বৃষ্টির দিনে কোথাও নীচের কথা গুলো লিখে রেখেছিলঃ
বৃষ্টি তুমি কে?
...আমি!?...আমাকে চিনতে পারো নি...ঐ যে সেদিনও তো আমি ছিলাম তোমার চারপাশে...তোমায় শক্তি দিয়েছিলাম...প্রেরণা দিয়েছিলাম...নতুন করে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহ জুগিয়েছিলাম...হয়তো চোখের কোণে কয়েক ফোঁটা অশ্রুও ঝরিয়েছিলাম...সেই তো আমি...বৃষ্টি ভেজা এক দিন ~
...
হঠাৎ একদিনঃ
"লেখাগুলো যেন এক অন্ধকার গুহায় এক চিলতে রোদের মতো, স্তব্ধ বনের প্রান্তে নীল নদীর কলতানের মতো, ঘুমন্ত শহরে পাখির কিচির মিচিরের মতো, ভোরের মতো প্রবেশ করলো আমার মনের কুটিরে...মনে হলো বৃষ্টির ফোঁটাগুলো যেন ছিটকে পড়ছে আমার জানালায়...মনে হলো সে যেন মেঘ হয়ে ঝরছে আমার উঠোনে...অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম ঐ শব্দগুলোর দিকে...এতো সুন্দর করে কেও লিখতে পারে? কি চমৎকার ভাবেই না মানুষটি বৃষ্টি ফোঁটাগুলো দিয়ে তার নিজের পাতা ভিজিয়ে ফেলেছেন..কে সে? কোত্থেকে উদয় হলেন আপনি? এতোদিন কি মেঘের আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন যে আমার চোখ দর্শন পাইনি আপনার...ও আচ্ছা বুঝতে পেরেছি আপনি বৃষ্টি ভেজা এক দিন...
কি আশ্চর্য, কি অদ্ভুত মিল আছে আমার আর বৃষ্টিতে ভেজা দিনের কল্পনাতে...তীব্র এক আকর্ষণ বোধ করছি...ঠিক করলাম আপনার কিছু জলের ফোঁটা আমি নিয়ে নেব...উড়িয়ে মন ঘুড়িতে আপনার ঠিকানা বের করে ফেললাম...একদিন বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে উপস্থিত হলাম তার দরজায়...পৃথিবীর শান্তির যদি কোন জায়গা থেকে থাকে তাহলে বলবো এই ছোট্ট কুটিরটায় সেটা...শত শত সবুজ বৃক্ষ দিয়ে ঘেড়া...টিনের চাঁলের সেই ছোট্ট কুটিরের উত্তর মুখি দখিন মুখির জানালা সব খুলে দিয়ে ছোট্ট চেয়ার টেবিলে গাঢ় ধুসর পাঞ্জাবিতে একজন দরজার দিকে পিঠ দিয়ে বসে রয়েছেন...দৃষ্টি বাহিরের অঝর ধারার দিকে...সব মনোযোগ চাঁলের উপর বর্ষিত যুগল-বন্দি ধরে রেখেছে...তাই তো আমার উপস্থিতি ঠের পাননি...
আমি ফেসফেঁসে ভাঙ্গা স্বরে জিজ্ঞেস করলাম, বর্ষার যুগল বন্দি কেমন লাগে আপনার? চমকে তাকালেন ভেজা কাকের দিকে...পরক্ষণে সামলে নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন আমার কাছে..."বর্ষাকে জিজ্ঞেস করছেন তার কাছে তার নৃত্য কেমন?" উত্তরের অপেক্ষা না করেই আরেকটি প্রশ্ন, "আপনার পরিচয় জানতে পারলে খুশি হতাম"...কি বলব? হুমম..."আমি আপনার একজন ভক্ত...আপনার চিন্তাধারায় আমার নিঃশব্ধ কথাগুলোর স্থান পায় বলে দরজায় কড়া নাড়লাম...আপনার শিষ্য হতে এলাম"...বৃষ্টির দিনের কপালে একটু ভাজের রেখা দেখা দিল...আমি মুখ ফসকে বলে ফেললাম, "কি হয়েছে, কপালে ভাঁজ কেন? তার ঠোঁটে আবার হাসি ফিরে এলো...যেন আমি তার পরিচিত এবং অনেক প্রিয় একটি লাইন মনে করিয়ে দিয়েছি...তিনি কিছু বললেন না...শুধু একটা বিরাট হাসি দিলেন...
কিছুদিন পর আবার উপস্থিত হলাম...তিনি জিজ্ঞেস করলেন আমি কেন তার শিষ্য হতে চাই...এও বললেন কাওকে যদি গুরু মানতে হয় তাহলে রবি ঠাকুরকে মানতে...তার সমস্ত প্রেরণা তিনি রবিঠাকুরের কাছ থেকেই পান..কিন্তু আমি তাকে বললাম, আমার যে রবিঠাকুরের জ্ঞানের প্রাচুর্য্য বোঝার সামর্থ্য নেই...আপনি বুঝিয়ে দিবেন আমি শুনব...আমার প্রেরণাতো আপনি...আপনার সাধারণ কথাগুলোকেও আমার কাছে প্রিয় হয়ে যায়...আমার মনে হয় আমার কল্পনাগুলো আপনি একেঁ দেন...আমাকে মেনে নিতেই হল তার শিষ্য...এবং এও কথা দিতে হল যে আমি তার একমাত্র শিষ্য থাকব...
তিনি জিজ্ঞেস করলেন শিষ্য তোমার নাম কি? আমি বললাম, আপনি বলে দেননা...কি নামে ডাকবেন আমায়...তিনি যেন নামটা আমার জন্যই ঠোঁটের আগায় এনে রেখেছিলেন...বললেন, "শশী"...আমি হাসলাম...বড়ই সৌন্দর্য নাম...ঠিক আছে আজ থেকে আপনি আমার গুরু! আর আমি হলাম শশী..."
পরের চিঠিটা
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




