somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এবারের ঈদের সবচাইতে বড় সারপ্রাই.................................

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবারের ঈদে সবচাইতে বড় সারপ্রাইজ, "এক আপা আমাকে ঈদের শপিং করার জন্য চার হাজার টাকা দিছে ।"

আপাটার সাথে ফেসবুকেই পরিচয় । এ বছরের মে মাসের ১৩ তারিখ হঠাৎ করে ওনি আমাকে কেমন আছি জানতে চেয়ে ইনবক্সে নক করলেন । আমিও ভালো আছি লিখে রিপ্লাই দিলাম ।

রিপ্লাই দিয়েই ওনার প্রোফাইল ইনফোতে গেলাম । তন্ন তন্ন করে সব ইনফো চ্যাক করলাম । কারণ মেয়েরা তো ফেসবুকে সহজে কোন ছেলেকে নক করে না । ফেক হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে । ইনফোটা দেখলে মনে হবে ফেক । কিন্তু কেন জানি আমার কাছে ফেক মনে হয়নি । শতভাগ বিশ্বাস করলাম আইডিটা রিয়েল ।

তারপর থেকেই শুরু করলাম ইনবক্সে ফাইজলামি ।ওনার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিতাম ফাইজলামি করে । আর ওনি খালি হাসতেন । একটা পর্যায়ে ওনাকে আপা ডাকলাম । ওনিও আমাকে ভাই ডাকলো । আমিও তাড়াতাড়ি করে ওনাকে ফ্যামিলি মেম্বার এড করলাম :D । ওনিও আমাকে এড করলেন ।

ভাই-বোনের একটা সম্পর্ক হয়ে গেল । ফেসবুকে আসলেই আমি ওনারে বিরক্ত করা শুরু করে দেই । বুঝতে পারলাম ওনি ব্যাপারটা উপভোগ করতেছেন ।

কিছুদিন পর আমাকে ফোন দিল । প্রথমদিন প্রায় ত্রিশ মিনিটের মত কথা বলছিলাম । ফোনেও ফাইজলামি করলাম । দুইদিন পর রাত দুইটার দিকে আমাকে আবার ফোন দিলেন এবং প্রায় দুই ঘন্টা কথা বললেন । এই দুই ঘন্টা অবশ্য ওনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আমার সাথে শেয়ার করেছিলেন । আমি তখন অবাক হয়ে গেছিলাম এটা ভেবে যে মাত্র দুইদিনের পরিচয়ে একটা ছেলের সাথে এইরকম একটা ব্যাপার শেয়ার করে ফেললেন ! পরে জানতে পারলাম আমার প্রতি ওনার ধরণা নাকি প্রথম থেকেই ভালো ছিল এবং ওনার ধারণা কখনো ভুল হয় না । সবমিলিয়ে আমি ভালো একটা ছেলে :D

ওনার সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে গেলে আমার মোবাইলের পাঁচ হাজার ওয়ার্ড শেষ হয়ে যাবে কিন্তু লেখা শেষ হবে না ।

আমার ছোট বোন আছে একবছর হল বিয়ে হয়ে গেছে, ওর সাথে আরো বেশি ঝগড়া করতাম :/ । সবসময়ই বড় বোনের অভাববোধ করতাম । ফ্রেন্ড সার্কেলের কাছ থেকে শুনতাম ওরা ওদের বড় বোনের সাথে অনেক মজা করে, ঝগড়া করে, অনেক কথা শেয়ার করে । আমিও এরকম কিছুই চাইতাম । সেই চাওয়া থেকেই হয়তো এরকম একটা বড় বোন পেয়ে গেছি :-) ।

অল টাইম আমি ওনার সাথে ঝগড়া করি । ওনার প্রতিটা কাজে ভুল ধরি, ভুল না থাকলেও ভুল ধরি :p । ফোন দিলেই ঝগড়া শুরু । ফেসবুকে নক দিলেও ঝগড়া করতেই থাকি । ওনাকে প্রচন্ড রকমের জ্বালাই । ওনিও হয়তো ব্যাপারগুলা খুব উপভোগই করেন । তা না হলে তো কবেই আমারে ধমক দিয়া চুপ করায়ে ফেলতেন :/ ।

এই অল্প সময়ে আমার জীবনের অনেক কিছুই ওনার সাথে শেয়ার করছি । সবচাইতে ভালো লাগার বিষয়টা হলো, আমার প্রতিটা কথা ওনি খুব গুরুত্ব দেন ।

: তর বিকাশ নাম্বারটা দে তো...

- বিকাশ নাম্বার দিয়া কি করবি ?

: তরে দিতে কইছি দে...

বিকাশ নাম্বার দিলাম । একটু পর চার হাজার টাকা আসলো ।

- এত টাকা দিলি কেন :/?

: ঈদের শপিং করার জন্য । সারপ্রাইজ :D

- এত টাকা দিতে কইছে কে >_
: দিলাম :D....

এখানেও ঝগড়া করা শুরু করে দিছি । মোট কথা ঝগড়া করতে হবেই :/ ।

কেউ যদি জিজ্ঞেস করে ফেসবুক তরে কি দিছে ? কোন কিছু না ভেবেই এক বাক্যে বলে দিবো, এমন একটা বড় বোন পাইছি যার অভাব হয়তো কখনো কেউ পূরণ করতে পারবে না । আর আমি চাইও না ওনার জায়গাটা কেউ দখল করুক । আবার এটাও চাই না আমার জায়গাটা কেউ দখল করুক । আমিই সর্বশেষ । আর কেউ না, কেউ না >_< ।

একবার জিজ্ঞেস করছিলাম আমারে নক করছিলি কেন? রিপ্লে দিল, আমার মা'কে নিয়ে একটা লেখা হেতির অনেক বেশি ভালো লাগছিল তাই নক করছিল । যাক নক করছিলি ভালো করছিলি, বড় বোনের অভাবটা পূরণ করে দিলি :)

I Love You Apa
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×