somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেঘের চিঠি - ৫

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের চিঠিটা

শশীঃ ....শশী ঠিক করেছে...সে তার প্রিয় গুরুর মুখ থেকে বের হওয়া প্রতিটি শব্দ তার ডায়রী তে বন্দি করে ফেলবে...গুরুর অনুভূতি, তার চিন্তা, কল্পনা সব কিছুই একেঁ রাখবে তার ডায়রীর পাতায়...গুরু আর বিহন বনে করা ছোট ছোট গল্প গুলো সে তুলে রাখবে ঐ ডায়রী পাতা গুলোতে...কারণ এগুলো শশীর প্রিয় কিছু কথা...এগুলো কোনো দিন ও পুরোনো হবে না...শশী হারিয়ে গেলেও কথা গুলো পুরোনো হবে না...জীবনের কোনো প্রান্তে এসে শশী ফিরে দেখবে এই ডায়রীর পাতা...এগুলো তাকে মনে করিয়ে দিবে...

...

শশীঃ আচ্ছা এবার আপনার চিঠির উত্তর দিয়

"...আপনার নিজের শব্দ-ভান্ডার-ই তো ঐশ্বর্য্যতে ভরপুর...খামোকা অন্যের ফুটো ঝুড়ি চুরি করতে চান কেন...এ আপনার ভারিয়ে বলা...আমি মোটেও অতটা ভালো লিখিনা যেমনটি আপনি লিখলেন...তবে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে কার্পন্য করবোনা...অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে...আসলে ব্যাপার কি জানেন...আমি লিখিই হৃদয় থেকে...যেটি আমি হৃদয় দিয়ে যেমনটি অনুভব করি সেটিয় আমার লেখার ভাষা হয়ে যায়...সব সময় ফুটিয়ে তুলতে পারি দাবী করবোনা...তবে আমি চেষ্টা করি আমার হৃদয়ের ভাষাটাকেই ফুটিয়ে তুলতে...মেঘ যেমন বুক ছিড়ে কান্না ঝরায় আমিও তেমনি হৃদয়ে থেকে শব্দ ঝরায়...একটা একটা করে...বৃষ্টি তোমাকে দিলাম শুনছি...গানটা অসাধারণ, না?

'আমার সারাটি দিন, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি তোমাকে দিলাম'

আপনার জন্যও অসংখ্য শুভ কামনা রইলো...

ভালো থাকবেন...

বিদায়..."

- এতো সুন্দর করে কেও চিঠি লিখতে পারে! না আমি চুরি করবোই ঐ শব্দের ঝুরিটা যদি আপনি আপনি নিজ থেকে কিছু ফুল আমাকে দেন তাহলে ভেবে দেখবো...আমি নিলাম একজনের সারাটি দিন, মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি...


...

বৃষ্টির দিনেঃ আমার ও এমন উদ্ভট কাজ করতে বেশ মজা লাগে...আর পাব্লিক যদি ভড়কে যায় তাইলে তো আরো মজা...এ জন্যই...তবে তুমি দেখা যাচ্ছে আমাকেও ছাড়িয়ে যাবে...না গুড়ের চা কখনো খায়নি তাও আবার খালি পায়ে ঠান্ডার ভেতর ঘাসের উপর দাড়িয়ে...উরিব্বাস! ভাবতেই তো গায়ে শিহরণ জাগছে...এ কিন্তু ভারি অন্যায়...আমার ভেতর এমন লোভ জাগিয়ে দেয়ার জন্য তোমার শাস্তি পাওয়া উচিত...দাড়াও ভেবে চিন্তে কি শাস্তি দেয়া যায় বের করি...

ভালো থেকো। লিখো সময় পেলে..এটাই তোমার শাস্তি।

শশীঃ শাস্তিটা স্বইচ্ছায় মাথা পেতে নিলাম

...

বৃষ্টির দিনেঃ আবার আসিব আমি এই বিহন বনে
শশী যেখানে জ্যোৎস্না আলোকিত করেছে সেই বনে

শশীঃ আমি অপেক্ষায় থাকবো গাছের আড়াল থেকে

...

