নচিকেতা একবার গানে বলেছিলেন, “প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ, ঘুষ খাওয়া কখনই নয়”! ব্যাপারটা মনেহয় দুইদিকেই ঠিক না পুরাপুরি। ঘুষ এর ব্যাপারটা অনেকটা ছেলে সিগারেট খায় বাপ জানে, কিন্তু সামনে খায়না, এরকম। বরং চুমু’টা উলটা। একটা নির্দিষ্ট বয়স-পার্থক্যের মানব-মানবীর ওষ্ঠ-অধর কম্বিনেশনে চুমু খাওয়া ছাড়া আর কোন চুমুতে কোথাও কোন ঝামেলা হয়েছে বলে শুনিনি, দেখিওনি, কাউকে শুনতে বা দেখতেও জানিনি।
তাহলে আৎকা ফেসবুকে একটা “পুলিশি প্রহরায় চুম্বন” এর দরকার কি পড়ল? উদ্দেশ্য বা নিয়্যত, এক্ষেত্রে খারাপ।
এই বিশেষ চুম্বন অনেকটা মল-মূত্রের মত। বাড়ীর নির্দিষ্ট কক্ষেই এর স্থান, বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে করতে হলেও, গোপনীয়তা বাঞ্ছনীয়!
তাই ফেসবুকে ইভেন্ট না খুলে বাড়ীর কাজ বাড়ীতে, খুব দরকারে বিশেষ দিনে গাড়ীতে করুন।
চুম্বন সমস্যার মধ্যে আরেক ঘটনা হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, যেখানে সবাই নাঁচবে, গাইবে, আর সৌজন্য, সমর্থন ও প্রচার করবে লুঙ্গী থেকে টেলিকম, প্লাস্টিক থেকে খাবার, এমনকি “একটু আনস্মার্ট” ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন। সমস্যা নাচ-গান করে ঝাড়ু দেয়ায় না, অন্যখানে।
বিখ্যাত কাপুর পরিবারের মেয়ে নাঁচবেন, তা সবসময় সামনে দেখা হয়না। একজন “সি.আই.পি” ব্যবসায়ী অভিনেতা নাচবেন, এমন দৃশ্যও আর কোথায় পাওয়া যাবে গবেষনার বিষয়, পাশের এত প্রতিভার দেশেও নেই। ঝামেলা হলো আর বাকিগুলা কে? এরকম “আইলো গেলো” টাইপ শিল্পীও কি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল? ৩ টায় অনুষ্ঠান শুরু, এটা সকাল ১০ টা থেকে করলেও চালানোর জন্য দেশে শিল্পীর অভাব নেই, এবং দায়িত্ব নিয়েই বলা যায়, অন্য দু’জন আলী-কাপুরের চেয়ে অনেক মেধাবী প্রতিভাবান শিল্পী আছেন আমাদের যাদের দিয়ে অনুষ্ঠানের পুরোটা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানের পর “অলৌকিক”ভাবে দেশ পরিষ্কারের প্রত্যাশায় রইলাম এই বৃহস্পতিবারে! সাথে সি.এন.জি এর লেখা সেই উপদেশ “ভালোবাসা গাড়ীতে নয়, বাড়ীতে করুন”!
শুভ সপ্তাহান্ত!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪১