somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাগো হে তরুণ

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভোরের আলোর নির্মল অভিব্যক্তি রাত্রির অন্ধকারের কপাট খুলে নতুন দিনের সূচনা করে। সে আলো অস্পষ্টতাকে স্পষ্ট ও বাঙ্ময় করে। জড়ের স্থবির অস্তিত্বে জাগায় প্রাণের স্পন্দন, ঝরনার গতিপ্রবাহ। তারুণ্য সেই আলো যা জীবনকে ঔজ্বল্য দান করে, ভাষা দেয় চেতনায় সৃষ্টি করে নিজস্ব গতিছন্দ। বিপন্ন তারুণ্য স্বভাবের বিপরীত ও ভ্রান্তপথে অগ্রসর হলে অন্ধকার তাকে গ্রাস করে সর্বাংশে। অন্ধকারে নিমজ্জিত তারুণ্য জাতির ভয়ঙ্কর অপচয়। বিনষ্ট হয় তার নিজের অশেষ সম্ভাবনা, নিভে যায় জাতির ভবিষ্যতের আলোকময় দীপ। বিভ্রান্ত তারুণ্য জাতির দুর্ভাগ্যের কারণ— তারা নিজ নিজ পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতির উত্স, আত্মঘাতী বলেই তারা নির্বোধ। বিজ্ঞান থেকে তারা কোনো আলোক রেণু দৃষ্টিপথে বিচ্ছুরিত হতে দেখেনি। প্রথার কাছে তারা পরাভূত, যুক্তিহীন বিশ্বাসের কাছে তারা দিশেহারা, আত্মজিজ্ঞাসা তাদের মহাজাগতিক চিরন্তন প্রক্রিয়ার সঠিক সন্ধান দেয়নি, বস্তুতান্ত্রিক নয় তাদের বিচার করবার পদ্ধতি— তাই তারুণ্য আজ জীবনের জন্য হুমকির অপর নাম, অপঘাত, আত্মঘাতের প্রতীক। এই তথ্য অতি অনাকাঙ্ক্ষিত। বিশ্বময় বিপর্যস্ত তারুণ্য গ্রহ-গ্রহান্তরে, সৌরজগত্ থেকে সৌরজগতে, ছায়াপথ থেকে ছায়াপথে অনুসন্ধান পরিচালনা করবার পরিবর্তে সমাচ্ছন্ন একটি ঘোরের মধ্যে। সভ্যতার অগ্রগতির জন্য তা মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। বড় দুঃখজনক এই পরিস্থিতি, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আমরা প্রগতির সড়ক থেকে নেমে যাচ্ছি কালের ঢাল বেয়ে। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নকামী ও উন্নয়নশীল দেশের তারুণ্যই মৌল শক্তি তাতে বিনষ্টির হাওয়া লেগেছে এর চেয়ে দুঃসংবাদ জাতির কাছে আর কিছুই নয়।
সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে তরুণদের একটি ক্ষয়িষ্ণু অংশ বিপথগামী হয়ে অন্যায়ের দিকে ঝুঁকেছে, দেশের জন্য, বাংলাদেশের খেটে খাওয়া পরিশ্রমী মানুষের জন্য বদনাম কুড়িয়ে এনেছে। দুর্যোগ বয়ে এনেছে জাতির জন্য, পরিবারের সীমাহীন কষ্টের কারণ হয়েছে। এসব ঘটনায়ও আমরা হতাশ নই, ‘আমরা পরাজিত হয়েছি’ একথা বিশ্বাস করতে মন চায় না। সাম্প্রতিক অঘটনগুলোর সঙ্গে জড়িতদের বড় অংশই তরুণ, এই মাটি ও মানুষেরই সন্তান— এ বড় পরিতাপের। এদেরকে যথাযথভাবে পরিচর্যা করতে পারলে অন্য পরিশ্রমী তরুণদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এরাও লড়ে যেতো দেশের জন্য।
এদেশের চরম দুর্দিনে দাঁড়িয়েও আমি স্মরণ করি— এদেশ স্বাধীন করতে অগ্রগণ্য ছিল, এদেশের গণমানুষ, এদেশের তরুণ, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক আপামর সাধারণ। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন কিংবা তারও আগের কথাই যদি বলি তবে মনে আসে, ১৯৪৭-এ যখন দেশ ভাগ হলো, তখনই সচেতন মহল দ্বিধা আর শঙ্কায় ছিল পাকিস্তানের ভাষা কী হবে এই প্রশ্নে। তরুণরাই জিন্নার সামনে উচ্চকণ্ঠে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তার অন্যায় আবদারের কাছে বাঙালি মাথা নত করবে না। বায়ান্নতে এসে বুকের রক্ত ঢেলে রাজপথ রাঙিয়ে তারা প্রমাণ করেছে তরুণের শক্তি আর শৌর্য-বীর্যের কথা। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান নিশ্চিত করেছে গণতন্ত্র এবং অতঃপর স্বাধীনতার যুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সেই কঠিনতম দুঃসময়ের দিনে তো তরুণদের উপরই ভরসা রেখেছিলেন। শেষপর্যন্ত তারাই দেশমাতৃকার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে জাতিকে মুক্ত করে এসেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশেও তরুণদের আত্মত্যাগের ইতিহাস আকাশছোঁয়া, ছোট অর্থনীতির দেশ পুনর্গঠনে তরুণদের অবদান অকল্পনীয়, স্বৈরাচার যখন জাতির কাঁধে চেপে বসেছিল ঠিক তখনও এই তরুণরাই সামনের সারিতে থেকে জাতিকে অভিশাপমুক্ত করেছে। এই হলো আমাদের তরুণদের জয়গাথা, ইতিবাচক বিজ্ঞাপন। ইতিহাসের পথ উল্টে যাবার নয়, সুতরাং সাময়িক এই দুর্যোগ আমাদের জাতিসত্তার প্রতি সচেতন করবে নিঃসন্দেহে, করবে সতর্ক, জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমাদের শিক্ষা দেবে নতুন করে— হয়তো তার জন্যই কালের চাবুককষা। ক্ষমতা নয়, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষার প্রতি আমাদের সকলের দৃষ্টি দেওয়া যে, জরুরি এ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো হয়তো আমাদের সে শিক্ষাই দিচ্ছে।
আজকে হয়তো দুয়েকটি খারাপ খবর আসছে, যেখানে তরুণদের সম্পৃক্ততার বিষয় জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে, এতে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। কেননা সমগ্র পৃথিবী আজ সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির বিষবাষ্পে জ্বলছে, মানচিত্র দখল হয়ে যাচ্ছে। এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিই ইরাক দখল করেছে, বলেছে সেখানে মানববিধ্বংসী অস্ত্র আছে, এখন তারাই ফের বলছেন, ইরাক যুদ্ধ ভুল ছিল। এখন কে দেবে সেই ভুলের মাশুল, কে ফিরিয়ে দেবে মানুষের প্রাণ। যাঁরা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলির উপরে সচেতন নজর রাখেন তাঁরাই বলছেন, আজকের যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তথাকথিত ইসলামিক স্টেট, এই গোষ্ঠীটিও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অনুকূলে কাজ করছে। এই সন্ত্রাসের ভয় দেখিয়েই তারা ইরাক, সিরিয়াসহ অন্যান্য দেশে নিজেদের শক্তি পাকাপোক্ত করার পাঁয়তারা করছে। হতে পারে তাও সত্য।
গণতন্ত্রের কথিত বন্ধু দেশটির আসল চেহারা আমরা চিনি, দেখা গেছে অতীতে। গণতন্ত্রবিপন্ন দেশগুলোতে তারা হাজির হয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, মানুষের ওপর নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, লুণ্ঠনের মাধ্যমে দেশটিকে সর্বস্বান্ত করে চলে যায়। এই হলো তাদের প্রকৃত গণতন্ত্রের চেহারা। ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়াসহ আরো অনেক উদাহরণ দেওয়া যাবে। তবে আশার কথা হলো যারা ওই দেশটির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করতে পেরেছে শেষপর্যন্ত জয় কিন্তু তাদেরই হয়েছে। আমাদেরকেও সেই লড়াইয়ের পথ ধরেই এগোতে হবে, দেখাতে হবে নিজেদের সাহস ও বুদ্ধিমত্তা।
