somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নবনীতার ডায়েরি - ৬

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নবনীতার ডায়েরি - ৫


গতকাল তুলি ফোন দিয়ে জানিয়েছিল ও আগামীকাল ঢাকা আসছে সপ্তাহখানেকের জন্য। একা আসছে। এবার বাচ্চাকাচ্চা বা ওর জামাই কেউ আসছে না সাথে । এই পর্যন্ত তুলিকে যতদূর চিনি তাতে বুঝেছি তুলির আলাদা অস্তিত্ব নেই। তুলি মানেই ওর মেয়ে তাহামনি আর ছেলে আবির এবং অবশ্যই অবশ্যই তুলির আরেক নাম তানভীর। ওর আসার খবর শুনে সত্যিই বেশ অবাক হলাম। শ্রাবণ বললো-


অবাক হবার কি আছে, তোমার বান্ধবী কি ছোট বাচ্চা একা চলাফেরা করতে পারে না? সে রীতিমত সহকারী কমিশনার। কয়দিন পর আরো সিনিয়র পোস্টে যাবে,সে খবর রাখো!


আমি বলি ও যা খুশি তা, ও আমার কাছে তুলিই। ওরে মানুষ স্যার নাইলে যা খুশি বলে স্যালুট দেক আসতে যেতে,আমার কাছে তো আমার দোস্তোই,নাকি?


সে তুমি ঠিকই বলেছ।


কিন্তু আমি ভাবছি ও একা একা আসবে তাও বাচ্চাদের তানভীর ভাইয়ের কাছে রেখে ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত। ও কখনো একা চলাফেরা করে না। বাচ্চারা খেলো কিনা, সময়মত ঘুমালো কিনা,বিকেলের নাস্তাটা সময়ময় খেলো কিনা, গোসল করলো কিনা সব নিয়ে কন্সার্ন থাকে আর ও কিনা এক সপ্তাহ ওদের ছাড়া থাকবে!


শ্রাবণ বেশ বিরক্তই হলো আমার উপর। বললো –


তুমি এমন মান্ধাতা আমলের চিন্তা ভাবনা শুরু করলে কেন বুঝলাম না হঠাৎ করে। তুলি আপা আগে যা করে নাই সেটা এখনও করতে পারবে না এমন কোনো নিয়ম আছে ? সে আসুক ঢাকা, দেখা হলে জিজ্ঞেস করো। এখন গবেষণা করার কিছু নাই।


আমার আর শ্রাবণকে বলতে ইচ্ছে করছিলো না তুলিকে ফোনে বিষণ্ণ লাগছিলো। হয়তোবা কাঁদছিল। কিন্তু এসব শুনলে শ্রাবণ আবার বলবে আমি নাকি বেশি বেশি ভাবি। সে শ্রাবণ যাইই বলুক আমার বান্ধবীকে আমি ভালোই চিনি। এমনিতেও ও খুব আপসেট ছিল তানভীর ভাইয়ের পোস্টিং নিয়ে। দুইজন একসাথে পাশ করে টাঙ্গাইলে তো প্রায় পাঁচ বছর কাটিয়ে দিলো। র‍্যাঙ্কিং এ তানভীর ভাই তুলির চেয়ে এগিয়ে থাকাতে প্রোমোশন তানভীর ভাইয়ের আগে হয়ে বগুড়াতে UNO পোস্ট নিয়ে চলে গেছে।অথচ ওর প্রোমোশনটা এখনো হয়নি। সে তো তানভীর ভাইয়ের দুঃখে অর্ধেক শুকিয়ে যাবে। যে জামাই পাগল মেয়ে ও। কথাটা বলে আমার হাসি পায় নিজের কথা চিন্তা করে। শ্রাবণ ছাড়া আমিও যে কিছু বুঝি না। আর সমস্যাটা শুরু হয় তখনই যখন কেউ বুঝে ফেলে অন্যজন তাকে আকুল হয়ে চাচ্ছে,পাগলের মতো ভালোবাসে।


ভালোই হয়েছে আগামীকাল তো এমনিতেও অফিস যাচ্ছি না। আমার ডে অফ। তুলির মায়ের বাড়ি উত্তরা। সেখান থেকে গুলশান আমার বাসায় আসতে ওর বেশি সময় লাগার কথা না। ও আসলেই রান্নাবান্না শুরু করবো সেই সাথে গল্প। এতদিন পর ও ঢাকা আসবে ,কলেজ লাইফের কথা গুলো মনে পড়ে যাচ্ছে। ও পড়তো ভিকারুননিসায় আর আমি আইডিয়ালে। মাঝে মাঝে ও কলেজ ফেরত আমার বাসায় চলে আসতো। গল্পগুজব আড্ডাবাজি করে তারপর ও বাসায় ফিরত। দুপুরে কতদিন একসাথে খেয়েছি! ভার্সিটির শুরুতেও ও আসতো বাসায় কিন্তু তানভীর ভাইয়ের সাথে প্রেম হবার পর আস্তে আস্তে ওর সাথে দেখা সাক্ষাতের পরিমাণটা কমে যাচ্ছিলো। তানভীর ভাইদের বাসাও উত্তরায়।


আজকে সকালে শ্রাবণ বাসা থেকে বের হবার সময় জিজ্ঞেস করলো আমি বাসা থেকে বের হবো কিনা। জানালাম -


আজ তুলি আসবে। ডিপেন্ড অন হার মুড। বাইরে গেলে তোমাকে কল দিবো।


ভালোই তো, আজ আমার বউ এর মুড নিশ্চয়ই অনেক ভালো। বান্ধবীকে পেয়ে আমার কথা ভুলে যেও না যেন। বলে ও দুষ্টুমি করে।


ওকে বলি লাঞ্চ বাসায় এসে করতে। ও রাজি হয় না। বলে -


নিজেদের মতো গল্প করো। বের হলে জানিও, একটু ঘুরাঘুরি করে তুলিকে রাতে ওর বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসবো।


শ্রাবণকে বিদায় দিয়ে তুলিকে ফোন দেই। বললো - অন দ্য ওয়ে দোস্তো। কামিং।


কলিং বেল এর আওয়াজ শুনেই বুঝি তুলি এসেছে। ওকে জড়িয়ে ধরতে গেলে বলে -


ছাড় ছাড়। কি আজব বাসায় থাকস তোরা। লিফট নষ্ট। সাত তলায় উঠতে আমার খবর হইয়া গেছে। দেখতাছস না ঘামতাছি সমানে। ফ্যানটা ছাড়। বলেই ও ডাইনিং রুমে চেয়ারে বসে।


ওকে বলি বেড রুমে চল। এসি ছেড়ে ঘর ঠাণ্ডা করে রাখছি।


না রে দোস্তো আগে শাওয়ার নিমু। মায়ের বাসায়ও যাই নাই। সোজা তোর এখানে আগে আসলাম। বলে ও ব্যাগ থেকে জামা কাপড় বের করে।


আমি তুলির জন্য চা বানাতে কিচেনে যাই। সাথে নিজের জন্যও। ইচ্ছে করেই কোনো নাস্তার আয়োজন করি না। কিছুক্ষণ পর তো লাঞ্চের সময় হয়ে আসবে।


শাওয়ার নিয়ে আমাকে খুঁজতে খুঁজতে তুলি কিচেনেই আসে। ওকে আমি ডাইনিং থেকে একটা চেয়ার নিয়ে এসে বসতে বলি। চা'য়ে চুমুক দিয়ে ও আয়েশ করে একটা তৃপ্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে। আহ্‌ এক কাপ চা মানুষের জীবনের অনেক দুঃখ ভুলাইয়া দিতে পারে, জানস ? তুই আর কিছু পারস আর না পারস চা'টা খুব ভালো বানাস দোস্তো। এই লিগ্যা তোরে একটা চুম্মা।


আরো চা আছে। লাগলে বলিস।


বিস্কুট থাকলে দে দেখি। সেই সকাল ৮ টায় বাসে উঠছি। এতো জ্যাম কি বলমু। তুই আজকা কি রান্তাসস?


গরুর ভুনা, বেগুন ভাজা, ডাল আর ভাত। চিংড়ি ভর্তা খাবি ? তাইলে বানাই।


বানা। ডায়েট করতে করতে আর সব্জি,শসা,গ্রিন টি খাইতে খাইতে নিজেরে গরু ছাগল লাগতাছিল। আইজ পেট ভইরা খামু। দুনিয়াতে আছে কি ,খাওন দাওন,হাগা আর ঘুম।


একটা আইটেম বাদ পড়ছে তো । আর আছে তানভীর ভাই। বলে ওর দিকে তাকাই ওর মুড খেয়াল করতে।


আরে বাদ দে তানভীরের কথা। আমার জীবনটা ভাজা ভাজা কইরা দিলো। দিলি তো মুড নষ্ট কইরা। আরেক কাপ চা দে। চায়ের উপরে আর কিছু নাই এই মুহূর্তে। তাড়াতাড়ি রান্ধা শেষ কর। আমার কিন্তু খিদা লাগছে। যাই আমি একটু টিভি দেখি। ভালো হিন্দী মুভি আছে?


