somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রজন্ম চত্বর এর নেতৃবৃন্দদের খোলাচিঠি

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শ্রদ্ধেয় সংগঠকবৃন্দ,
সকলের প্রতি রইল সশ্রদ্ধ সালাম ও শুভেচ্ছা। যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদন্ড, ধর্ম ব্যবসায়ীদের রাজনীতি নিষিদ্ধকরন , অপরাজনীতির শৃঙ্খল হতে মুক্তি এবং সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্বপ্নে লালিত সোনার বাংলা গড়ার অদম্য প্রয়াসে তরুন প্রজন্মের এই নব-জাগরন ছিল সময়ের দাবী। তরুন প্রজন্ম সাহসিকতার সাথে জাগরনের গানে সুর তুলছে। এই প্রজন্মের দেশত্ববোধ এবং প্রজ্ঞা নিয়ে দীর্ঘদিনের একটি বিতর্কের অবসান হল।

যে স্বপ্ন এবং সায়ত্বশাসনের প্রত্যাশা নিয়ে জাতি নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামে ত্রিশ লক্ষ্ তাজা প্রান, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম, বিশিষ্ট শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, কবি, গীতিকার, সুরকার, শিল্পীদের হারিয়ে দেশ স্বাধীন করেন মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তার কোনটিই অর্জিত হয়নি। কারন ৭১’এর পরাজিত শক্তির আস্ফলন। ৯মাসের সশস্ত্র সংগ্রামে স্বাধীকার লাভ করা যুদ্ধবিদ্ধস্থ একটি জনপদের কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ন ছিল। মিত্র বাহিনীর সৈন্য প্রত্যাহার, শরনার্থী ও বিরঙ্গনাদের পূনর্বাসন, আহত মুক্তিযুদ্ধাদের চিকিৎসা এবং বর্ধনশীল অর্থনৈতিক কাঠামো গঠন। ১৯৭২ সালে প্রনীত সংবিধানের ভিত্তেতে রাষ্ট্রের চারটি স্তম্ভ নির্ধারন করা হল যথাক্রমে: গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙালী জাতীয়তাবাদ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে প্রনীত হয় এই সংবিধান। ষড়যন্ত্র এবং ৭১’এর পরাজয়ে হায়নাগুলো নেকড়ে হয়ে আবার থাবা দেয় বাংলার মানচিত্রে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহম্মেদ, ক্যাপ্টেন মুনসুর, সৈয়দ নজরুল এবং কামরুজ্জামানকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার চেতনার টুটি চেপে ধরা হয়। বাংলার স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে সাথে নিয়ে স্বপ্নের স্বাধীনতার চেতনায় শেষ পেরেক ঠুকেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি মুল স্তম্ভ পরিবর্তন করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেন। তিনি সকল রাজাকার, আলবদর এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিক সুবিধা প্রদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর এই দায়িত্ব অত্যান্ত আস্থা এবং নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন তার সহধর্মীনি বেগম জিয়া। ১৯৭৫ সালে সামরিক ক্যু এর মাধ্যমে আরেক রক্ত গঙ্গায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রগতি এবং ভাবনা সমূলে ধ্বংশের সর্বাত্ত্বক প্রচেষ্টা শুরু হয় এর সাথে যুক্ত হয় রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষীগত করার নগ্ন প্রতিযোগীতা। দেশীয় দালালদের ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগীতার আড়ালে হত্যা করা হয় সামরিক, বেসামরিক খ্যতনামা, প্রগতিশীল ধারার অবশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের। হত্যা করা হয় কর্নেল তাহের এর মত দেশপ্রেমিক বিপ্লবীকে। ধ্বংশ করা হয় মুক্তিযুদ্ধের সকল নথি। নিজেদের মত করে বিকৃত ইতিহাস রচনা করে ধোকা দেয় পরবর্তী প্রজন্মকে। হতাশ মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এর পর ৭১’এর দালালদের মাস্টারপ্লানে ২য় প্রজন্মটি গড়ে উঠে সংশয়ী প্রজন্ম (কনফিউসড জেনারেশন) হিসেবে। লাল সবুজের স্বপ্ন একে যে প্রজন্ম স্বাধীকারের সংগ্রাম করল; এক সাগর রক্তের স্বাধীন বাংলা করায়ত্ব করে নিল মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি।

