somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইতিহাসের নতুন পর্বে বাংলাদেশ

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ রাষ্ট্র এর বিকাশের ক্ষেত্রে বর্তমানে যে পর্বটি অতিক্রম করছে, তাকে একাডেমিক পরিভাষায় উত্তরণকাল—ইংরেজিতে ঞত্ধহংরঃরড়হ ঢ়বত্রড়ফ বলে অভিহিত করা হয়। একাডেমিক মহলে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত থাকার জন্য নয়, বরং রাষ্ট্র-রাজনীতির উন্নয়নের নীতি নির্ধারণীতে যাঁরা যুক্ত আছেন, যুক্ত থাকতে চান, প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই সময়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ দরকার। একটি রাষ্ট্রের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ যখন নির্ভর করছে নেতৃত্বের মেধা, প্রজ্ঞা, দক্ষতা, রাষ্ট্র নির্মাণের জ্ঞানদক্ষতার ওপর, তখন এসব তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞানার্জনের কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় বিকাশের অভিযাত্রায় রাষ্ট্র এবং জনগণ সবাইকে একসঙ্গে চরম মূল্য দিতে হতে পারে। পর্বতের চূড়া থেকে যেভাবে পাদদেশে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে—রাষ্ট্র রাজনীতির ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটার সমূহ আশঙ্কা থাকে।
বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পথচলা শুরু করেছে অতীতের চরম বৈষম্য ও মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞকে কাঁধে নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল বৈরী আন্তর্জাতিক পরিবেশ। তার পরও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও আত্মমর্যাদার একটি আবহ এবং বঙ্গবন্ধুর মতো দৃঢ়চেতা, রাষ্ট্রনির্মাতাকে নিয়ে যেভাবে যাত্রা শুরু করেছিল, তাতে কয়েক বছরে দেশটি দারিদ্র্যের গ্লানি ও কলঙ্ক ঘুচিয়ে একটি স্বাবলম্বী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় উত্তরণ ঘটানোর আশা করতেই পারত। কেননা, বঙ্গবন্ধু একটি আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েই অগ্রসর হচ্ছিলেন, এটি স্বীকার করতেই হবে। তবে বাদ সেধেছিল ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড। দেশটিকে পরিকল্পিতভাবে একটি মহল পাকিস্তানি ভাবাদর্শে ফিরিয়ে নিতে যা যা গোপনে এবং প্রচার-প্রচারণায় দরকার ছিল, তাই সম্পন্ন করেছিল। ফলে বাংলাদেশ ধ্বংসযজ্ঞ এবং পশ্চাত্পদতাকে অতিক্রম করার সুযোগ পায়নি। বাংলাদেশ থেকে গেছে পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশের তালিকায়। বাংলাদেশ কয়েক দশকেও দারিদ্র্যের এমন দুনিয়াজোড়া গ্লানিকর পরিচিতি ঘুচিয়ে একটি আত্মমর্যাদার অবস্থানে যেতে পারবে—সে রকম কথা কেউ কেউ বললেও কবে, কিভাবে তা বাস্তবে সম্ভব হবে, ধরা দেবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। আন্তর্জাতিক মহলগুলো আমাদের যখন করুণা করতে ছাড়েনি, আমাদের নেতৃত্বও বিদেশি ঋণ ও সাহায্য-নির্ভরতাকে গুরুত্ব দিয়েছে বেশি বেশি, তাতে তাদের গোষ্ঠীগত স্বার্থ বেশ ভালোভাবে অর্জিত হয়েছে। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা এটিকে জাতীয় নিয়তি হিসেবেই মনে হয় মেনে নেওয়া ছাড়া ভিন্ন কোনো উপায় ছিল না। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের ‘মিসকিন’ বলে তিরস্কার করা হতো। ভিক্ষুককে যে নামেই ডাকা হোক, তার মনে কোনো রেখাপাত করলেও ভিন্ন কিছু করার তার আছে কি? জাতিগতভাবে আমরা তো দীর্ঘদিন সেভাবেই দুনিয়াজুড়ে শুনে এসেছি, হজম করেছি। আমাদের কী করার ছিল! আমাদের তখন যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, আমরা যাঁদের এমন নেতার আসনে বসিয়েছিলাম, তাঁদের তখন দরিদ্র জাতির তেমন নেতারূপেই অভিহিত করা হলেও মনে হয় এমন অবস্থার পরিবর্তনে ভিশন-মিশন অর্জনে তাঁরা কিছুই করেননি। সেটি স্পষ্ট। তবে বাংলাদেশের যে অপার সম্ভাবনা ছিল, সেটি অনেকবারই দেখা গেছে। দেশের কৃষক, শ্রমিক তথা শ্রমজীবী ও উদ্যোক্তা গোষ্ঠী বসে ছিল না, বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে লাখ লাখ মানুষ নিজের এবং পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। ১৯৯০-উত্তর বাংলাদেশে উন্নয়নের গতি কিছুটা ধরা দেয়। ১৯৯৬-২০০১ সালে এর গতি বেগবান হয়েছে। কিন্তু দেশটাকে দারিদ্র্যমুক্ত করার কোনো উন্নয়ন কৌশল প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা রাজনৈতিক নেতৃত্বের চিন্তায় তখনো নাড়া দেয়নি। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে দিন বদলের সনদ প্রকাশ করেন। এতে আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সাংস্কৃতিকভাবে দেশকে পরিবর্তনের একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা উপস্থাপন করেন, সঙ্গে সঙ্গে একটি রোডম্যাপও তৈরি করেন। বাংলাদেশ এই প্রথম একটি পরিকল্পিতভাবে এগোনোর লক্ষ্য, কর্ম ও পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে পেরেছে। নির্বাচনে জয়লাভের পর খাদ্য উত্পাদন, বিদ্যুৎ উত্পাদন, শিক্ষা, প্রযুক্তিসহ বেশ কয়েকটি খাতে উল্লম্ফন দেওয়া ছাড়া কোনোভাবে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কেননা, তখন খাদ্য ঘাটতি মেটানো ছাড়া ১৬ কোটি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল। একই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে বিদ্যুতের ঘাটতি যে পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, তা থেকে উত্তরণ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঘটানো সম্ভব ছিল না।
শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি খাতে বিপ্লবাত্মক পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টি করা সম্ভব হয়, বিদ্যুৎ উত্পাদনের ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়, সামাজিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা সম্ভব হয়, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, প্রযুক্তিতে ঈর্ষণীয় জায়গায় উঠে আসার গতি লাভ করে। বাংলাদেশের বাজেটের আকার তিন গুণ বৃদ্ধি পায় ছয় বছরে। জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে, মৃত্যুর হার কমে এসেছে, গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর মোটেও বিদেশ-নির্ভরতার কাছে আবদ্ধ থাকার অবস্থানে নেই। নিজস্ব অর্থায়নে দেশটি পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পসহ বেশ কিছু বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে হাত দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে যে অবস্থায় ফেলেছিল তা কাটিয়ে উঠে বিশ্বব্যাংককেই চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। এখন বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশের সনদ প্রদান করছে। ২০২১ সালে দেশটি মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করার সনদও অগ্রিম দিচ্ছে। সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি ভালো করছে। আগামী তিন-চার দশকে দেশটি পৃথিবীর অন্যতম উন্নত দেশের তালিকায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। অদূর ভবিষ্যতে এটি আরো ব্যাপক হবে। বাংলাদেশের গার্মেন্টশিল্প সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে শুধু টিকেই নেই, বিশ্বব্যবস্থায় অপরিহার্য হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের দীর্ঘ সমুদ্র উপকূল শিগগিরই নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ দেশে-বিদেশে শ্রমবাজারে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে, এটি আরো বিস্তৃত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সমুদ্র তলদেশে প্রচুর সম্পদ রয়েছে—এটিও আমাদের জন্য বিপুল সম্ভাবনার বিষয় হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশের এমন একটি অবস্থায় উন্নীত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চয়ই অভাবনীয়। বিকাশের তত্ত্ব নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, কথা বলেন, তাঁরা এটিকে উত্তরণের পর্ব হিসেবে অভিহিত করছেন। এর মানে হচ্ছে এখন বাংলাদেশ উন্নত দেশে পদার্পণ করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। সেই স্তরে ওঠার জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা ও কর্মযজ্ঞ সাধন করতেই হবে। তবেই আমাদের যাত্রা সফল হবে। এর জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলার বিস্তর উন্নতি ঘটাতে হবেই। কাজটি এই পর্বে মোটেও সহজ নয়। দুনিয়ার অভিজ্ঞতা হচ্ছে উত্তরণকালটি যেকোনো দেশে ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুম্পেনগোষ্ঠীর উত্পাতে সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বেশ ব্যস্ত রাখে। কেননা, এই সময়ে অর্থোপার্জনের নানা বৈধ-অবৈধ পথ অবারিত হয়ে ওঠে। যে মধ্যবিত্ত শ্রেণি এই সময় গড়ে ওঠে, তারাও আইনের চেয়ে বেআইনি পথেই বেশি বেশি হাঁটে। দুর্নীতির প্রবণতা রোধ করা এ সময় সরকার ও রাষ্ট্রের