ওরে বাবা তুই আবার হিন্দী মুভি ধরলি কবে? গয়নার বাক্স মুভীটা আছে, দেখবি ?


আচ্ছা ,ছাইড়া দিয়া যা। আমি কিচেনে থাকলে তোর রান্ধা দেরী হইবো। তোর রান্ধার যে সুরত, দেখি খাইয়া কতটুকু ইম্প্রুভ করলো। শ্রাবণ ভাই দেইখা তোর রান্ধা খায়,আমি হইলে কবেই তোরে বিদায় কইরা দিতাম। বলে হি হি করে ও হাসে।


রান্না শেষে শাওয়ার নিয়ে আমি আর তুলি গল্প করতে করতে খাই। আমি অপেক্ষায় থাকি কখন তুলি ওর কথা গুলো শেয়ার করবে। ও নিজ থেকে যেহেতু কথা তোলে না, তাই আমিও কিছু জিজ্ঞেস করি না। খাওয়া শেষে ও বলে -


দোস্তো অনেকদিন পর পেট ভইরা খাইলাম। তানভীর ইদানিং আমারে খোচাইতাছিল আমি নাকি অনেক মোটা হইয়া গেছি। পেট বড় হইয়া যাইতেছে প্রেগ্ন্যান্ট মহিলাগো মতো লাগে আরো কত কি ! ওর লিগ্যাই ডায়েট ধরলাম। অফিস শেষ কইরা বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়া করাইয়া এক ঘণ্টা কলোনি কম্পাউন্ডে হাঁটাহাঁটি করি। তবুও শুকাইতাছি না ,কি যে করি ! কিন্তু তুই এমন স্লিম হইতাছস কীভাবে? শ্রাবণ ভাইও কি তোরে কিছু বলছে ?


আরে নাহ। তুই তো জানিসই ওর কোনো কিছু নিয়াই কোনো মাথাব্যথা নাই।


ভালোই তো


হ ভালো না কচু। একেবারে কিছু না বলা উদাসীনতার লক্ষণ। আমার মাঝে মাঝে ওর বেশি ভালোগিরি ভালো লাগে না বুঝলি? কিরে, চা বানাইয়া আনবো ? খাবি ?


তুলি বলে, হ যা বানাইয়া আন। কেমন ঘুম ঘুম পাইতাছে। জার্নি কইরা ক্লান্ত লাগতেছে।


চা বানিয়ে ওকে নিয়ে আমাদের বেড রুমে ঢুকি। রুমে ঢুকেই তুলি বলে এই রুমটায় তোর আর শ্রাবণ ভাইয়ের মাতাল গন্ধ। আগে তাহা আর আবির আসার আগে আমাদের রুমেও আমার আর তানভীরের গন্ধ পেতাম। এখন ঘরে বাচ্চাময় গন্ধ।হহাহাহা করে ও হাসলেও ওর হাসিটা আমার কাছে ম্লান লাগে। আমি ওর হাতটা ধরে বলি -


কি নিয়ে কষ্ট পাচ্ছিস শুনি!


নাহ্‌ কিছু নিয়ে কষ্ট না তো!


হুম্ম তুই বললি আর আমিও বিশ্বাস করলাম আর কি ? কি হয়েছে বল। তুই আমাকে ছাড়া আর কাকে বলবি! বল আমি শুনবো।


আরে ধুর কিছু হইলে তো তোরে বলমু!


তাহলে তুই এবার একা ঢাকা এলি যে? তুই তো তানভীর ভাই ছাড়া নড়স না। তাও আবার তুই শুক্রবার এসেছিস এবং একা। প্রতি বৃহস্পতিবার তানভীর ভাই বগুড়া থেকে আসে আর শনিবার যায়। সে সময় তুই দুনিয়ার কাউকে সময় দেস না, ফোন করিস না আর সে হিসাবে তুই একা একা চলে এলি, বাচ্চাদের দেখাশুনা করতে পারবে তানভীর ভাই?


আমার শশুড়-শাশুড়ি আসছে কয়দিন আগে। সমস্যা নাই। আমার শাশুড়িকে পেলে তানভীর আর আমার বাচ্চাদের আমারে পুছার টাইম নাই। তারা ভালোই থাকে। পোলাপাইন গুলিও বাপ বাপ করতে করতে মুখে ফেনা তুলে। কম্পিউটারে গেম খেলা, ট্যাব খেলা, সাইকেল চালানি সব কিছুর অবাধ স্বাধীনতা ওর বাপ ওদের দেয়। আমি একটু শাসন করলে আমার শাশুড়ি আছে আহা উহু রে আমার দাদু ভাইরে মাইরা ফালাইলো রে! আমার অসহ্য লাগে। তাও খালি আবিরের বেলায় এমন করে। আমার মাইয়রে ধমক কি মাইর দিলেও ধরতে আহে না। যতসব ন্যাকামি আর কি !


তুই তো টিপিক্যাল বউদের মতো না। তুই তো জানিসই দাদী নানীরা একটু এমন করেই। আর এইসব তো নতুন না তোর জন্য। এতো পাত্তা দেয়ার কি আছে ! তারে তার মতো থাকতে দে। তুই তোর মতো থাক। দিন শেষে তোর পোলা পাইন তোর কাছেই তো আসবো ,নাকি ?


না আসলে এইসব নিয়া আমি আপসেট না। এইবারের ব্যাপারটা অনেক অন্যরকম। অফিশিয়াল প্লাস মেন্টালি সবকিছু নিয়াই। তুই তো জানসই আমার আর তানভীরের পোস্টিং একই অফিসে। ওর চেয়ে আমার রেপুটেশন অনেক ভালো। তবুও তানভীরের প্রোমোশন আমার আগে হওয়াতে আমি অনেক খুশি। ইনফ্যাক্ট আমি ভয় পাইতাছিলাম আমার প্রোমোশনটা আগে হইয়া গেলে ও কেমন রিয়াকশন করতো কিংবা ও মনে মনে ছোট হইয়া থাকতো নাকি। আমরা সমবয়সী হইতে পারি,কলিগ হইতে পারি কিন্তু আমি ওরে ভালোবাসি যতটা, সম্মানও করি তারচেয়েও বেশি। কিন্ত মাঝে মাঝে মনে হয় তানভীর আমারে বুঝতেই চায় না। বিশেষ কইরা ওর বাপ -মা আমাদের কাছে থাকলে ওর বিহেভ জানি কেমন হইয়া যায়। একটু জামাইগিরি ভাব, অকারণ মুড ওর মইধ্যে চইলা আসে।


সব ব্যাটার মধ্যেই কম বেশি পুরুষগিরি ফলানের ভাব আছে। এইটা মনে কর ন্যাচারাল একটা ব্যাপার। এইটা নিয়া আপসেট হবার কিছু নাই।


না ব্যাপারটা ঠিক এইটাও না। তুই তো জানস ,তানভীর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। আর স্টুডেন্ট লাইফ থেইকাই ও দাড়ি রাখে। এইটা নিয়া আমাগো গ্রুপের পোলা পাইন ওরে কম ক্ষেপায় নাই। ইভেন প্রেম হওয়ার আগে আমিও ভাবতাম এই দাড়িওয়ালা, ঘোলা ঘোলা চোখের এই পোলার সাথে আমি জীবনে কথাও কমু না। শুধু কি তাই আমাগো বিয়ার পারমিশন নিতে বাসায় কম ঝক্কি আমার মা,দুলাভাই আর বোনগো কাছে দিতে যে হয় নাই সেইটাও তুই জানস।


এইসবের সাথে দাড়ি নিয়া পড়লি ক্যান বুঝলাম না।


আরে সরকারী চাকরি করি বুঝসই তো। একেক টাইমে একেক সরকার। উঠতে বসতে বড় বসদের টিপ্পনি সহ্য করছে তানভীর এই দাড়ির লিগ্যা। আর ওর হইয়া আমিও বসদের সাথে কম প্রোটেস্ট করি নাই। তার উপর রাজনৈতিক নেতাদের ব্যাপার স্যাপার আছে। ও তো মনে কর অন্যায় নিয়া কারো আপোষ করে না আর খুব রিজার্ভ টাইপের।


আজব তো একটা লোক দাড়ি রাখলে অন্যদের সমস্যা কোন জায়গায় বুঝলাম না। দাড়ি মানেই কি বিশেষ কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করা হয়ে যায়!


আমিও তো এইটাই কই! তানভীরকে আড়ালে আড়ালে বা সামনাসামনিই কত ইঙ্গিতে কত টিপ্পনি দিয়ে বসেরা কথা বলে ! আমার তো সেই সময় মন চায় বালের চাকরি লাত্থি মাইরা থুইয়া যাই গা।


তারপর?


