আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে নাস্তিক ঘোষণা করা হল, দেশের সমস্ত মৌলবাদীরা তার বিরুদ্ধে মিছিল বের করলো । তার মস্তকের দাম ঘোষণা করা হল ।
তিনি চাইলেই লন্ডনে থেকে যেতে পারতেন । তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে খুব বেশি কিছু করতে হত না তাকে । কারণ তার বিরুদ্ধে মৌলবাদীরা ক্ষেপেছিল ।
তবু তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধার মতই বীরত্ব দেখিয়ে গ্রেফতারী পরওয়ানা মাথাতে নিয়ে, এমন কি মাথা কেটে যাবার ঝুঁকি নিয়েও দেশে ফিরেছেন । নিজেকে আইনের কাছে সমর্পণ করেছেন । জেল খেটেছেন আবার আইনের সহায়তা নিয়ে জেল থেকে বের হয়েছেন ।
কিন্তু তিনি বিদেশে নিজের পাসপোর্ট জিম্মি রেখে রাজনৈতিক আশ্রয় নেননি । তিনি বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বর্জন করেননি ।
তারেক রহমান যদি এতই বুদ্ধিমান ও দেশ প্রেমিক হতেন তবে লতিফ সিদ্দিকীর মত ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরতে পারতেন । অথচ তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট জমা দিয়ে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক আশ্রয়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করেছেন । তিনি সেখানে বাংলাদেশের নাগরীকত্ব বর্জন করে এদেশের একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়ে বসে আছেন । অপেক্ষাতে আছেন কবে দল ক্ষমতায় আসবে সেদিন তিনি ফিরে আসবেন !
আসলে তারেক রহমানদের দলের কর্মীদের এত উচ্ছসিত হয়ে আর লাভ নেই । কেননা, তাদের দলের সর্বোচ্চ নেতা নিজেই হতাশ, তার হতাশা থেকেই তিনি বুঝে গেছেন দেশে আর বিএনপি কোনদিনই ক্ষমতায় আসবেনা, আর সেজন্য তার যে কোন সময় সাজা খাটতে দেশে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসা হতে পারে । তাই তিনি ভবিষ্যৎ বুঝে নিজের আখের নিজেই গুঁছিয়ে নিয়েছেন । দেশের অর্থকড়ি বিদেশে পাচার করে নাগরিকত্ব বর্জন করে সেদেশের বাসিন্দা হবার সকল ব্যবস্থা করেছেন ।
আমি বিএনপির কর্মীদের বলছি, তোমরা আর ভেবনা যে তোমাদের নেতা লন্ডন থেকে এসে ত্রাণকর্তা হয়ে তোমাদের উদ্ধার করবে । বরং তোমরা ভাবো, যে দলের তোমরা সমর্থন করো সেই দলে সত্যিকারের কোন দেশপ্রেমীক ও ভাল রাজনীতিবীদকে বসাতে পারো কিনা, যাতে তোমাদের দলকে তিনিই ভারতের বিজেপির মত জাগরণ করতে পারেন । জিয়া পরিবারের নামে আর গুণ কীর্তন করে কোন লাভ নেই । ঐ পরিবারটির লেজুর ধরে থাকলে বিএনপি নামক দলটি আস্তে আস্তে পাতালপুরীতে গিয়ে পৌছাবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