somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেঘের চিঠি - ২

০৩ রা জুলাই, ২০০৯ সকাল ৭:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বৃষ্টির দিনে কোথাও নীচের কথা গুলো লিখে রেখেছিলঃ

বৃষ্টি তুমি কে?

...আমি!?...আমাকে চিনতে পারো নি...ঐ যে সেদিনও তো আমি ছিলাম তোমার চারপাশে...তোমায় শক্তি দিয়েছিলাম...প্রেরণা দিয়েছিলাম...নতুন করে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহ জুগিয়েছিলাম...হয়তো চোখের কোণে কয়েক ফোঁটা অশ্রুও ঝরিয়েছিলাম...সেই তো আমি...বৃষ্টি ভেজা এক দিন ~

...

হঠাৎ একদিনঃ

"লেখাগুলো যেন এক অন্ধকার গুহায় এক চিলতে রোদের মতো, স্তব্ধ বনের প্রান্তে নীল নদীর কলতানের মতো, ঘুমন্ত শহরে পাখির কিচির মিচিরের মতো, ভোরের মতো প্রবেশ করলো আমার মনের কুটিরে...মনে হলো বৃষ্টির ফোঁটাগুলো যেন ছিটকে পড়ছে আমার জানালায়...মনে হলো সে যেন মেঘ হয়ে ঝরছে আমার উঠোনে...অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম ঐ শব্দগুলোর দিকে...এতো সুন্দর করে কেও লিখতে পারে? কি চমৎকার ভাবেই না মানুষটি বৃষ্টি ফোঁটাগুলো দিয়ে তার নিজের পাতা ভিজিয়ে ফেলেছেন..কে সে? কোত্থেকে উদয় হলেন আপনি? এতোদিন কি মেঘের আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন যে আমার চোখ দর্শন পাইনি আপনার...ও আচ্ছা বুঝতে পেরেছি আপনি বৃষ্টি ভেজা এক দিন...

কি আশ্চর্য, কি অদ্ভুত মিল আছে আমার আর বৃষ্টিতে ভেজা দিনের কল্পনাতে...তীব্র এক আকর্ষণ বোধ করছি...ঠিক করলাম আপনার কিছু জলের ফোঁটা আমি নিয়ে নেব...উড়িয়ে মন ঘুড়িতে আপনার ঠিকানা বের করে ফেললাম...একদিন বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে উপস্থিত হলাম তার দরজায়...পৃথিবীর শান্তির যদি কোন জায়গা থেকে থাকে তাহলে বলবো এই ছোট্ট কুটিরটায় সেটা...শত শত সবুজ বৃক্ষ দিয়ে ঘেড়া...টিনের চাঁলের সেই ছোট্ট কুটিরের উত্তর মুখি দখিন মুখির জানালা সব খুলে দিয়ে ছোট্ট চেয়ার টেবিলে গাঢ় ধুসর পাঞ্জাবিতে একজন দরজার দিকে পিঠ দিয়ে বসে রয়েছেন...দৃষ্টি বাহিরের অঝর ধারার দিকে...সব মনোযোগ চাঁলের উপর বর্ষিত যুগল-বন্দি ধরে রেখেছে...তাই তো আমার উপস্থিতি ঠের পাননি...

আমি ফেসফেঁসে ভাঙ্গা স্বরে জিজ্ঞেস করলাম, বর্ষার যুগল বন্দি কেমন লাগে আপনার? চমকে তাকালেন ভেজা কাকের দিকে...পরক্ষণে সামলে নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন আমার কাছে..."বর্ষাকে জিজ্ঞেস করছেন তার কাছে তার নৃত্য কেমন?" উত্তরের অপেক্ষা না করেই আরেকটি প্রশ্ন, "আপনার পরিচয় জানতে পারলে খুশি হতাম"...কি বলব? হুমম..."আমি আপনার একজন ভক্ত...আপনার চিন্তাধারায় আমার নিঃশব্ধ কথাগুলোর স্থান পায় বলে দরজায় কড়া নাড়লাম...আপনার শিষ্য হতে এলাম"...বৃষ্টির দিনের কপালে একটু ভাজের রেখা দেখা দিল...আমি মুখ ফসকে বলে ফেললাম, "কি হয়েছে, কপালে ভাঁজ কেন? তার ঠোঁটে আবার হাসি ফিরে এলো...যেন আমি তার পরিচিত এবং অনেক প্রিয় একটি লাইন মনে করিয়ে দিয়েছি...তিনি কিছু বললেন না...শুধু একটা বিরাট হাসি দিলেন...

কিছুদিন পর আবার উপস্থিত হলাম...তিনি জিজ্ঞেস করলেন আমি কেন তার শিষ্য হতে চাই...এও বললেন কাওকে যদি গুরু মানতে হয় তাহলে রবি ঠাকুরকে মানতে...তার সমস্ত প্রেরণা তিনি রবিঠাকুরের কাছ থেকেই পান..কিন্তু আমি তাকে বললাম, আমার যে রবিঠাকুরের জ্ঞানের প্রাচুর্য্য বোঝার সামর্থ্য নেই...আপনি বুঝিয়ে দিবেন আমি শুনব...আমার প্রেরণাতো আপনি...আপনার সাধারণ কথাগুলোকেও আমার কাছে প্রিয় হয়ে যায়...আমার মনে হয় আমার কল্পনাগুলো আপনি একেঁ দেন...আমাকে মেনে নিতেই হল তার শিষ্য...এবং এও কথা দিতে হল যে আমি তার একমাত্র শিষ্য থাকব...

তিনি জিজ্ঞেস করলেন শিষ্য তোমার নাম কি? আমি বললাম, আপনি বলে দেননা...কি নামে ডাকবেন আমায়...তিনি যেন নামটা আমার জন্যই ঠোঁটের আগায় এনে রেখেছিলেন...বললেন, "শশী"...আমি হাসলাম...বড়ই সৌন্দর্য নাম...ঠিক আছে আজ থেকে আপনি আমার গুরু! আর আমি হলাম শশী..."

পরের চিঠিটা
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:১৭
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×