আরে এইসব ব্যাপার আমাগো লাইগা নতুন না। তোরে কইছিলাম না সরকারী এক নেতার ফাইল আটকাইছিল দেইখা তানভীররে দেড় বছর প্রশাসনিক কাজ করতে দেয়া হয় নাই। এইখানেও দাড়ি সমাচার। কিন্তু সমস্যা লাগছে এবার অন্য জায়গায়। তুলির চেহারাটা কেমন দুঃখী দুঃখী লাগে। মনে হয় এখনি আবার কেঁদে ফেলবে।


আমি ওর হাতটা ছুঁয়ে থাকি। বল আমাকে, কাঁদিস না।


দুই সপ্তাহ আগে ও যখন বগুড়া থেকে আসছে সেদিন ওর সাথে আমার অনেক ঝগড়া হইছিল।


এইটা আর নতুন কি ?


ঝগড়া করমু না তো কি করমু ?বাসায় আইসা আমার লগে দুইটা ভালো মন্দ কথা না কইয়া পোলাপাইন নিয়া পড়ছে। বাপ মা এমন ব্যবহার শুরু করছে জানি পোলা মাত্র ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়া হল থেইকা বাইর হইছে। রাইতে এতো কিছু রাইন্ধা খাইতে দিছি, খাওন শেষে আমার শাশুড়ি জলপাইয়ের আচার দিছে ওরে খাইতে। আমি তো পুরা টাস্কি খাইছি। আচার আম্মা কবে বানাইলো আবার! আমি যখন অফিসে থাকি ঐ টাইমে মনে হয় বানাইছিল। সেইটাও সমস্যা না। কিন্তু আচার খাইয়া পিয়ালের ভাব আছিল এমন আচারের লাইগাই ও এতো গুলো খিচুড়ি আর মাংস খাইতে পারছে। এই একই ভাব আমার শাশুড়ির মধ্যেও আছিলো যে উনি আচার বানাইছিলেন বইলাই তার ছেলে আজ পেট ভরে তৃপ্তি সহকারে খাইছে আর আমার রান্না বান্না সব ফ্লপ। সারাদিন পর অফিস থেইকা আইসা এতো কিছু রানলাম তানভীর সেইগুলির কিছুই খাইলো না। আম্মা খিচুড়ি মাংস করছে ওইটাই খাইলো,আচার খাইলো। আমার চিকেন, কাবাব, ভেজিটেবল কারি ছুঁইয়াও দেখল না।ফ্লপ মানে সুপার ফ্লপ!


এতে মন খারাপের কি আছে। তানভীর ভাই কি জানত তুই কোনটা রানছিস আর তোর শাশুড়ি কোনটা রানছে? এইখানে আমি তানভীর ভাইয়ের কোনো দোষ দেখতাছি না। হয়তো খিচুড়ি আর মাংসটাই তার বেশি ভাল্লাগছে তাই আর অন্য কিছু খেয়ে রুচি নষ্ট করতে চায় নাই।


আরে সমস্যাতো এইখানে না। অন্য জায়গায়। পোলাপানরে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম পারাইছি, ভাবছি এক সপ্তাহ পরে ও আসছে, ওর সাথে একটু অন্তরঙ্গ সময় কাটামু কিন্তু কম্পিটারে মুখ গুইজ্জা এই যে গেম খেলা শুরু করছে আর উঠনের নাম নাই । যাও ধমকাইয়া উঠাইছি, বিছানায় যাইয়া শুইয়াই ঘুম। নাক ডাকন শুরু করছে। তুইই বল তখন আমার কেমন কষ্টটা লাগছে। ওর উদাসীনতা আমি একেবারেই সহ্য করতে পারি না।

আমার মনে হচ্ছে তুই অতিরিক্ত টেন্সড আছিস এই কারণে তানভীর ভাইয়ের স্বাভাবিক কাজগুলোও তোর অস্বাভাবিক লাগছে।


