নারীবাদীরা বলে“পুরষ চারটি বিয়ে করতে পারলে নারী কেন চারটি বিয়ে করতে পারবে না?”
নোমান ইবনে সাবের (রহঃ)কে প্রশ্ন করা হয়েছিল “পুরষ চারটি বিয়ে করতে পারলে নারী কেন চারটি বিয়ে করতে পারবে না?”
নোমান ইবনে সাবের (রহঃ) এর উত্তর সাথে সাথে দিতে পারলেন বলে তিনি সময় চাইলেন।রাতে তিনি চিন্তাভাবনা শুরু করলেন।তার মেয়ের নাম ছিল হানীফা।হানীফা তার পিতার কাছে সব ব্যাপার শুনলেন এবং বললেন “আব্বা,এর জবাব আমি দিতে পারবো তবে আমার শর্ত আপনার পরিচিতি আমার নামে হবে”।নোমান ইবনে সাবের (রহঃ) বললেন বেশ এখন থেকে আমি আবু হানীফা(হানীফার পিতা) হিসেবে পরিচয় দেব।এখানে নোমান ইবনে সাবের (রহঃ) পরবর্তীতে ইমাম আবু হানীফা(রহঃ) হিসেবে পরিচিতি পেলেন।তার মেয়ে হানীফা জবাব দিলেন এভাবে “যদি চারটি গরু থেকে দুধ সংগ্রহ করে পৃথক চারটি গ্লাসে রাখা হয় তবে আমরা বলতে পারবো কোন গ্লাসে কোন গরুর দুধ আছে কিন্তু চারটি গরু থেকে দুধ সংগ্রহ করে যদি একটি গ্লাসে রাখা হয় তবে কি কেউ বলতে পারবে এখানে কোন গরুর দুধ আছে”।
মনে করুন একটা পুরুষ চারটি বিয়ে করলো এবং সবার একটি করে সন্তান হলো।এখানে পিতা একজন এবং মাতাও একজন কিন্তু একজন নারী যদি চারটি পুরুষকে বিয়ে করে আর যদি সন্তান হয় এখানে সে সন্তান কার জাত আর এখানে মাতা একজন কিন্তু পিতা চার জন(নাউযুবিল্লা্হ)।এ বিষয়কে নিয়ে যারা ইসলাম কে ঠাট্টা করেন তাদের উচিত মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া।
তবে বহুবিবাহের ক্ষেত্রে শর্ত সবার সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে হবে।প্রথম স্ত্রীকে অসম্মান করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ভালবাসলে সেটা ইসলামের দৃষ্টিতে জুলুম হিসেবে গণ্য হবে।