এমন চারটি বিষয় নিয়ে এই প্রজন্ম কথা বলছে যে বিষয়গুলোর সাথে মুক্তিযুদ্ধ, সায়ত্বশাসন, কূটনীতি, ধর্ম এবং জনগনের স্বাধিকার সরাসরি ভাবে জড়িত। স্বাধীনতার ৪২বছরের মধ্যে ৩০ (ত্রিশ) বছরের বেশি সময় এই দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে ছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা। ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে এখনও এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং দেশ ধ্বংশের লিপ্সায় কাতর রাজাকারের দল এবং দোষররা । নরপিশাচের দল যা করতে পারে আমাদের সভ্যতা এবং সমাজ তা কল্পনাও করতে পারেনা। বহুবার তারা এর প্রমান দিয়েছে। এই বিচারকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে অনেক আগে থেকেই তারা প্রস্তুতিও গ্রহন করছে। জামাতের রাজনীতি সম্পর্কে যতদূর জানি বেঈমানগুলো হিসাব নিকাশে খুবই পাকা। এছাড়া পশ্চিমা ও পাকিস্থানী ভালো কিছু গোয়েন্দা সংস্থা তাদের চর হিসেবে কাজ করে। রাষ্ট্রে আমলা এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবস্থানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। ৩০ বছর তারা দেশের সকল মন্ত্রনালয়ের সকল পযার্য়ে তাদের অনুগতদের অবশ্যই নিয়োগ দিয়েছে। তাদের অনেকেই এখন নীতিনির্ধারনী পযার্য়ে অবশ্যই রয়েছে। হয়তো সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে আস্থা অজর্ন করে রীতিমত লীগ এর একনিষ্ঠ সেজে বসে আছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষীগত করে জামাত তাদের জাল দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্তার করে রেখেছে এই বিষয়েও সন্দেহ থাকা উচিৎ নয়। ১৯৭১ সালের জামায়াত আর ২০১৩ সালের জামায়াতের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। এই জামাত শক্ত সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে সুসজ্জিত। ছাত্র-শিবির তাদের পাওয়ার হাউজ এবং গত চারদলীয় জোট সরকারের সময় শিবির দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সু-সংগঠিত ছাত্র ও যুব সংগঠন হিসেবে নিজেদের সংঘবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। শিবিরের আন্ডাগুলোকে জামাত সবসমই সাইকোলজিকালী ট্রীট করে। তাই এদের দিয়ে রাস্তায় পিকেটিং থেকে শুরু করে সুইসাইড স্কোয়াড এক্সিকিউসন পযর্ন্ত সবই সম্ভব। এই আন্ডাদের নিয়ে জামায়াত এককভাবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আঘাতের ক্ষমতা অবশ্যই রাখে। বোনাস হিসাবে তারা পাশে পাবে ক্ষমতার পাগল বিএনপি’র পরীক্ষিত বন্ধুদের। জাগ্রত তরুন প্রজন্মকে রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে সবার্ত্নক প্রতিরোধের মাধ্যমে এই আঘাতকে প্রতিহত করতে হবে। যার জন্য আমাদের অস্ত্র হচ্ছে তথ্য-দলিল। সময় যদিও অনেক কম এবং প্রস্তুতীবিহীন অবস্থাতে আমরা যুদ্ধের ঘোষনা দিয়েছি তবুও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদেরকে সবার নিকট সত্য ও সঠিক তথ্য প্রচারের দ্রুততম পথটি বের করতে হবে। আমাদের জন্য অনুপ্রেরনা হিসেবে পাশে আশা করছি সকল ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধা, সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবী সমাজকে। সকলকে হৃদয় দিয়ে দাবীগুলোর মহাত্ন অনুধাবন করতে হবে। প্রতিরোধ যদি আমরা করে দিতে পারি তারপর পাল্টা আঘাত করার ক্ষমতা বঙ্গবন্ধু কন্যার রয়েছে বলে বিশ্বাস করি।

একটা বিষয় আমাদের গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে হবে তা হচ্ছে “এই জারজ গোষ্টির কোন পরিবার নেই, ধর্ম নেই।নিজেদের রক্ষায় সম্ভব সকল খারাপের আশ্রয় তারা নিবেই। মাঠ থেকে ধান সংগ্রহ আর ধান থেকে চিটা পৃথকীকরন এর পাথর্ক্য আমাদের অনুধাবন করতে হবে। স্বাধীনতার দুইটি প্রজন্মকে জামায়াত দমাতে পেরেছে। এবার আমাদের পরীক্ষা। বোধকরি এই পরীক্ষায় যদি উত্তীর্ন হতে ব্যর্থ হই তবে আবারও দুইশত বছরের গোলামী কিনতে হবে।