তারপর শোন না। ও কেমন ধরা গলায় বলে। দুই বাচ্চা ওর বাপ আসলে বাপকে ছাড়া ঘুমায়ই না। এই কারণে আমি ঐদিন মেঝেতে বিছানা করছি। ভাবছিলাম বাচ্চারা ঘুমাইলে তানভীরকে আমার সাথে মেঝেতে আইসা শুইতে বলমু। কিন্তু ও তো বিছানায় শুইয়াই ঘুমাইয়া গেছে। সারাদিনের অফিসের পরিশ্রম,রান্নাবান্নার খাটুনি, রাত্রে খাইতে বইসা সিনক্রিয়েট, রাত্রে বিছানায় শুইয়াই ওর ঘুম সব মিলাইয়া আমি ওর অবহেলা গুলি নিতে পারতাছিলাম না। কখন যে কানতে কানতে আমিও ঘুমাইয়া গেছি জানি না। ভোরের দিক দিয়া তানভীরের মনে হইছে আমারে সে একটুও সময় দেয় নাই। আমার শরীরে ওর স্পর্শ লাইগা আমার ঘুম ভাইঙ্গা গেছে। তখন মনে হইলো আমার সমস্ত অভিমান ওরে জড়াইয়া ধইরা গলতে থাকলো। আমি অনেক কানলাম।


এসব বলার সময় ওর চেহারায় একই সাথে সুখী ভাব,অতৃপ্তি বা কষ্ট খেলা করে। আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারি না ও কোন কথা থেকে কোন কথায় যাচ্ছে। ওর গায়ের রঙটা একটু চাপা হয়ে গেছে। হয়তো পরিশ্রম, সাংসারিক চিন্তা, অফিসের চাপ,বাচ্চা সামলানো সবকিছুর প্রতিক্রিয়া। ওর সিল্কি চুলগুলো এতো সুন্দর্‌ দেখলেই ইচ্ছে করে হাত দিয়ে নেড়ে দেই। এর মাঝে কান্নাকাটি করে চোখ ফুলিয়েছে। এর চোখ গুলো এমনিতেই ফোলা ফোলা। কাঁদতে গেলে আমাকেও ফেল বানিয়ে দেয়। আমি ওর গোল্ডের চুড়ি পড়া হাতের উপর হাত রেখে ওকে ছুঁয়ে রাখি। ওর মনটা অন্যদিকে ঘুরাতে ওকে জিজ্ঞেস করি -


তোর চুড়িগুলো সুন্দর। নতুন বানিয়েছিস?


ও নাক মুছতে মুছতে বলে, আরে রাখ তোর চুড়ি। আগে শোন। তানভীর যখন আমাকে বুকে নিয়ে শুলো আমিও আহ্লাদি মেয়ের মতো ওর বুকের ভেতর ঢুকে যাচ্ছিলাম। এর মাঝেই হলো বিপত্তি। ওর দাড়ি আমার গালের পাশে এসে লাগতেছিল। তখন ওরে বলছিলাম -


তানভীর, তোমার দাড়ি মনে হয় আগের চেয়ে রুক্ষ্ম হয়ে গেছে! একটু ছেঁটে নিও।


এই কথা কইলাম আর লগে লগে দেখলাম তানভীরের হাতের বাঁধনটা আলগা হইয়া গেলো। আমার কাছ থেকে দূরে গিয়া না শুইলেও বুঝলাম ওর ভেতরের একটু আগের আদিমতার,ভালবাসার যে পরশটা ছিলো, ওইটা মনে হয় মুহূর্তের মধ্যেই শেষ হইয়া গেলো। ঐদিন আমাগো মাঝে আর কিছু হয় নাই। আমার ভিতরটা মনে হয় ওর পরশ পাইয়া জাইগ্যা উঠছিল মাত্র। তোরে নবনীতা আমি বুঝাইতে পারুম না ঐ মুহূর্তটা। ঐদিনই মনে হয় বুঝতে পারছিলাম কাছের মানুষ কীভাবে দূরে চইলা যায়।


ধুর তুই কি থেকে এসব উল্টাপাল্টা ডিসিশনে আসতাছিস আমি বুঝলাম না। এক কাজ কর, তুই সপ্তাহ দুয়েকের ছুটি নে। পোলাপান নিয়া বগুড়া তানভীর ভাইয়ের ঐখান থেকে ঘুরে আয়। দুইজন দূরে দূরে আছিস তাই ভুল বুঝাবুঝিটা বেশি হইতেছে।


তোর কি ধারণা আমি তানভীরের কাছাকাছি থাকলেই সব ঠিক হইয়া যাইবো? কিংবা তুই কি ভাবছিস আমি ওর সাথে ঝগড়া কইরা মায়ের বাড়িতে বেড়াইতে আসছি ? আমি এতো বোকা না। ও বগুড়া যাইয়া আমারে কি মেসেজ দিছে শুনবি ? বলে ও ওর মোবাইলটা বের করে তানভীর ভাইয়ের মেসেজ দেখায় -


" Perhaps you expressed a truth which should have been expressed much earlier or may be i didn't understand. i didn't want to say this rather bear the pain within myself but couldn't express myself after your morning complain and scolding that i didn't care u much or became disinterested in you. If after 8 yrs of marraige u have the feeling of pinching from my beard, how can i proceed or show interest in you ?


