কোরআন শরীফ অর্থসহ পড়ছিলাম । রমজান মাস আসন্ন হলেই এই কাজটা আমি করি । তো কোরআন শরীফ পাঠ করতে গিয়ে যেটা দেখলাম তাহলো, আল্লাহ নবী রাসূলদের পাঠানোর পর তাদের কিছু অলৌকিক শক্তি দিতেন বা আল্লাহর তরফ থেকে কিছু করে দেখাতেন যাকে মোজেজা বলে । এসব করার উদ্দেশ্যে ছিল যাতে মানুষ আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারে আর আল্লাহর প্রেরিত নবী রাসূলদের মেনে নেয় ।
যেমন, হযরত সালেহ আ. এর সময়ে পাহাড় থেকে উট বের করে দেখানো হয়েছিল , হজরত ঈসা আ. অন্ধকে ভালো করা , মৃতকে জীবিত করা এরকম ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন, মুসা আ. এর আসা নামের জাদুর লাঠি ছিলো , মুহাম্মদ স. চাঁদকে দুইভাগ করেছিলেন !
তো এসব জেনে আমার মনে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তাহল, সেই হাজার হাজার বছর আগের মানুষ যেসময়ে জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি এতোটা উন্নত ছিলোনা , কুসংস্কার আচ্ছন্ন ছিল সেসময়কার মানুষই মোজেজা ছাড়া ঈমান আনতে চাইতো না ; আর বর্তমান যুগে জ্ঞান বিজ্ঞান এত উন্নত, এত আধুনিক প্রযুক্তি চলে এসেছে তো এই যুগে যদি এমন কিছু মোজেজা দেখানো হতো তবে আরো বেশি মানুষ ঈমান আনতে পারতো।
ঐযুগের মানুষই নবী রাসূল আসমানী কিতাব আল্লাহ এসবে বিশ্বাস করতো না সহজে মোজেজা ছাড়া আর এই আধুনিক যুগে ইউরোপ আমেরিকা , জাপান কোরিয়া এসব অঞ্চলের মানুষেরা কিভাবে ঈমান আনার ব্যাপারে উৎসাহী হবে মোজেজা ছাড়া ।
আগের যুগের মানুষকে যদি মোজেজা দেখিয়ে ঈমান আনানোর উদ্যোগ নেয়া হয় তবে বর্তমান যুগের মানুষ কি দোষ করলো !
এনিওয়ে, আমার ভাবনায় ভুল বা অসঙ্গতি থাকতে পারে । এজন্য আগেই দুঃখ প্রকাশ করছি। এরকম হলে যাদের কাছে এর উত্তর আছে তাদের কাছে উত্তরটা চাইছি ।
আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন , আমিন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৯