আমাদের তরুণদের বোঝাতে হবে মানুষ হত্যায় কোনো ধর্ম নেই, মানুষের রক্তের স্রোতে ভেসে স্বর্গে পৌঁছানো যায় না, বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের যুগে অসভ্যরাই কেবল নির্দোষ মানুষের রক্তের কথা চিন্তা করতে পারে। বাংলাদেশের বড় বড় আলেম, মাওলানা ইসলামি চিন্তাবিদ মোমিনগণও এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, যারা ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করছে তারা বিপথগামী। নিশ্চয়ই তারা একটি সুন্দর ও সুচিন্তিত মত দিয়েছেন। আমাদের চারপাশের তরুণদের এগুলো বোঝানোর দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। বাবা-মা হিসেবে সন্তানের ভালো-মন্দের খোঁজ রাখাও আমাদের কর্তব্য, শুধু স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েই যদি আমরা মনে করি আমাদের কাজ শেষ, তবে সেটি হবে বড় ভুল। তরুণরা বয়সে কম বলেই তারা তরুণ, অনেক সময় এমন দেখা যায় যে, ভালো-মন্দ বুঝে ওঠার আগেই তারা সিদ্ধান্ত নিতে চায়, এতে দোষের কিছু নেই, বয়সের কারণেই তারা চঞ্চল থাকে। বরং এক্ষেত্রে বাবা-মা এবং বড়দের দায়িত্ব হলো তাদের সঙ্গে ইতিবাচক আচরণ করে তাদের শুধরে দেওয়া।
আজ তরুণদের বিপথগামী করার ব্যাপারে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকের সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গ এসেছে। এখানে শিক্ষকরা প্রকৃতই দায়ী কি দায়ী নয়, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষকদের দায়িত্ব। প্রসঙ্গ এসেছে শিক্ষকদের মহান দায়িত্ব নিয়ে। একজন শিক্ষকের কি ভূমিকা হওয়া উচিত? প্রাথমিক স্তরে মানুষগড়ার এই কারিগররা কচি মন ও মগজে বিভিন্ন ভাষার নানা হরফের পরিচয় গেঁথে দেন। মাধ্যমিক পর্যায়ে শুরু হয় বাস্তবজীবনের নির্দেশিকা গ্রহণের। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সামনে আগামী প্রজন্ম তথা দেশের আগামী নেতৃত্ব বসে থাকে। মহান শিক্ষকরা তাঁদের অর্জিত জ্ঞান দ্বারা এই শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলেন। এখানে শিক্ষকদের জানাশোনা, গবেষণা, জ্ঞানের স্তর, উচ্চতর বিষয়ে ধ্যানধারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্তজ্ঞান ও বিষয়ের মাধ্যম। জ্ঞানের নির্দিষ্ট সীমারেখার বাইরে এ মাধ্যমের বিচরণ। এখানে শিক্ষককে হতে হয় চৌকস ও কৌশলী। একজন শিক্ষকের ধ্যানধারণাই হবে জ্ঞানের প্রসারতা —অজ্ঞানতা থেকে ক্রমাগত জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করা। শিক্ষক নির্দিষ্ট সিলেবাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন না। বরং জ্ঞানের নানা স্তর তিনি আবিষ্কার করবেন প্রতিনিয়ত। তাঁর অনুসন্ধিত্সু এ পথের সারথি হবেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান, বিশ্বজনীনও। আঞ্চলিকতা, জাতীয়তা, রাষ্ট্র, সীমানা, সব কিছুর ঊর্ধ্বে এ বিদ্যাপীঠের স্থান। যে কোনো অঞ্চলের, যে কোনো দেশের, ভাষা, বর্ণ, জাতীয়তার শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। বিচিত্র বিষয়ের বিস্তর জ্ঞান অর্জনের অবারিত ও সীমাহীন সুযোগ কেবল বিশ্ববিদ্যালয়েই পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আরো বিজ্ঞ, উদার, সংস্কৃতিমনা। অজ্ঞতা, কুসংস্কার, সঙ্কীর্ণ মানসিকতার ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষকগণ জাতিগঠনে ব্রতী হন। তাদের চিন্তায় কেবল দেশ ও জাতির স্বার্থই প্রাধান্য পায়। কোনো নির্দিষ্ট বেড়াজালের আবরণ তাঁদের জ্ঞান অর্জন ও জ্ঞান পরিবেশনে বাধা তৈরি করতে পারে না। তিনি শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট বিষয়ে পড়ানোর পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সভা, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা, সেমিনারে অংশ নেবেন। নিজে গবেষণা করবেন, শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উত্সাহিত করবেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে নিজের জ্ঞানকে সময়োপযোগী করবেন, বিলিয়ে দেবেন শিক্ষার্থীদের মাঝে। উদ্যমী ও প্রত্যয়ী প্রজন্ম গড়ে তুলবেন শিক্ষকরা। নতুন জ্ঞান, উদ্ভাবনী ভাবনা, বিশ্বজনীনতা, আইনের অনুশাসন, দক্ষ জনশক্তি, সামাজিক ন্যায়বিচার, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃত্ব প্রদানে এগিয়ে থাকবেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের গবেষণার ওপর ভিত্তি করেই রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। শিক্ষক কোনো কিছুর বিনিময়েই আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন করবেন না। গবেষণা, সৃষ্টিশীল ভাবনা, শিক্ষাদান, জ্ঞানের নতুন দ্বার উন্মোচনে শিক্ষকরা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবেন। কর্তৃপক্ষ নয়, কেবল নিজের বিবেকের কাছেই শিক্ষকরা দায়বদ্ধ থাকবেন। আত্মচেতনা ও আত্মপ্রেরণার এই শিক্ষা শিক্ষকরা জাগ্রত করবেন শিক্ষার্থীদের মধ্যেও। এখানে কূপমণ্ডূকতা, ধর্মীয় অজ্ঞতা, কুসংস্কার, উগ্রতা স্থান পাবে না। বরং শিক্ষকদের জ্ঞানের আলোকে শিক্ষার্থীরা হবে সংস্কারবাদী।
আমাদের তরুণদের শক্তি সম্পর্কে আমরা অবগত, একটু পথটা ধরিয়ে দিলেই তারা ভালো করবে, তারা পৃথিবীর বুকে দৃষ্টান্ত রাখতে সক্ষম হবে, এ আমাদের শুধু বিশ্বাসই নয় বরং অভিজ্ঞতাও। দেশে এবং দেশের বাইরে সবখানেই আমাদের তরুণরা সুনাম কুড়িয়েছে, আস্থা অর্জন করেছে। হলি আর্টিজান কিংবা কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা কখনো উদাহরণ হতে পারে না। কয়েকজন ভুল পথে পা বাড়ানো তরুণ কখনোই বাংলাদেশের তরুণদের খ্যাতি নষ্ট করতে পারে না। আমাদের মনে বল আছে আর আছে সাহস। আমরা ঘুরে দাঁড়াব এবং রুখেও দাঁড়াব। আমাদের তিনটি বড় নদী আছে, পদ্মা, মেঘনা আর যমুনা। আরো ছোট-বড় অনেক নদী এদেশের বুক চিরে গেছে বয়ে। এই নদীগুলোর জলের মতই পবিত্র আমাদের তরুণরা, আমরা তাদের দুর্গন্ধে দূষিত হতে দিতে পারি না, এই হোক আমাদের শপথ। আসুন সকলে সম্মিলিত কণ্ঠে উদাত্ত আহ্বান জানাই সম্মুখে সমূহ অন্ধকার, জাগো হে তরুণ! সম্মুখে সমূহ অন্ধকার, জাগো হে তরুণ!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

টের পেলে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

টের পেলে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

টের পেলে গুটিয়ে যায় লজ্জাবতী/ পরিপূর্ণ যৌবনে যুবতীর নিখুঁত অনুভূতি। আমার চাওয়া, ইচ্ছে, স্বপ্ন! আমার পছন্দ বুঝদার, সুন্দর হৃদয়ের রূপ! সৌন্দর্য সুন্দর যা চিরন্তন সত্য। কিন্তু সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×