Everything changes,YOU R NO EXCEPTION TOO "



আরে এতো সিরিয়াস হয়ে গেছে তানভীর ভাই! আমিও চিন্তায় পড়ে যাই। ওকে জিজ্ঞেস করি তুই মেসেজের উত্তর দিস নাই ?


দিসি। বলে ওদের পাল্টাপাল্টি মেসেজ দেখায় -


" আমি কত কিছু বললাম, কিছু তোমার গায়ে লাগলো না আর যে কথাটা সরল মনে কিছু না ভেবে বল্লাম,সেটাই তোমার গায়ে লাগলো!


তোমার মতো আমার শরীর এতো দ্রুত জাগে না, আমার মন আমার শরীরকে চালায়। অনেক অভিমানের পর নিজ থেকে যাও আসলে আর আমিও নিজেকে স্বাভাবিক করে নিতে চাইলাম,আমাকে কত নরম আলতো করে তুমি আদর শুরু করো। মাত্রই তোমার গায়ের গন্ধটা উপভোগ করা শুরু করলাম, তোমার দাড়ির নরম ভাবটা রুক্ষ্ম হয়ে গেছে আর আমি এটাও বলতে পারবো না? এই দাড়ি নিয়ে তো বসদের আমি কথা শোনাতে কখনো ভয় পাইনি তার reward আমাকে এভাবে দিলে তুমি ? যখন সকল আয়োজন করে তোমার কাছে যাবার জন্য ব্যকুল হয়ে থাকি আর তুমি যন্ত্রে মুখ গুঁজে থাকো বা বিছানায় দেরী করে আস,নাক ডাকো। তারপর নিজের সময়মত আস,আমার সে কষ্ট কি বোঝো ? অত অপমান না করলেও পারতে ! "



তারপর তানভীর রিপ্লাই দিছে -


" You sacrificed a lot for me and my family and still doing for which i owe you a lifetime debt. but for now expression explain the true feelings left inside and not the explanation given afterwards."



আমি চিন্তিত হয়ে ওকে জিজ্ঞেস করি তোদের মান-অভিমান এখনো চলছে?


নাহ্‌! ঠিক সেরকম না যা তুই ভাবছিস।


তাহলে?


এরপর আরো দুই সপ্তাহ তো তানভীর আসছে। ফিজিক্যাল ইন্টীম্যাসিও হইছে।


তাহলে মন খারাপ করতাছিস ক্যান? তানভীর এতো রিয়াক্ট করছে তার অবশ্য কারণ আছে। আমার ধারণা সে তার দাড়ি নিয়ে স্টুডেন্ট লাইফ থেকে শুরু করে প্রফেশনাল লাইফেও এতো সাফারার ,সেখানে তুইও তার স্পর্শকাতর ব্যাপার নিয়ে কথা তুলছিস তাও বিশেষ মুহূর্তে ,ঐটা উনি সহ্য করতে পারেন নাই। আঘাত পাইছে বেশি।


ও শোয়া থেকে চট করে বিছানায় উঠে বসে বলে -


তুই তো অন্তত জানিস আমি তানভীরের প্রতি কতটা সিরিয়াস আর ওর দাড়ি থাকা না থাকা নিয়ে আমার মাঝে কোনো কিছুই যায় আসে না এটা তুই যেমন জানিস ,তানভীরও জানে। তাইলে ওর এমন নখরামির মানে কি বল। ওর কষ্ট কি আমার কষ্ট না ? আট বছরের সংসার এর আগে ওর লগে আমার আড়াই বছরের প্রেম। তাইলে ও আমারে এতদিন পর আইসা ভুল বুঝবো ক্যান? ওরে জীবনে দাড়ি প্রসঙ্গে কিছুই বলি নাই যেইখানে আর এখন একটা কথাই ওর এমনে লাইগা যাইবো!


