দোকলান ইশুতে চীনের পক্ষনিয়ে চিকেন নেক জেহাদিরা কোথায়?
জাতিসংঘে চীনা দুত নিরাপত্তা পরিষদের বক্তব্যে বলেছেন - মিয়ানমার নয়, সহিংসতার জন্য দায়ী জঙ্গিরা।
আরসা জঙ্গিদের হামলার পর নিরাপত্তা রক্ষায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, এই ব্যবস্থার প্রতি চীনের স্পষ্ট সমর্থন জানালো। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রও প্রায় একই সুরে জঙ্গি আরসাকে সহিংসতা সুরুর জন্য দায়ী করে কথা বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি রাখাইন রাজ্যে চলা সহিংসতা বন্ধের আহবান জানান। তিনি ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা জঙ্গি) হামলার নিন্দা জানান। তবে এ কথাও বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাধ্য হয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হামলাকে নিন্দা তো জানায়ইনি। জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যরা সবাই গণহত্যা বলা তো দুরের কথা, হামলা বলতেও নারাজ। বলেছে জঙ্গি উৎপাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশি টিভি ও পৃন্টেড মিডিয়া এসব পাসে রেখে মহাসচিব গুতেরেসের বক্তব্যকেই প্রাধান্য দিতে দেখা গেল।
ইউনুসকেও কিছুদিন আগে গুতেরেসকে ব্যাবস্থা নিতে জাতিসংঘে হাস্যকর চিঠি লিখতে দেখা গেছে।
এই ফালতু চিঠিকেও ফলাও করে প্রথম পাতায় ছাপিয়েছিল তখন পত্রিকাগুলো।
অতচ জাতিসংঘের মুল শক্তি হচ্ছে ৫টি স্থায়ী সদস্য ও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশদের ভোটাভুটি। নট গুতেরেস।
গুতেরেসের ভুমিকা এখানে মামুলি কেরানির ভুমিকা ছাড়া কিছু না।
চিঠি লিখলে জাতিসংঘের মুল শক্তি হচ্ছে ৫টি স্থায়ী সদস্যের যে কোন এক বা একাধিক দেশকে ব্যাবস্থা নিতে বললে হত।
চীনের পক্ষনিয়ে মুরগি-গলা জেহাদি'দের পৃন্টেড ভার্শনেও দেখা যাচ্ছে।
খবরের শিরনাম দিল - "রহিঙ্গাদের জন্য চীন ও ভারতের ৭৫৩টন ত্রাণ"
ভেতরে ছোট করে লেখা
ভারত - ৭০০ টন
চীন - ৫৩ টন
শিরনামে চীনকে উচুতে রাখতে না পারলেও ব্যালেন্সটা বজায় করতে হবে তো!
বাংলাদেশতো কারো কাছে ত্রান চায় নি।
জাতিসংঘ ভাষনে, রয়টার ও আল-জাজিরার সাথে সাক্ষাতকারেও হাসিনা কোন সাহয্য বা ত্রাণ চায়নি। বলেছে আমাদের যতেষ্ঠ খাবার আছে, আমরা খাবার ভাগ করে খেতে পারবো।
এই রহিংগা বিষয়টি নিয়ে আমাদের বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশের তেমন কোন কূটনৈতিক পদক্ষেপ এখনো আমার চোখে পড়েনি।
সাধারন পরিষদে ভাষনগুলো দেখলাম। বাংলাদেশ বাদে কোন মুসলিম দেশই রহিঙ্গা ইশুটি তুলেনি। ইরান হালকাভাবে আনলেও চোখের পানি পাঠানো তুরষ্কও একটি বাক্যও বলেনি।, তথাকথিত মুসলিম ভাতৃত্বের অহবায়ক সৌদি ও পাকিস্তান তাদের নিজস্য সমস্যা ইয়ামেন, কাতার, পাকিরা কাষ্মির ও অন্যান্ন ইশুতে মার্কিন সাহায্য ইত্যাদি তুলে ধরেছে, রহিঙ্গা নিয়ে একটি বাক্যও বলেনি। বাংলাদেশ বাদে সুধু একটিমাত্র দেশকে দেখা গেছে রহিঙ্গাদের উপর সহিংসতাকে নিন্দা জানাতে, সেটা বৃটেন।
জাতিসংঘ বাদেও এজাবৎ মধ্যপ্রাচ্যের কোন মুসলিম ঝান্ডাধারি দেশকে দেখলামনা, একটা মামুলি বিবৃতিও চোখে পড়লোনা!
বাংলাদেশ একটা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় জড়িয়ে গেল।
যার কারণে সামনে আমাদেরকে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। অগ্রগতি থেমে যাবে, পিছিয়েও যেতে পারে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে আরো অস্থির এবং অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে ।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ওরফে 'গুহামানব' অবস্য আগামীকাল গুহা থেকে মাথা বের করে বলবে -
"সবকিছুরই মুল কারন এই সরকারের কুটনৈতিক ব্যার্থতা"।
আপডেট - ৮ই অক্টোবর ২০১৭
আরসা জঙ্গিরা যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহারের নামে হুমকি দিল ভায়া আল-জাজিরা।
তার পরদিনই দেশীয় জঙ্গি সমর্থকরা উল্লোসিত বক্তব্য দেয়া সুরু করলো।
এই তেতুলরা চাচেছ দেশটা আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মত হউক যাতে স্বদেশ বাংলাদেশ নরকে পরিনত হয়, তাদ্র ফায়দা হাসিল হয়।
রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন! ---- হেফাজতে ইসলাম!
view this link
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিলে আল্লাহর গজব পড়বে! তাদের জন্য মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ করে থাকার ব্যবস্থা করুন!
তাদের জিহাদে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন! --- আল্লামা আহমেদ শফি!
view this link
এইসব হারামজাদাদের কথামত চললে আমাদেরও শরনার্থি হয়ে ভিক্ষা করে খাইতে হবে কিছুদিনের মধ্যেই।
চোখের সামনে একটা একটা করে সব মুসলিম দেশ ধ্বংস হচ্ছে, মানুষ না খেয়ে মরছে -- সেই দিকে খেয়াল নেই!
ইয়েমেন, সিরিয়া আফগান, সুদান লাখ লাখ মানুষ অভুক্ত অনাহারে মারা যাচ্ছে, দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০০