বৃষ্টির দিনেঃ তোমার এই "কড়া" শব্দটা এতো জোস না!! tooo joSSSS

শশীঃ যা বলেন না আপনি!!...

...

বৃষ্টির দিনেঃ আজ সারাদিন তোমার সাথে কতক্ষণ কথা বললাম বলো তো!!..5 hrs?..আজ পার্কে গিয়েছিলাম এমনকি সেখানেও আমি মাথা নীচু করে হাসছিলাম..এই জিনিসটাও রেকর্ড করে রাখার মতো..দাড়াও বিহন বন থেকে বের হয়ে নিয়..সব কটা কথা আর এই হাসির হিসেব ডায়রী তে লিখে রাখবো লিখতে না পারি আমার হৃদয় মন্দিরের দেয়ালে একেঁ রাখবো

শশীঃ আমি রেকর্ড করে রাখলাম

...

বৃষ্টির দিনেঃ আরে রাখো রাত...এখনো দশটাও বাজে নি...আমার না ১১ টায় যাওয়ার কথা...আর ও একঘন্টা আছে..এই পুরোটা ঘন্টা আমি বিহন বনে কাটাবো...বসন্ত বাতাস খাবো আর টো টো ঘুরবো

...

বৃষ্টির দিনেঃ এখন মান ভেঙ্গেছে বল?

...

বৃষ্টির দিনেঃ আমি বৃষ্টি...আমি আকাশ থেকে কেবল মাটিতে ঝরতে জানি...মাঝে মাঝে মানুষের চোখে

শশীঃ আপনার সেই ফোটা গুলো আমি আমার কলমের কালিতে মিশিয়ে দিব...যখন লিখবো তখন আপনি আমার লেখা হয়ে যাবেন...

...

শশীঃ উড়িয়ে মন ঘুরিতে একটা ফুল দিলাম তুলে...সালাম গুরুজান!!

বৃষ্টির দিনেঃ ঘুড়ি থেকে ফুল নিলাম খুলে

শশীঃ thnx for accepting my wish

...

বৃষ্টির দিনেঃ জানো আজ ট্রেনে করে আসতে আসতে রবি ঠাকুরের একটা গল্প পড়ছিলাম...সেই গল্পেও একটা বন আছে...পড়তে পড়তে আমি মনে মনে তোমার সাথে আজ কি বলবো সেগুলো গোছাচ্ছিলাম...বলবো ভাবছিলাম, "জানো আজ না বনে হাটার সময় একটা চিঠি কুড়িয়ে পেয়েছি...শশী যেহেতু আমার সাথেই ছিল...সে অবাক দৃষ্টি মেলে আমার দিকে তাকালো যেন কিছুই জানে না...আমি আবার বললাম, "জানো চিঠিটা কার?""

- তারপর!

শশী বেশ জোড়ের সাথেই মাথা দুলিয়ে যা বুঝালো তা হচ্ছে, সে জানে না চিঠিটা কার...বনে যেহেতু আমার মানুষ তিনজন...শশী যদি না হয় তাইলে নিশ্চই বিহনের...আমি আবার শশীকে জিজ্ঞেস করলাম, "আচ্ছা চিঠিটা বিহনের হতে পারে না?"...সেই চিঠি কার হবে?...শশী না বিহনের?

শশীঃ চিঠির ইতিতে লেখা থাকবে কার

পরের চিঠিটা
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:৩৬
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জেনারেল রাও ফরমান আলী ছিল ইন্ডিয়ান 'র'-এর এজেন্ট

লিখেছেন ধূসর সন্ধ্যা, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২২



জেনারেল রাও ফরমান আলী ছিল ইন্ডিয়ান 'র'-এর একজন এজেন্ট। এই তথ্য কেউ জানতো না। তার ফ্যামিলিও জানতো না। ১৯৪১ সালে বর্ডার ক্রস করে সে ঢুকেছিল পাকিস্তান। তারপর আস্তে আস্তে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×