আসলে নবনীতা,আমি একটা সম্পর্কের টানাপোড়েন এর যন্ত্রনায় আছি। ভয় লাগে। ওর সাথে শারীরিক সম্পর্ক আমি অনেক এঞ্জয় করি ঠিকই, আর রেগুলারিটিও বাড়ছে। বিশেষ কইরা ও বগুড়া চলে যাবার পর থেকে। আগে যেখানে একমাসে বা দুই মাসে দুই একবার হত,এখন ও দূরে যাবার কারণে প্রতি সপ্তাহেই হইতেছে। এমন না যে ও বা আমি শরীরের জন্য খুব কাঙাল। দূরে থাকে দুইজনেরই একটা আকর্ষণ বেড়ে গেছে। আগে যখন ঝগড়া হইতো,আমরা দুইজনেইতো সেইম বয়সী, ছোট ছিলাম।ভাবতাম ঝগড়া লাগলে বুঝি শারীরিক ভাবে মিলিত হইলে সেইটা দূর হইয়া যায়, যাইতোও। কিন্তু এখন তো বয়স হইতেছে,আগের মতো না। দুইজনেই কি জটিল হইয়া যাইতেছি না কি আমিই বেশি বেশি ভাবতেছি বুঝতাছি না রে!


তুলির কথা গুলো আমাকেও ভাবায়।আমি তুলির দিকে তাকিয়ে থাকি। কান্নার দাগ ওর চোখ থেকে শুকিয়ে গেছে। দুশ্চিন্তায় বা যে কারণেই হোক ওর চেহারাটা কেমন শুকিয়ে আছে। আমার আর শ্রাবণের সম্পর্ক নিয়েও আমার ভয় হয়। আমাকেও তুলির মতো করে ভাবতে হবে না তো?


তুই টেনশন করিস না তুলি। ওকে আমি ছোট একটা হাগ দেই।


নাহ্‌ টেনশন না। আসলে তানভীরকে হারায় ফেলতেছি এমন একটা ভয় কাজ করতেছিল আমার মাঝে। আর এখন ঠিক করছি ফ্যামিলিরে সময় দেয়ার সাথে সাথে নিজেরেও সময় দিমু। নিজের দিকে আমি একেবারেই ভাবতেছি না। ড্রেসআপ, কসমেটিক্স,অর্নামেন্ট, ডায়েটিং সব করে নিজেকে ফিট রাখবো। নিজের মানসিক প্রশান্তির লাইগাও এসব দরকার আমার মনে হইতেছে। এইবার আসছি মন ভইরা শপিং করুম, ভিকারুননিসার ফ্রেন্ডদের সাথে রিইউনিয়ন আছে। তুই যাবি ?


আমি মাথা নেড়ে না বলি।


ভার্সিটির ফ্রেন্ডদের সাথে আশুলিয়ার একটা প্রোগ্রাম সেট করছি। আর এইবার কালারফুল সব ড্রেস কিনুম ভাবছি। আমি কমলা রঙ এর শাড়ি, ড্রেস পরি দেইখা বহুত ক্ষেপাইছো দোস্তো। এইবার দেইখো কি কি পরি। তুই কি আমার সাথে শপিং এ একদিন সময় দিবি ?


আমি ওকে বলি , এখন তো বেশিরভাগ ড্রেস আমি অনলাইন থেকে কিনি। নতুন কয়েকটা কিনসি, দাঁড়া তোকে দেখাই। শনিবার হলে সময় দিতে পারবো। ডে অফ আছে।


আস্তে আস্তে তুলি ওর বিষণ্ণতা গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে থাকে একটা একটা করে। ওর ভেতরতা ধীরে ধীরে ঝলমলিয়ে ওঠে। আমার কালারফুল ড্রেস গুলো দেখতে দেখতে ওর ভেতরের লাল,সবুজ,নীল রঙের ঢেউ খেলতে থাকে।


আমি শ্রাবণকে ফোন দেই। বলি -

একটু তাড়াতাড়ি আসতে পারবে?
কেন? কই যাবে?

ভাবছি তুলিকে নিয়ে ঢাকা ইউনিতে ঘুরবো?

ও তাই ড্রাইভার হিসেবে আমাকে লাগবে?

শ্রাবণের কথা শুনে আমি হেসে উঠি। ওদিকে তুলিও তানভীর ভাইকে ফোন দিয়ে অভিমান ভরে বলে -

আমি ঢাকা এসে পৌঁছালাম,তুমি এখনো ফোন দাও নাই ক্যানো? হুম খালি ব্যস্ততা। এবার পেয়ে নেই দেখো তোমার কি জরিমানা হয়!

আমি তুলিকে তানভীর ভাইয়ের সাহে ফোনে কথা বলার সুযোগ দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে কিচেনের দিকে যাই। চা বানাতে হবে। তুলির কাছে এক কাপ চায়ের মানে জীবন, জীবন মানে বেঁচে থাকা!


চলবে

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×