somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধ্বিক সকল নারী জাতিকে ধ্বিক, জয়তু পুরুষ!!!! জয়তু পৌরুষ!!!!

২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যত দোষ নন্দ ঘোষ!! আমি ভাবছি মেয়েদের পক্ষে কোন কথা বলবো না, তাইলে কিছু জোচ্চর আছে আমারে নারীবাদি কইয়া গাইল দিব, ওগো মুখে গাইল শুনতে খারাপ লাগেনা। তবে নারী শব্দটা ওরা উচ্চারন করলেও আমার মনে হয় মায়ের জরায়ুটা কেটে ফেলি বলি " কেন আমারে জন্ম দিয়েছ" । এক ঘেয়ো কুত্তার ঘেও ঘেও তে পুরা মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, আর ভাল্লাগছেনা। সব মেয়েগুলা একসাথে েকই দিন আত্মহত্যা করেনা কেন এখনও? যারা প্রশ্ন করে সংগঠনগুলো কিছু করছে না কেন, তাদের উচিৎ নিজের চেহারাটা আরেকবার দেখা। নিজের মা কে যারা সন্মান দিতে জানেনা, তারা সে ছেলেই হোক বা মেয়ে অন্য নারীর সন্মান দিতে পারবেনা সেটাই স্বাভাবিক। নিজের সুশিলীয় নোংরা চেহারা লুকাটে আর কত মেয়েদের ছিদ্রান্বেষন করবে? দোষ আমাদেরই। আমরাই বসি ওমুক মেয়ে কি পরলো, কোথায় গেল কি খেলো এসব নিয়ে রসালাপ করতে! আমরা পিতৃপরিচয়হীন শিশুকে জারজ/নাজায়েজ বলি। কিন্তু আমার মনে হয় সেই সব মেয়েমনুষ গুলো নাজায়েজ যারা সব কিছুর মুলেই ঘুরে ফিরে নারীকে দোষারোপ করে, সেই সব পুরুষরা নাজায়েজ যারা নিজে একাধিক মেয়েকে ঠকিয়ে চেয়ারে পা তুলে ল্যাপটপ ঘুরিয়ে নারীর বিষয়ে প্রবন্ধ লিখে।

অনেকে বলে "আমি(যখন কোন ছেলে বলে)/পুরুষরা(যখন কোন মেয়ে বলে) তো এমন কোরবই/করবেই তোমারা নিজেদের কে সামলে কেন চলনা?" তাদের মুখে গোবর লেপটে দিয়ে জিজ্ঞেস করতে মন চায় " তাহলে চারিত্রিক দূর্বলতা তো তোর ইতর, তোকে তো আগে সামলানো দরকার"। সেই সব নারীগুলোকে গলায় পাড়া দিয়ে মেরে ফেলা উচিৎ যারা নিজেকে পণ্য বানায়, বডি স্প্রের বিজ্ঞাপনে, পিৎজা কিংবা কোলার বিজ্ঞপনে অথবা অন্য কোন পন্যের। যাদের পতিতা বলে গালি দেয় সুশীল পুরুষরা তাদের কে নিয়ে প্রজেক্ট শেষ করলাম । সেই মর্মান্তিক কাহিনী শুনলে অবাক হতে হয়। তাদের সাক্ষাতকার নেবার সময় কতবার যে শিউরে উঠেছি!!!!!। একজন ঐদিন তর্ক কোরলো "মেয়েরা ওড়না নিচু করে পরেনা কেন, এভাবে কাপড় পরে কেন হ্যান ত্যান। হ্যা আমিও বলছি তারা নিজেকে দেখিয়ে অন্যায় করে। কিন্তু তাই বলে তুমিও কেন বাবা তাকে পাটক্ষেতে, বা অন্ধকার ঘরে টেনে নিয়ে, নিজের লালসা মিটিয়ে হয় আধমরা কর নয় মেরেই ফেলো। তার বিচারের ভার তোমাকে কে দিল???!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! যদি বল সমাজ রক্ষার জন্য করছো তবে শুনে রাখ সেইদিন আর দূরে নয় যেদিন এইসব দেয়ালে পিঠ ঠেকা মেয়েগুলোই একদিন তোমাকে পাটক্ষেতে টেনে নিয়ে যাবে, কারন সেদিন সমাজ রক্ষার দায় হয়ত তারা নিবে!!
নারীপক্ষ বা নারীমঞ্চ কিছুই করবে না কারন তাদের হাত পা বেঁধে রাখা লোক গুলোই কলকাঠি নারছে। রুহির মৃত্যুর কোন বিচার হবে না কারন তাদের বংশের কেউ কখনও আদালতে যায়নি!!!! হায় ধরনী দ্বিধা হও আরেকবার!!! বাসের সিটের দাবীতে দাঁত কেলিয়ে ঐদিন এক নাজায়েজ কে বলতে শুনলাম " সমঅধিকার চায় তো সংরক্ষিত সিট কেন?" মনে হল গালে কষে একটা স্যান্ডেল দিয়ে বাড়ি দিয়ে বলি ওরে অমানুষ নয়ত একটু পরে তোর হাতটাই নিসপিস শুরু করবে নারীটা কে একটি বার ছুঁয়ে দেখতে!! এইসব মহামনীষিদের খুপড়িতে এইটুকু আসেনা যুগ যুগ ধরে চলে আসা অবহেলা প্রবঞ্চনায় নারীর অবস্থান আজ দাঁড়িপাল্লার উপরের পাল্লার মত, তাতে বেশি না ঢাললে ২ পাল্লা সমান হবে না!!


