আগের চিঠিটা
শশীঃ ....শশী ঠিক করেছে...সে তার প্রিয় গুরুর মুখ থেকে বের হওয়া প্রতিটি শব্দ তার ডায়রী তে বন্দি করে ফেলবে...গুরুর অনুভূতি, তার চিন্তা, কল্পনা সব কিছুই একেঁ রাখবে তার ডায়রীর পাতায়...গুরু আর বিহন বনে করা ছোট ছোট গল্প গুলো সে তুলে রাখবে ঐ ডায়রী পাতা গুলোতে...কারণ এগুলো শশীর প্রিয় কিছু কথা...এগুলো কোনো দিন ও পুরোনো হবে না...শশী হারিয়ে গেলেও কথা গুলো পুরোনো হবে না...জীবনের কোনো প্রান্তে এসে শশী ফিরে দেখবে এই ডায়রীর পাতা...এগুলো তাকে মনে করিয়ে দিবে...
...
শশীঃ আচ্ছা এবার আপনার চিঠির উত্তর দিয়
"...আপনার নিজের শব্দ-ভান্ডার-ই তো ঐশ্বর্য্যতে ভরপুর...খামোকা অন্যের ফুটো ঝুড়ি চুরি করতে চান কেন...এ আপনার ভারিয়ে বলা...আমি মোটেও অতটা ভালো লিখিনা যেমনটি আপনি লিখলেন...তবে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে কার্পন্য করবোনা...অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে...আসলে ব্যাপার কি জানেন...আমি লিখিই হৃদয় থেকে...যেটি আমি হৃদয় দিয়ে যেমনটি অনুভব করি সেটিয় আমার লেখার ভাষা হয়ে যায়...সব সময় ফুটিয়ে তুলতে পারি দাবী করবোনা...তবে আমি চেষ্টা করি আমার হৃদয়ের ভাষাটাকেই ফুটিয়ে তুলতে...মেঘ যেমন বুক ছিড়ে কান্না ঝরায় আমিও তেমনি হৃদয়ে থেকে শব্দ ঝরায়...একটা একটা করে...বৃষ্টি তোমাকে দিলাম শুনছি...গানটা অসাধারণ, না?
'আমার সারাটি দিন, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি তোমাকে দিলাম'
আপনার জন্যও অসংখ্য শুভ কামনা রইলো...
ভালো থাকবেন...
বিদায়..."
- এতো সুন্দর করে কেও চিঠি লিখতে পারে! না আমি চুরি করবোই ঐ শব্দের ঝুরিটা যদি আপনি আপনি নিজ থেকে কিছু ফুল আমাকে দেন তাহলে ভেবে দেখবো...আমি নিলাম একজনের সারাটি দিন, মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি...
...
বৃষ্টির দিনেঃ আমার ও এমন উদ্ভট কাজ করতে বেশ মজা লাগে...আর পাব্লিক যদি ভড়কে যায় তাইলে তো আরো মজা...এ জন্যই...তবে তুমি দেখা যাচ্ছে আমাকেও ছাড়িয়ে যাবে...না গুড়ের চা কখনো খায়নি তাও আবার খালি পায়ে ঠান্ডার ভেতর ঘাসের উপর দাড়িয়ে...উরিব্বাস! ভাবতেই তো গায়ে শিহরণ জাগছে...এ কিন্তু ভারি অন্যায়...আমার ভেতর এমন লোভ জাগিয়ে দেয়ার জন্য তোমার শাস্তি পাওয়া উচিত...দাড়াও ভেবে চিন্তে কি শাস্তি দেয়া যায় বের করি...
ভালো থেকো। লিখো সময় পেলে..এটাই তোমার শাস্তি।
শশীঃ শাস্তিটা স্বইচ্ছায় মাথা পেতে নিলাম
...
বৃষ্টির দিনেঃ আবার আসিব আমি এই বিহন বনে
শশী যেখানে জ্যোৎস্না আলোকিত করেছে সেই বনে
শশীঃ আমি অপেক্ষায় থাকবো গাছের আড়াল থেকে
...
বৃষ্টির দিনেঃ তোমার এই "কড়া" শব্দটা এতো জোস না!! tooo joSSSS
শশীঃ যা বলেন না আপনি!!...
...
বৃষ্টির দিনেঃ আজ সারাদিন তোমার সাথে কতক্ষণ কথা বললাম বলো তো!!..5 hrs?..আজ পার্কে গিয়েছিলাম এমনকি সেখানেও আমি মাথা নীচু করে হাসছিলাম..এই জিনিসটাও রেকর্ড করে রাখার মতো..দাড়াও বিহন বন থেকে বের হয়ে নিয়..সব কটা কথা আর এই হাসির হিসেব ডায়রী তে লিখে রাখবো লিখতে না পারি আমার হৃদয় মন্দিরের দেয়ালে একেঁ রাখবো
শশীঃ আমি রেকর্ড করে রাখলাম
...
বৃষ্টির দিনেঃ আরে রাখো রাত...এখনো দশটাও বাজে নি...আমার না ১১ টায় যাওয়ার কথা...আর ও একঘন্টা আছে..এই পুরোটা ঘন্টা আমি বিহন বনে কাটাবো...বসন্ত বাতাস খাবো আর টো টো ঘুরবো
...
বৃষ্টির দিনেঃ এখন মান ভেঙ্গেছে বল?
...
বৃষ্টির দিনেঃ আমি বৃষ্টি...আমি আকাশ থেকে কেবল মাটিতে ঝরতে জানি...মাঝে মাঝে মানুষের চোখে
শশীঃ আপনার সেই ফোটা গুলো আমি আমার কলমের কালিতে মিশিয়ে দিব...যখন লিখবো তখন আপনি আমার লেখা হয়ে যাবেন...
...
শশীঃ উড়িয়ে মন ঘুরিতে একটা ফুল দিলাম তুলে...সালাম গুরুজান!!
বৃষ্টির দিনেঃ ঘুড়ি থেকে ফুল নিলাম খুলে
শশীঃ thnx for accepting my wish
...
বৃষ্টির দিনেঃ জানো আজ ট্রেনে করে আসতে আসতে রবি ঠাকুরের একটা গল্প পড়ছিলাম...সেই গল্পেও একটা বন আছে...পড়তে পড়তে আমি মনে মনে তোমার সাথে আজ কি বলবো সেগুলো গোছাচ্ছিলাম...বলবো ভাবছিলাম, "জানো আজ না বনে হাটার সময় একটা চিঠি কুড়িয়ে পেয়েছি...শশী যেহেতু আমার সাথেই ছিল...সে অবাক দৃষ্টি মেলে আমার দিকে তাকালো যেন কিছুই জানে না...আমি আবার বললাম, "জানো চিঠিটা কার?""
- তারপর!
শশী বেশ জোড়ের সাথেই মাথা দুলিয়ে যা বুঝালো তা হচ্ছে, সে জানে না চিঠিটা কার...বনে যেহেতু আমার মানুষ তিনজন...শশী যদি না হয় তাইলে নিশ্চই বিহনের...আমি আবার শশীকে জিজ্ঞেস করলাম, "আচ্ছা চিঠিটা বিহনের হতে পারে না?"...সেই চিঠি কার হবে?...শশী না বিহনের?
শশীঃ চিঠির ইতিতে লেখা থাকবে কার
পরের চিঠিটা
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




