওয়া হয় নাই।
ব্যবসা-বাণিজ্য মানেই মুনাফা, অতিরিক্ত লাভ আর বাড়তি টাকা। অভিযোগ পাওয়া গেছে অসন্তোষের শুরু এই মুনাফার এই কোটি কোটি টাকার হিসাব নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে।
একটা দেশের প্যরামিলিটারী যাদের কাজ মুলত সীমান্ত রক্ষা করা তার কিভাবে মাসের পর মাস এই চাল ডাল শব্জী থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের কারবারী হিসাবে নিজেদের নিয়োজিত রাখলো সেটাই আমার কাছে বিস্ময়ের।
আজকের বিডিআরদের সশস্ত্র বিদ্রোহের শেষটা কিভাবে হবে তা নিয়ে আমরা সবাই শংকিত। সরকারের দিক থেকে আন্তরিক ভাবেই চেষ্টা করা হচ্ছে বিদ্রোহের রক্তপাতহীন একটা সমাধানের, কিন্ত শেষ পর্যন্ত কি আমরা রক্তপাত এড়াতে পারবো?
সাধারন ভাবে বিডিআরদের দাবী-দাওয়া নিয়ে সরকার সহানুভুতির ভাবে বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বিদ্রোহী জওয়ানদের সাধারন ক্ষমাও ঘোষনা করা হয়েছে। বিডিআরদের আত্মসর্মপন করার ফর্মুলা নিয়ে বৈঠক চলছে- কিন্ত বিডিআরদের যা দাবী অর্থাৎ আর্মির নিয়ন্ত্রন মুক্ত হিসাবে বিডিআর এর কার্যক্রম পরিচালনার যে দাবী তা প্রচলিত
সশস্ত্রবাহিনীবোর্ডের আইনের সাথে সঙ্গতিপুর্ণ নয়। বিডিআরদের অবশ্যই সামরিক বাহিনীর আওতায় থাকতেই হবে।
যদি বিদ্রোহী বিডিআরগন তাদের এই দাবী থেকে সরে না আসেন, আমার ধারনা বলপ্রয়োগ ছাড়া আর কোন রাস্তাই খোলা থাকবে না। সমাধানের রক্তাক্ত পথই বেছে নিতে হবে।
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প
তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?
এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন