
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।
সূরাঃ ৩৯ যুমার, ৬৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭। তারা আল্লাহর যথাযথ সম্মান করে না। কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আকাশ মন্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরীক করে তিনি তার উর্ধ্বে।
সূরাঃ ২০ তা-হা, ৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫। দয়াময় আরশের উপরে সমাসীন আছেন।
সূরাঃ ৬৮ কালাম, ৪২ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪২। যে দিন পায়ের গোছা উম্মুক্ত করা হবে, সেদিন তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা করার জন্য, কিন্তু তারা সক্ষম হবে না।
সূরাঃ ৩৯ যুমার, ৭৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৫। আর তুমি ফিরিশতাদেরকে দেখবে আরশের চার দিকে ঘিরে তাদের প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তাসবিহ পাঠ করছে। আর তাদের বিচার করা হবে ন্যায়ের সাথে। বলা হবে সকল প্রশংসা জগৎসমূহের রব আল্লাহর।
সূরাঃ ৫৮ মুজাদালা, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। তুমি কি লক্ষ্য কর না, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ তা’ জানেন? তিন ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি উপস্থিত থাকেন না এবং পাঁচ ব্যক্তির মধ্যেও হয় না যাতে ষষ্ঠ জন হিসেবে তিনি উপস্থিত থাকেন না। তারা এরচেয়ে কম হউক বা বেশী হোক তিনিতো তাদের সঙ্গেই আছেন উহারা যেখানেই থাকুক না কেন। অতঃপর তারা যা করে; তিনি কিয়ামতের দিন তা’ জানিয়ে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল বিষয় জানেন।
সূরাঃ ৫০ কাফ, ১৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৬। আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রবৃত্তি তাকে যে কুমন্ত্রণা দেয় আমি তা’ জানি। আমি তার ঘাড়ের শিরার থেকেও নিকটতর।
সূরাঃ ২ বাকারা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই এবং যে দিকেই তোমরা মুখ ফিরাও না কেন সেদিকেই আল্লাহর মুখ। নিশ্চয়ই আল্লাহ ওয়াসি (সর্বব্যাপী), সর্বজ্ঞ।
* আল্লাহর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত। কুরসী হলো পা’দানী। তার মানে কুরসীতে রাখা আল্লাহর পায়ে সর্বত্র বিরাজমান। সুতরাং সর্বত্রের যে কোন স্থান থেকে আল্লাহকে সিজদা করলে সেই সিজদা আল্লাহর পা গ্রহণ করে।কিয়ামতের দিন আল্লাহ সর্বত্রকে হাতে নিবেন।আরশে বসা অবস্থায় তাঁর হাতে থাকা পৃথিবীকে তিনি তাঁর পায়ের গোছা বরাবর স্থাপন করবেন।তখন ফেরেশতাদেরকে আরশের চার দিকে ঘিরে তাদের প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তাসবিহ পাঠ করতে দেখা যাবে। তখন আল্লাহ আরশে বসে ন্যায়ের সাথে সবার বিচার করবেন।সর্বত্র আল্লাহর হাত-পা থেকে ছোট। এখন সর্বত্র আছে আল্লাহর পায়ে। কেয়ামতে সর্বত্র থাকবে আল্লাহর হাতে।সবার সাথে আল্লাহ থাকার কথা বলা হয়েছে, তাঁর অংশ থাকার কথা বলা হয়নি। সুতরাং সবার সাথে আল্লাহ নিয়ন্ত্রিত তাঁর কপি আছে। আল্লাহর পায়ের যেথানে আমাদের বসবাস এর সব দিকে আল্লাহর কপির মুখচ্ছবি আছে। সেজন্য আমরা যে দিকেই মুখ ফিরাই সেদিকেই আল্লাহর মুখ। আল্লাহ বসে আছেন আরশের উপর। তাঁর পায়ের গোছা ও পায়ের পাতা আরশের নীচে।সংগত কারণে আল্লাহকে আরশের উপর সীমাবদ্ধ করলে তাঁর সরাসরি কুফুরী হয়। আর সর্বত্র আল্লাহর কপি বিদ্যমাণ বিধায় তাঁকে সর্বত্র বিরাজমাণ নয়ূ বললে তাঁর কুফুরী হয়। আল্লাহর কপি সমূহ গায়েব বিধায় আমরা দেখেতে পাই না। আল্লাহর কপি গায়েব বিধায় তাতে নাপাক লাগে না।গায়েব আল্লাহকে কেউ কোন দিন দেখবে না। হাজের আল্লাহ জান্নাতে জান্নাতীদের সাথে দেখা দিবেন। হাজের আল্লাহ এবং গায়েব আল্লাহ মিলে আল্লাহ একজন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