দোষ কাকে দেব? কারও কোন দোষ নেই। যে পুরুষের স্বপ্নের ঘোরেই ভার্জিনিটি চলে যায় সবালক হওয়ার পর সেই পুরুষ বসে নারীর হাইমেন আর চেস্টিটির বিচার করতে!!! হায় ঈশ্বর। কেউ কেউ বলে " তারা দেখালে আমি দেখবো না ক্যান, খাওয়াইলে খাবো না কেন?"" হা হা হা হা হা হা হা হাহা , খাবার দেখলেই যে জিহ্বায় রস পড়ে তা তো মানুষের যতটা না তার চেয়ে কুকুরের বেশি!!!! মাঝে মাঝে সত্যি নিজের মায়ের গলা টিপে খুন করতে ইচ্ছে হয় "মা গো আমি প্রথম সন্তান যে মাকে খুন করলো, কারন তুমি আমাকে জন্ম দিয়ে পাপ করেছ " এস সব নারী আত্মহত্যা করি!" আমাদের ই সব দোষ। আমরাই পুরুষকে প্রলুব্ধ করি, তাই ঐসব ভীষ্মদেবরা আর না পেরে আসে আমাদের কাছে, বেচারা মাসুম গুলার কোন দোষ নেই। ছি!! মেয়েমানুষ এত খারাপ। ছি!! গলায় দড়ি দেয়া ওল্ড ফ্যাশন আসো মশার স্প্রে খেয়ে মরি, তবুও মরি!!!! বেচারা পুরুষ গুলোকে এভাবে কলঙ্কিত করার অপরাধে নিজেদের স্বেচ্ছায় শাস্তির জন্য হলেও মরি!!!



তবে তোমার লাশের দিকে আঙুল তুলে হয়ত কেউ বলে ফেলবে "মেয়েটির নিশ্চয় কোন খুঁত ছিল নয়ত মরলো কেন" সে কিন্তু নিজ দায়িত্বে সইতে হবে বলে রাখলাম।


কাঁকন আপুকে ধন্যবাদ সুন্দর একাট মনস্তাত্তিক বিশ্লেষন দেবার জন্য।


উদ্দেশ্য এক দশমাংশ নীচ মনের পুরুষ এবং নারীরা, ঢালাও ভাবে নিয়ে কেউ চিল্লাপাল্লা না করলে খুশি হব এবং কৃতার্থ থাকবো।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:১৫
১৭৬টি মন্তব্য ১০৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×