আপনি কি ব্লগার ? তাহলে এ লেখা আপনার জন্য
সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বের ইসলাম কেয়ামত পর্যন্ত পুরোনো হবে না। কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন “ ইসলামই আমার নিকট একমাত্র গ্রহণযেগ্য ধর্ম। ” আবু জেহেল, আবূ লাহাব সহ তাদের হাজারো অনুসারী ইসলামের আওয়াজকে বন্ধ করে দেবার জন্য এমন কোন ষড়যন্ত্র নেই যা প্রয়োগ করেনি। পরিণামে তারাই ইতিহাসের আস্তাখুড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। যারা ইসলামকে প্রতিদন্দ্বি মনে করে এর আওয়াজকে বন্ধ করে দিতে চেয়েছে তারাই এক সময় ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছে। শত্রুরা কোরআনের ৬৬৬৬ খানা আয়াতের মধ্যে হতে কোন ভুল ত্রুটি বের করে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। মুহাম্মদ (স) এর নব্যুওয়াতী জিন্দেগী গবেষণা করে জীবনে ১টি বার মিথ্যা বলেছেন এমন কোন প্রমাণ বের করাতে কেউ সক্ষম হয়নি। আল্লাহ তায়ালা তার নবীর প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন “ আপনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী। ” “ সে পর্যন্ত কেউ পুনঃ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষন পর্যন্ত তার নিজের জীবনের চেয়ে আপনি রাসুল প্রিয় হবেন।” রাসুলের মিশন যারা থামিয়ে দিতে চেয়েছেন তারাও চূড়ান্ত পর্যায়ে রাসূলের আদর্শকে সত্য বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন। আল্লাহ তার রাসূলের (স) এর মর্তবা বৃদ্ধি করেছেন। কোরআনের ১টি আয়াতের মতো আয়াত তৈরী করার বিষয়ে আল্লাহর দেয়া চ্যালেঞ্জ কেয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে আর কেয়ামত পর্যন্ত অবিশ্বাসীরাও থাকবে । কিন্তু কোরআনের কোন ক্ষতি হবে না হতে পারে না।
আল্লাহ প্রদত্ত মৃত্যুর আয়াত
► “ প্রত্যেক প্রাণীতে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে” আজও বলবৎ আছে। কোন ব্লগার, কোন বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক তা বন্ধ করতে পারেনি, পারবে না।
►রূহ সম্পর্কে আল্লাহর দেয়া আয়াত “ রূহ আমার একটি নির্দেশ” আজ পর্যন্ত কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য আবিষ্কার করে রুহকে আটকিয়ে রাখতে পারেনি, কুরআনের অগ্রযাত্রাকে কিভাবে রুখবে।
► কোরআন সম্পর্কে আল্লাহ বলেন “ এই সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই, পথ প্রদর্শণকারী পরহেযগারদের জন্য, যারা অদেখা বিষয় সমূহকে বিশ্বাস করে। ”
►“ যারা বিশ্বাস করে সে সব বিষয়ের উপর যা তোমার প্রতি নাযিল হয়েছে। ”
এর পরেও যারা ইসলামের মূল ভিত্তি কুরআন- হাদীস, নবী-রাসূলদের নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত: অজ্ঞাত প্রভুদেরকে খুশী করতে খুন খারাবির মতো ঘটনা তৈরীতে ইন্ধন যোগায় তাদের ব্যাপারে আল্লাহর হুশিয়ারী হলো : -
► “ নিশ্চিতিই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। । আল্লাহ তাদের অন্তকরন এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখ সমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি । ”
আজ যারা সমাজে শৃঙ্খলা নষ্ট করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে তারা প্রায় সকলেই মুসলমান পরিচয় প্রদান করে। ইসলামী নাম ধারন করে, ইসলামী আচার অনুষ্ঠানও করে, আবার মুক্তচিন্তা বা মুক্তমনা বলেও দাবী করে। মুক্তমনার দাবীতে খোদ ইসলামী শরা শরিয়েতের ভুল ভ্রান্তি অনুসন্ধান করে তা জনসম্মুখে প্রচার করে। এদের বিষয়েও আল্লাহর সতর্কতা আছে : -
► “ আর মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা বলে আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ইমান এনেছি অথচ অদৌ তারা ইমানদার নয়, তারা আল্লাহ এবং ইমানদারদের ধোঁকা দেয় , অথচ তারা এতে নিজেদেরকে ছাড়া কাউকে ধোকা দেয়না , অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না। “
#### কতো কথা , আল্লাহ কত কথা বলেছেন , আমরা কি তা অধ্যায়ন করি ####
শরিয়তের ব্যাপারে যারা মিথ্যাচার করে তাদের বিষয়ে আল্লাহ বলেন : -
► তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্থ আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরে বাড়িয়ে দিয়েছেন, বস্তুত তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন। “
► আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনীয়ার বুকে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে আমরাতো মিমাংসার পথ অবলম্বন করেছি। মনে রেখ তারাই দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করেনা। “
যারা ইমানদারদের দেখে নাক সিটকায়, শরিয়ত না মেনে নিজেদেরকে খুব চালাক মনে করে তাদের বিষয়ে আল্লাহ বলেন :
► আর যখন তাদেরকে বলা হয় অন্যরা যেমন ইমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ইমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ইমান আনব বোকাদের মতো, মনে রেখ, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা ,কিন্তু তারা তা বোঝে না। ”
শরিয়ত নিয়ে যারা উপহাস করেন, তাদের বিষয়ে আল্লাহ বলেন :
► বরং আল্লাহই তাদের সাথে উপহাস করেন, আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে। ”
► তারা বধির, মুখ ও অন্ধ। সুতরায় তারা ফিরে আসবে না। ”
পরিশেষে :
►► ব্লগার বন্ধুদেরকে বলব যে যাই করিনা কেন, যে মতবাদে বিশ্বাসী হইনা কেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার ব্লগার বন্ধুদেরকে ভালবাসি। দুনীয়ার জীবনে যেমন পরস্পর পরস্পরের সাথে গায়ে গা মিলেয়ে রয়েছি, তেমনি পরকালেও একসাথে থাকার নিয়্যত রাখি। হাসছেন, পরকাল থাকলেইতো ? বন্ধু এ বিষয়ে আর একদিন কথা হবে। তবে, এখন একটা বার্তা দিতে চাই। তা হলো, পরকাল যদি না থাকে তবে তোমার জন্য যেমন ভাল আমার জন্যও ভাল। কিন্তু যদি থাকে ? জাহান্নামের আগুন কতক্ষণ সহ্য করতে পারবো । মনকে একবার সুধাইও।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