আল্লাহ কুরআনে বলেছেন
আমি আরও প্রেরন করেছি লোহা, তাতে প্রচন্ড (রণ) শক্তি ও মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে।(সূরা হাদিদ, ৫৭ : ২৫)
লক্ষণীয় বিষয় যে, কোরান মাজিদ পৃথিবীতে লোহার অবতরণ বুঝাতে ‘নাযালা’ (نزل) শব্দটি ব্যবহার করেছে।
পুরাতন অনুবাদগণ এই লোহা প্রেরন করার অর্থটা ঠিকভাবে বুঝতে পারে নি, কিন্তু আজকের এই বিজ্ঞানের এই যুগে বিজ্ঞান আমাদের বলে যে,
আমাদের সৌর জগতের পুরো শক্তি এক পরমাণু লোহা উৎপাদনের জন্যও যথেষ্ট নয়। অধিকন্তু তারা বলে, পৃথিবীর উপরিভাগে এক পরমাণু পরিমাণ লোহা উৎপাদন করার জন্যে আমাদের সৌর জগতের চারগুণ তাপমাত্রারার প্রয়োজন হবে। এভাবে নৃতত্ত্ববিদরা এই উপসংহারে পৌঁছে যে, লোহা একটি অতি জাগতিক বস্ত্ত, যা পৃথিবীতে এসেছে অন্য কোনো গ্রহ থেকে। Chemical Education নামক আমেরিকান এক সাময়িকীতে ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর সংখ্যায় এবং New Scientists -এর ১৩ জানুয়ারি ১৯৯০ সংখ্যায় বলা হয়েছে : লোহার পরমাণু কণিকাসমূহ সাধ্যাতীত দৃঢ়ভাবে ঘনীভূত।
লোহা হল সর্বাধিক ভারী পদার্থ যা মানসম্মত পারমাণবিক প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে একটি নক্ষত্রে তৈরি হয়েছে। এতে রয়েছে সর্বাধিক সুদৃঢ় নিউক্লিয়াস। লোহাকে সংশ্লেষণ করার জন্য যে তাপমাত্রারার প্রয়োজন তা পৃথিবীতে সুলভ নয়। তাই, পৃথিবীতে যে লোহা পাওয়া যায় নিঃসন্দেহে তা বাইরের মহাকাশে সংশ্লেষিত।
Scientists from Stanford University have shown that iron metal will flow through rocks 1,000km beneath our feet.-- New ideas for how Earth core formed,-By Simon Redfern Science reporter, সুত্র: BBC News:
এই আয়াতের ‘নাযালা’ শব্দটি পূর্বেকার ভাষ্যকারদের কাছে ছিল কোরান মাজিদের এক রহস্য। জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক উৎকর্ষতা কোরান মাজিদের এই রহস্যকে বিজ্ঞানের একটি বাস্তব সত্যে রূপান্তরিত করেছে।
এখন কথা হল সপ্তম শতাব্দীতে কোরআন যখন নাযিল হয় তখনকার সময় এরকম একটা বিজ্ঞান নির্ভর কথা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বা কোন মানুষ নিজে নিজে বানিয়ে আন্দাজে বলতে পারে না,
আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কার এমন সুনিশ্চিত জ্ঞান থাকতে পারে ?
যা মানব জ্ঞানের সকল স্তরকে ও সময়ের কালকে অতিক্রম করে যায়।
১ম পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