somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এখনও সময় আছে ; পরিকল্পনা না থাকলে পরিনাম ভয়াবহ হবে

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিপ্লবের শুরু থেকেই বিল্পব বিষয়ক পোষ্টসমূহ এবং কর্মসূচীসমূহ লক্ষ্য করছি এবং পালনের চেষ্টা করছি। আন্দোলন বিষয়ক নিন্দুক এবং জামাত-শিবিরের অপপ্রচাররনা এবং আন্দোলনকে নিরপেক্ষ বুঝানোর বিষয়ে অধিকাংশ আন্দোলনকারী ব্লগার এবং ফেসবুক ইউজারকে খুব বেশি তৎপর বলে প্রতীয়মান। তারমানে আন্দোলনকরীরা ডিফেন্স করছে। ডিফেন্স করা বিপ্লবীদের কাজ হতে পারে না। প্রতিটি নতুন সৃষ্টি পুরনোকে ধ্বংশ করে গড়ে উঠে। নিচে একটি সাংগঠনিক কাঠামো প্রস্তাব করলাম। এই ভাবে অথবা আরও শক্তিশালী বিল্পবী বাহিনী গড়ে তুলুন না হয় জীবন নিয়ে এই পিকনিক পিকনিক খেলা বন্ধ করুন।

১। সারা দেশেই তরুন সমাজ নিজ নিজ পরিসরে শাহবাগের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে কমর্সূচী পালন করছে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে স্বত:ফূতর্তা থাকলেও ভাষার স্বল্পতা চোখে পড়ার মত। ফলে দিনমজুর, শ্রমিক এবং রাজনীতি ও ইতিহাস বিমূখ যে মানুষেরা উৎসুক মনে আন্দোলনের সংস্পর্শে আসছেন তাদের যৌক্তিক ও মন:পূত প্রত্যয়ী করা যাচ্ছে না। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর একটা বক্তব্য মনে পড়ল “ আন্দোলন সফল করতে হলে সমাজের সকল শ্রেনীর অংশগ্রহন থাকতে হবে।“

প্রস্থাবনাঃ সামগ্রীক বিষয়বস্তু সহ একটি সাধারন বক্তৃতা ব্লগ বা ফেসবুকে প্রচারের মাধ্যমে দেশের সকল প্রান্তের আন্দোলনকারীদের সংগ্রহের আহ্বান করা যেতে পারে। আন্দোলনের উদ্দেশ্য এবং পরিনতি সম্পর্কেও বক্তব্য থাকবে সেখানে। কমর্সূচী চলাকালে তারা প্রদেয় বক্তব্য পাঠ করবে। এতে করে তথ্যগত বিচ্যুতি কমে আসবে এবং আন্দোলনের গতিধারা এবং বক্তব্য সবর্ত্র একই হবে। যে জোয়ার এখন এসেছে তা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হবেনা। বতর্মান উদ্যোমকে কাজে লাগিয়ে মতাদর্শী বাড়াতে হবে। যা গত চল্লিশ বছর ধরে পরিকল্পিত ভাবে করছে জামায়াত।

২। দীর্ঘদিন আন্দোলন কমর্সূচী পালনের ক্ষেত্রে আগ্রহ একটি বড় বিষয়। দিন যত যাবে আগ্রহী সংখ্যা ততই হ্রাস পাবে।এমনকি আস্থার সংকটও দেখা দিতে পারে।

প্রস্তাবনাঃ শুরুতেই যতবেশী যোদ্ধাকে সাংগঠনিক ভাবে সক্রিয় করা যাবে তত আন্দোলন কাঠামো মজবুত হবে।প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ন এলাকাগুলো হতে পারে আমাদের গুরুত্বপূর্ন ইউনিট এবং সাংগঠনিক তৎপরতার সম্ভাব্য স্থান। ঘাতক-দালাল-রাজাকার ও তাদের পৃষ্টপোষকরা গত ৪১ বছর কিভাবে বাংলাদেশকে মুল চেতনা থেকে বিচ্যুত করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধে তাদের নৃশংসতার বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সবর্সাধারনের সামনে তুলে ধরতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সকলের নিকট স্পষ্ট করতে হবে।
২য় ধাপ: সাংগঠনিক কাঠামো সুসংহত হলে প্রতিটি জেলায় মহাসমাবেশ আয়োজন করতে হবে। প্রতিটি মহাসমাবেশে পাশ্ববর্তী জেলা সমুহ অংশ গ্রহন করবে। জাগরনের সেই মঞ্চে জেলাসমূহের সমমনা প্রথিতযশা মুক্তিযোদ্ধা,সমাজকর্মী,সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ববর্গকে উপস্থিত রাখার চেষ্টা করতে হবে। এই কর্মসুচী সফল করার জন্য আমার হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষ্যে এক লক্ষ যোদ্ধা দরকার যাদেরকে আমরা অস্ত্র হিসেবে দেব তথ্য-ভান্ডার।

৩। জেলাসমূহে মহাসমাবেশ বা নিয়মিত কমর্সূচী পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজন সঠিক সমন্বয়। এই সমন্বয়ের জন্য আমাদের পূবর্সূরীদের আরও একবার সবার্ত্বক সংগ্রাম করতে হবে।

প্রস্তাবনা: আমরা বয়সে তরুন। আমাদের পূবর্সূরীরা ৫২, ৭১, ৮৯, ৯২ দেখেছে। তাদের অভিজ্ঞতা অপরিসীম। অতীতের ভূলের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তাই প্রয়োজন তাদের নিবিড় দিক-নিদের্শনা। ভাষাআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গনঅদ্ভুত্থান এর নায়কদের সম্মিলিত ভাবে এই আন্দোলনে মনোনিবেশ করতে হবে। প্রত্যেকটি জেলায় মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড, ঘাতক দালাল নিমূর্ল কমিটির মত সংগঠন আমাদের এই জাগরনের জন্য অগ্রজরা তৈরী করে রেখেছেন। এখন প্রয়োজন সুদক্ষ সমন্বয় এবং সঠিক কমর্পরিকল্পনা।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন প্রস্তাবটি একটু সংকোচ নিয়ে বলছি “ যদিও বিপ্লবীরা নামের বা সুনামের পাগল নয় তবুও নিজ অগোচরের হীনমন্যতা কাউকে যেন পরশ্রীকাতর, দ্বীধাবিভক্ত বা বিপথে পরিচালিত না করে তা নিজেকে নিজে শেখাতে হবে।এই সংগ্রামে দেশের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে, আমাদের প্রজন্মের বিশেষায়ন হবে , পরবর্তী প্রজন্মের নিরাপত্তা নির্ধারিত হবে। হীনমন্যতা ও দ্বীধার দেয়াল যেন কখনই সবর্গ্রাসী না হয়।

দেশপরিচালনার দায়িত্বে আছেন সয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা। দেশপ্রেম, দেশত্ববোধ এবং প্রগতির যে রক্ত তার শরীরে বইছে তার উপর আস্থা আমরা আমাদের জাতিসত্ত্বার কারনেই রাখতে পারি। সিদ্ধান্ত গ্রহনে তিনি অনেক বেশি পরিপক্ক। পরিবার, ইতিহাস, দেশ তাকে যে শিক্ষা দিয়েছে তার সমকক্ষ এই বাংলায় এই চেতনার কেউ নেই। বাবার অসমাপ্ত গুরুত্বপূর্ন এই দায়িত্ব পালনে তিনিও বাবার মতই বলিষ্ঠ হবেন এই আশা করা রাজনীতির কোন যুক্তিতেই বাড়াবাড়ি নয়।

বিস্তারিত:

লিংক
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×