১। সারা দেশেই তরুন সমাজ নিজ নিজ পরিসরে শাহবাগের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে কমর্সূচী পালন করছে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে স্বত:ফূতর্তা থাকলেও ভাষার স্বল্পতা চোখে পড়ার মত। ফলে দিনমজুর, শ্রমিক এবং রাজনীতি ও ইতিহাস বিমূখ যে মানুষেরা উৎসুক মনে আন্দোলনের সংস্পর্শে আসছেন তাদের যৌক্তিক ও মন:পূত প্রত্যয়ী করা যাচ্ছে না। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর একটা বক্তব্য মনে পড়ল “ আন্দোলন সফল করতে হলে সমাজের সকল শ্রেনীর অংশগ্রহন থাকতে হবে।“

প্রস্থাবনাঃ সামগ্রীক বিষয়বস্তু সহ একটি সাধারন বক্তৃতা ব্লগ বা ফেসবুকে প্রচারের মাধ্যমে দেশের সকল প্রান্তের আন্দোলনকারীদের সংগ্রহের আহ্বান করা যেতে পারে। আন্দোলনের উদ্দেশ্য এবং পরিনতি সম্পর্কেও বক্তব্য থাকবে সেখানে। কমর্সূচী চলাকালে তারা প্রদেয় বক্তব্য পাঠ করবে। এতে করে তথ্যগত বিচ্যুতি কমে আসবে এবং আন্দোলনের গতিধারা এবং বক্তব্য সবর্ত্র একই হবে। যে জোয়ার এখন এসেছে তা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হবেনা। বতর্মান উদ্যোমকে কাজে লাগিয়ে মতাদর্শী বাড়াতে হবে। যা গত চল্লিশ বছর ধরে পরিকল্পিত ভাবে করছে জামায়াত।

২। দীর্ঘদিন আন্দোলন কমর্সূচী পালনের ক্ষেত্রে আগ্রহ একটি বড় বিষয়। দিন যত যাবে আগ্রহী সংখ্যা ততই হ্রাস পাবে।এমনকি আস্থার সংকটও দেখা দিতে পারে।

প্রস্তাবনাঃ শুরুতেই যতবেশী যোদ্ধাকে সাংগঠনিক ভাবে সক্রিয় করা যাবে তত আন্দোলন কাঠামো মজবুত হবে।প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ন এলাকাগুলো হতে পারে আমাদের গুরুত্বপূর্ন ইউনিট এবং সাংগঠনিক তৎপরতার সম্ভাব্য স্থান। ঘাতক-দালাল-রাজাকার ও তাদের পৃষ্টপোষকরা গত ৪১ বছর কিভাবে বাংলাদেশকে মুল চেতনা থেকে বিচ্যুত করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধে তাদের নৃশংসতার বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সবর্সাধারনের সামনে তুলে ধরতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সকলের নিকট স্পষ্ট করতে হবে।
২য় ধাপ: সাংগঠনিক কাঠামো সুসংহত হলে প্রতিটি জেলায় মহাসমাবেশ আয়োজন করতে হবে। প্রতিটি মহাসমাবেশে পাশ্ববর্তী জেলা সমুহ অংশ গ্রহন করবে। জাগরনের সেই মঞ্চে জেলাসমূহের সমমনা প্রথিতযশা মুক্তিযোদ্ধা,সমাজকর্মী,সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ববর্গকে উপস্থিত রাখার চেষ্টা করতে হবে। এই কর্মসুচী সফল করার জন্য আমার হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষ্যে এক লক্ষ যোদ্ধা দরকার যাদেরকে আমরা অস্ত্র হিসেবে দেব তথ্য-ভান্ডার।

৩। জেলাসমূহে মহাসমাবেশ বা নিয়মিত কমর্সূচী পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজন সঠিক সমন্বয়। এই সমন্বয়ের জন্য আমাদের পূবর্সূরীদের আরও একবার সবার্ত্বক সংগ্রাম করতে হবে।

