আওয়ামী লীগ নেত্রী গেলেন বিলেতে আর বি এন পি নেত্রী গেলেন সৌদি আরবে। কিন্তু ঘটনাটা যদি উলটা হতো অর্থাৎ যদি বি এন পি নেত্রী যেতেন বিলেতে আর আওয়ামী লীগ নেত্রী যেতেন সৌদি আরবে।তাহলে কি হতো একটু দেখে নেই।
মন্রীত্ব হারানো ভাদ্র মাসের পাগলা কুকুরের মত আচরন করা জনৈক সাবেক এক মন্ত্রী বলতেন, আমি আগেই বলেছিলাম ,গাজায় ইসরাইলের হামলায় বি এন পি জড়িত, তখন সবাই আমাকে মখা বলেছিলেন। এখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে হ্যান্ডশেক করে প্রমান করে দিলেন খালেদা জিয়া ইহুদী-নাসারাদের দোসর।তাদের ইন্ধনেই আজকে গাজা আক্রান্ত।আর আমদের নেত্রী পরেহেজগার নেত্রী। তিনি ওমরায় ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য মদীনায় দোয়া করতে গেছেন।
এক্স রেটেড জনৈক বর্তমান এক মহিলা মন্ত্রী বলতেন, খালেদা জিয়া পরপুরুষের প্রতি আসক্ত। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে হাত কচলাকচলি করে সুখ নিয়েছেন।তিনি একজন অসভ্য নেত্রী। আর আমার নেত্রী হিজাব পরে এখন ওমরায় আছেন।এরপর খালেদা জিয়ার কথিত অপকর্মের বয়ান শুরূ করতেন, যেন তিনি তার সাথে থেকে এসব কথিত অপকর্মের দালাল ছিলেন।
জনৈক বটতলার উকিল এক মন্ত্রী বলতেন,খালেদা জিয়া রমজান মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে হ্যান্ডশেক করে দেশের মান সন্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছেন। এই বাজে মহিলাকে দেশে ঢুকতে দিলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট হবে।তাই তাকে দেশে ঢুকতে দেয়া হবে না।আর আমদের নেত্রী মক্কা জয় করে আসছেন।
জনৈক জঙ্গী বিষয়ক বিজ্ঞগানী এক মন্ত্রী ‘খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ সফর ও দেশে জঙ্গীবাদের বিস্তার” শীর্ষক এক সেমিনারে বলতেন ………………।
এছাড়া কালো বিড়ালখ্যাত সাবেক এক মন্ত্রী , লন্ডনে যেয়ে কিভাবে খালেদা জিয়া সাংবিধানিক ভাবে ও গনতান্ত্রীকভাবে অন্যায় করেছেন, তার একটি খুব সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়ে সবাইকে অবাক করে দিতেন।
আর বাকীদের কথা বলুলে অনেক বড় হয়ে যাবে। তবে কেউ যে কারো থেকে কম বলতেন না এটা শিওর। কারন কাউকে মন্ত্রীত্ব রক্ষার জন্য বলতে হত আর আর কাউকে মন্ত্রীত্ব পাওয়ার জন্য বলতে হত।
বিটিভি,৭১ টিভি সহ আরো কয়েকটি টিভিতে একটু পরপর দেখানো হতো খালেদা জিয়ার সাথে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে হ্যান্ডশেকের ছবি আর আওয়ামী লীগ নেত্রীর হিজাব মাথায় ওমরার ছবি ।দেশের খ্যাতনামা কথিত আলেম ফতোয়া দিতেন,রমজান মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে হ্যান্ডশেক করে খালেদা জিয়া আসলেই কাফের হয়েছেন নাকি মুসলমান আছেন।তাকে কি নতুন করে কলেমা পড়তে হবে।নাকি হবে না।
আর মধ্যরাতে সুবিধাবাদী সরকার সমর্থক টকশোওয়ালাদের দাপটে বি এন পি পন্থীরা চরম চাপে থাকতেন।সংবাদপত্রগুলো সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু এই সংবাদ মিনিমাম এক সপ্তাহ হেডিং এ রাখতেন। আর কত যে সম্পাদকীয়, উপ সম্পাদকীয় কলাম ,বিশ্লেষন লেখা হত তার হিসাবই থাকত না।
সর্বপরি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ,সবার উপরে যেই নেত্রী আছেন উনি যে কি বলতেন, তা ভাবতেই গা শিওরে ওঠে।
ভাগ্যিস আওয়ামী লীগ নেত্রী বিলেতে আর বি এন পি নেত্রী সৌদি আরবে!!!!!!
বি দ্র ঃউপরে যেসব নেতা বা মন্ত্রীদের কথা বলা হয়েছে তা লেখকের সম্পূর্ন কল্পনা প্রসূত।জীবিত বা মরহুম কারো সাথে মিলে গেলে তা হবে কাকতলীয়।এজন্য লেখক বা পাঠক কেউ দায়ী নয়।(গুমের ভয় সবারই আছে। )