জন্য মস্ত বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া নতুন নতুন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তাও বেশ জরুরি হয়ে ওঠে। নতুবা মাফিয়া গোষ্ঠীর উত্থান ঘটার সম্ভাবনা থাকে। বাংলা-মাফিয়া চক্র এখনো ততটা শক্তিশালী হয়ে না উঠলেও নানা ধরনের অপশক্তি এখানে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় লুটপাটকারী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে থাকে। তাদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করার কাজটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রেও এখন নজর দেওয়া খুবই জরুরি। মানুষকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কাজটিও বেশ প্রজ্ঞার সঙ্গে করতে হবে। নতুবা উন্নয়নের পলি দুর্নীতির বানে ভেসে যেতে পারে।
উত্তরণ পর্বের আনন্দ যেমন আছে, যন্ত্রণাও কম নয়। সে সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে নেতৃত্বকে। বাংলাদেশে কোনো কোনো মহলের কথাবার্তা এবং কর্মকাণ্ডে মনে হয় না যে তারা উত্তরণ পর্বের করণীয় সম্পর্কে তেমন সচেতন। গতানুগতিক কথাবার্তা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নতত্ত্ব নিয়ে নানা আবেগি প্রচার-প্রচারণায় তারা ব্যস্ত। অথচ বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আর্থ-সামাজিকসহ সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের যে গতিবেগ সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার দারুণ অভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন সাম্প্রদায়িকতাকে একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ায় এর বিস্তার যেভাবে ঘটেছে, তাতে উন্নত রাষ্ট্রব্যবস্থায় উত্তরণের সব পথই কণ্টকাকীর্ণ হয়ে উঠতে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িকতা থেকে জঙ্গিবাদের উত্থান ও বিস্তার ঘটার বিস্তর সম্ভাবনা যে থাকে, সেটি এরই মধ্যে বাংলাদেশে লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রচুর বিত্তের প্রবাহের সুযোগ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কতটা সক্রিয় তা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের অর্থনীতি ও প্রতিষ্ঠান গড়ার অবস্থান থেকে ধারণা করা যায়।
বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক ধারণা এবং জীবনব্যবস্থা এখন কতটা হুমকির মুখে রয়েছে, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। সে কারণেই বাংলাদেশের উত্তরণ পর্বটি বেশ কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে চলছে, সে সম্পর্কে সচেতনতার অভাব গোটা উন্নয়ন ব্যবস্থাকেই সেই পুরনো দারিদ্র্যের পাদদেশে নিক্ষেপ করতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশ কয়েক বছর আগেও উত্তরণের একটি ভালো পর্বে উন্নীত হওয়ার পর গেল কয়েক বছর জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সুশাসনের অভাব দেশগুলোকে দুর্ভিক্ষের জায়গায় নিয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ এখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে; খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং নিরাপদ জীবনের জন্য দেশছাড়া হচ্ছে। অথচ দেশগুলোতে সম্পদের অভাব নেই, মানব সম্পদেরও কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু জঙ্গিবাদ গোটা অঞ্চলটিকে এখন পোড়ামাটিতে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের উত্তরণ পর্বে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নতুন বাধা হয়ে উঠছে। এসবকে প্রতিহত করতে সরকার, রাজনীতি সচেতন মহল ও জনগণকে উত্তরণ পর্বের ঐতিহাসিক আবশ্যকীয় করণীয়গুলোতে আত্মনিয়োগ করতে হবে। এখানে কোনো ধরনের ভুল করা চলবে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে, ঘুষ-দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতাকে হটাতে সব শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে, কোনো ধরনের শৈথিল্য কারো প্রতি প্রদর্শন করা যাবে না। তাহলেই কেবল নিরাপদে উড়োজাহাজ যেভাবে ভূমি থেকে আকাশে উড্ডয়ন ঘটাতে পারে, বাংলাদেশও উন্নত আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবে। বাংলাদেশের পক্ষে এমন অপূর্ব সুযোগ হাতছাড়া করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা ইতিহাসের এক নতুন পর্বে এসে দাঁড়িয়েছি, সম্মুখে আরো সম্ভাবনার অপেক্ষা।
ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×