১। ঈদের ৬ বা ৭ দিন ব্যাপী যে অনুষ্ঠান হয়, সেখানে কোন অনুষ্ঠানই ঠিকমতন দেখতে পারিনা। চেষ্টা করেছি কয়েকবার, কয়েকটা চ্যানেল একসাথে তো পরে, একটা চ্যানেলের নাটকই দেখতে যেয়ে বিজ্ঞাপনের জোয়ারে খেই হারিয়ে ফেলেছি। এরপর হাল ছেড়ে দেই, আর দেখিনা। যেটা করি, ঈদের পর ইউটিউব এ খুঁজে খুঁজে দেখি। ছোটবেলায় পড়েছিলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত নাকি একসাথে ৬ জন কে দিয়ে মুখে মুখে একসাথে কবিতা লিখাতেন! তিনি বেঁচে থাকলে হয়ত অনুষ্ঠান দেখে সারতে পারতেন!
২। ঈদের নাটক দেখতে যেয়ে এবার দেখলাম প্রথতযশা অনেকেই নাটক-টেলিফিল্ম করেছেন। কয়েকটা অনুষ্ঠান দেখলাম যেখানে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নাঁচছেন, গাইছেন। কয়েকটা অনুষ্ঠানে দেখলাম রাজনীতিবিদ রাও কবিতা আবৃত্তি করছেন, গাইছেন! ঈদ মানে আনন্দ, একটু আলাদা কিছু করা খারাপ না।
আজ সকালে উঠে টিভি ছেড়েও দেখি একই ধরনের অনুষ্ঠান! যাদের নিয়মিত নাটকে দেখি তাঁরা সবাই স্বকন্ঠে গাইছেন, কেউ বৃষ্টিতে ছাতা হাতে, কেউ ঘরের বারান্দায়! অনেক আগে “ত্রিরত্নের ক্ষ্যাপা” একটা প্যারোডি র্যাপ গানের এলবাম বের হয়েছিল, সেখানে একটা “চলছে” গানের একটা লাইন “না নাই তাল না নাই সুর মনেহয় মারি লাথথি” মাথায় ঘুরছিল!
৩। ক্লাস ৬ এ পড়ি তখন। অর্ধ-বার্ষিকী পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ভাব সম্প্রসারণ লিখতে দিল “বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”। কোন কারনে আমি পড়েছিলাম “বন্যেরা বনে, সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”! এরপর খুব আবেগ নিয়ে লিখেছিলাম কেন সুন্দর শিশুরা মায়ের কাছে থাকবে আর বাকিদের বনে চলে যাওয়া উচিৎ! ৫ এ ২ পেয়েছিলাম!
ইশ, এখন যদি ক্লাস ৬ এ পড়তাম, কি সুন্দর বন, শিশু, মাতৃক্রোড় সব লেখে ফেলতে পারতাম!