ক্ষমতার পালা বদলের অন্যতম মাধ্যম হলো নির্বাচন। বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক দল গুলোর অনেক দর কষাকষির ফলে সরকার প্রকারভেদে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচন দেয়। প্রার্থিী গন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফুল ঝুঁড়ি নিয়ে জনগনের দারে দারে ভোট ভিক্ষা বৃত্তিতে নেমে পড়েনে। ঐ সময় সাধারন জনগন কিছুক্ষনের জন্য নিজেকে ভোটের জমিদার ভাবর সুযোগ পায়্। প্রার্থী গন দল বেঁধে এমন ভোট চায়- দেখে অনেকের মনে হয় এযেন “পবিত্র শবে বরাতের” রাতের ভিক্ষুকদের প্রতিচ্ছবি !!! সময় ঘনিয়ে আসতে আসতে ভিক্ষাবৃত্তির(নির্বাচনি প্রচারনার) শেষ দিন এসে পৌঁচে। ব্যাপারটা অনুভব করেছেন কিনা জানিনা, ঐ শেষ দিনটায় নির্বাচনি এলাকায় চাঁদ রাতের আনন্দের মতো পরিবেশ বিরাজ করে!! এই রাতে কালো টাকার মালিক, হারাম উপার্যন কারী প্রার্থীরা টার্গেট করে এলাকার নিন্মবৃত্ত মানুষদের ভোট। বিভিন্ন বস্তি এলাকা যেখানে জন্ম হার বৃদ্ধির কারনে ভোটারে সংখ্যা স্বাভাবিক ভাবে বেশি থাকে। এই হারাম টাকা গুলা ঐ সব এলাকায় “রেইন ট্রি” গাছের পাতার মতো ওড়াতে থাকে। অভুক্ত-অর্ধভুক্ত বস্তি বাসি যে যা পারে রেইন ট্রি গাছের পাতা (কালো টাকা) কুড়াতে থাকে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি এলাকাতে আজকেরে রাতটি ঠিক তেমনি একটি রাত। অর্তাৎ চাঁদ রাত। আজকের রাতে প্রার্থীরা অলরেডি রেইন ট্রি গাছের পাতার মতো বিভিন্ন বস্তি এরিয়াতে টাকা ওড়ানো শুরু করে দিয়েছে। নিন্মবৃত্ত ও বস্তি বাসি দের বলছি, যতো পারো টাকা খাও। এ টাকায় তোমাদের হক আছে। তোমাদের পেটে লাথি মেরে তারা এই টাকার পাহাড় গড়েছে। কিন্তু আগামিকাল ভোটটা দিবা তোমার নিজ এলাকার যোগ্য প্রার্থীটিকে, যার কাছে গিয়ে অন্তত নিজের সমস্যার কথা বলতে পারবা।ঐ সব প্রার্থীকে নয়, যারা টকা দিয়ে ভোট কিনতে যায়, সমস্যা নিয়ে গেলে বস্তি বাসি বলে তোমাদের গালিদেয়। মনে রাখবা তোমরা হলে আসল জমিদার !!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৭