প্রস্তাবনা: আমরা বয়সে তরুন। আমাদের পূবর্সূরীরা ৫২, ৭১, ৮৯, ৯২ দেখেছে। তাদের অভিজ্ঞতা অপরিসীম। অতীতের ভূলের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তাই প্রয়োজন তাদের নিবিড় দিক-নিদের্শনা। ভাষাআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গনঅদ্ভুত্থান এর নায়কদের সম্মিলিত ভাবে এই আন্দোলনে মনোনিবেশ করতে হবে। প্রত্যেকটি জেলায় মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড, ঘাতক দালাল নিমূর্ল কমিটির মত সংগঠন আমাদের এই জাগরনের জন্য অগ্রজরা তৈরী করে রেখেছেন। এখন প্রয়োজন সুদক্ষ সমন্বয় এবং সঠিক কমর্পরিকল্পনা।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন প্রস্তাবটি একটু সংকোচ নিয়ে বলছি “ যদিও বিপ্লবীরা নামের বা সুনামের পাগল নয় তবুও নিজ অগোচরের হীনমন্যতা কাউকে যেন পরশ্রীকাতর, দ্বীধাবিভক্ত বা বিপথে পরিচালিত না করে তা নিজেকে নিজে শেখাতে হবে।এই সংগ্রামে দেশের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে, আমাদের প্রজন্মের বিশেষায়ন হবে , পরবর্তী প্রজন্মের নিরাপত্তা নির্ধারিত হবে। হীনমন্যতা ও দ্বীধার দেয়াল যেন কখনই সবর্গ্রাসী না হয়।

দেশপরিচালনার দায়িত্বে আছেন সয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা। দেশপ্রেম, দেশত্ববোধ এবং প্রগতির যে রক্ত তার শরীরে বইছে তার উপর আস্থা আমরা আমাদের জাতিসত্ত্বার কারনেই রাখতে পারি। সিদ্ধান্ত গ্রহনে তিনি অনেক বেশি পরিপক্ক। পরিবার, ইতিহাস, দেশ তাকে যে শিক্ষা দিয়েছে তার সমকক্ষ এই বাংলায় এই চেতনার কেউ নেই। বাবার অসমাপ্ত গুরুত্বপূর্ন এই দায়িত্ব পালনে তিনিও বাবার মতই বলিষ্ঠ হবেন এই আশা করা রাজনীতির কোন যুক্তিতেই বাড়াবাড়ি নয়।

আমাদের কোন সংগ্রাম রক্তছাড়া অর্জিত হয়নি। সংগ্রামের বিচারে, সময়ের বিচারে সবচেয়ে কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ন হওয়ার ডাক এসেছে। আমারা যেন পিছপা না হই। বিশ্বাস আর আস্থার সংকটের কারনে এক বঙ্গবন্ধু হারিয়ে ৪০বছর ধরে ধুকছি। আজ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমুজ্জল বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের যুদ্ধের সময় এসেছে। একদিন তো সবাইকে মরতে হবে। আমরা কোন মরন বেঁছে নেব তার সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে। নাচতে নেমে ঘুমটা দিয়ে কোন লাভ নেই। আমাদের সব রাস্তাই এখনও খোলা। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো অথবা লাখো শহীদের রক্তস্নাত স্বপ্নের সোনার বাংলার শেষ শত্রুগুলোকে নিশ্চিহ্ন করা। সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হবে। শাহবাগ কিন্তু তাহরীর নয়। হাজার তাহরীরের চেয়েও কন্টকাকীর্ন হবে শাহবাগ। আমাদের আবেগ, বিশ্বাস এবং দেশপ্রেমের সবোর্চ্চ প্রয়োগ যদি আমরা করতে পারি তবেই না রচিত হবে নতুন কেতনের ইতিহাস। নতুবা আমাদের ছুড়ে ফেলা হবে নোংরা ডাস্টবিনে, ইতিহাসের কুলাঙ্গার প্রজন্ম বলে। শেষ করছি কবি ও শিল্পী মাকসুদের একটি গানের কয়েকটি লাইন দিয়ে:

আমি কিছু বাঙ্গালীর মৃত্যুদন্ডের দাবী তুলতে চাই।
আমি কিছু বাঙ্গালীর মৃত্যুদন্ডের দাবী তুলতে চাই।
আবার ভাবি মৃত্যুদন্ড! বড্ড হালকা শাস্তি হয়ে যায়।



শুধুমাত্র আবেগ এবং ভালবাসার তাড়নায় নিজের মতামত প্রকাশ করলাম। ভূল-ভ্রান্তি ক্ষমা করবেন।

পুর্ববর্তী পোষ্ট
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৩
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের কবিতা

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৪



বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, লক্ষ প্রাণে লেখা বিজয়ের
সেই সোনালি অক্ষর,
দিকে দিকে শুনি জয়ধ্বনি বাংলাদেশের নামে, এই
স্বাধীনতা কেনা রক্তের দামে;
হৃদয়ে হৃদয়ে বাজে মুক্তির শত গান, ডিসেম্বরে
পেয়েছি আমরা বিজয়ীর সম্মান;
মার্চের সেই অমর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×