somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামের মোজেজা আর এযুগের মানুষ | পর্যবেক্ষণ পোস্ট

১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কোরআন শরীফ অর্থসহ পড়ছিলাম । রমজান মাস আসন্ন হলেই এই কাজটা আমি করি । তো কোরআন শরীফ পাঠ করতে গিয়ে যেটা দেখলাম তাহলো, আল্লাহ নবী রাসূলদের পাঠানোর পর তাদের কিছু অলৌকিক শক্তি দিতেন বা আল্লাহর তরফ থেকে কিছু করে দেখাতেন যাকে মোজেজা বলে । এসব করার উদ্দেশ্যে ছিল যাতে মানুষ আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারে আর আল্লাহর প্রেরিত নবী রাসূলদের মেনে নেয় ।

যেমন, হযরত সালেহ আ. এর সময়ে পাহাড় থেকে উট বের করে দেখানো হয়েছিল , হজরত ঈসা আ. অন্ধকে ভালো করা , মৃতকে জীবিত করা এরকম ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন, মুসা আ. এর আসা নামের জাদুর লাঠি ছিলো , মুহাম্মদ স. চাঁদকে দুইভাগ করেছিলেন !


তো এসব জেনে আমার মনে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তাহল, সেই হাজার হাজার বছর আগের মানুষ যেসময়ে জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি এতোটা উন্নত ছিলোনা , কুসংস্কার আচ্ছন্ন ছিল সেসময়কার মানুষই মোজেজা ছাড়া ঈমান আনতে চাইতো না ; আর বর্তমান যুগে জ্ঞান বিজ্ঞান এত উন্নত, এত আধুনিক প্রযুক্তি চলে এসেছে তো এই যুগে যদি এমন কিছু মোজেজা দেখানো হতো তবে আরো বেশি মানুষ ঈমান আনতে পারতো।

ঐযুগের মানুষই নবী রাসূল আসমানী কিতাব আল্লাহ এসবে বিশ্বাস করতো না সহজে মোজেজা ছাড়া আর এই আধুনিক যুগে ইউরোপ আমেরিকা , জাপান কোরিয়া এসব অঞ্চলের মানুষেরা কিভাবে ঈমান আনার ব্যাপারে উৎসাহী হবে মোজেজা ছাড়া ।

আগের যুগের মানুষকে যদি মোজেজা দেখিয়ে ঈমান আনানোর উদ্যোগ নেয়া হয় তবে বর্তমান যুগের মানুষ কি দোষ করলো !

এনিওয়ে, আমার ভাবনায় ভুল বা অসঙ্গতি থাকতে পারে । এজন্য আগেই দুঃখ প্রকাশ করছি। এরকম হলে যাদের কাছে এর উত্তর আছে তাদের কাছে উত্তরটা চাইছি ।


আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন , আমিন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৯
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×