মাত্র তিন বছরে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বংশী নদীর তীরের বেদেপাড়াকে যেভাবে পরিবর্তন করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান:
১) ৪২ জন নারীকে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি যোগাড় করে দিয়েছেন
২) নিজ উদ্যোগে বুটিক কারখানা চালু করে সেখানে বেদে নারীদের কাজের ব্যবস্হা করেছেন। বুটিক কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের জন্য দোকান খুলেছেন।
৩) ৩৬ জন বেদে যুবককে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্হা করেছেন
৪) ১০৩ জনের জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করেছেন
৫) স্থানীয় স্কুল-কলেজে বিনা বেতনে পড়ার নিশ্চিত করেছেন ৩১৭ বেদে শিক্ষার্থীর
৬) বেদে শিক্ষার্থীদের বিনা পয়সায় পড়ানোর জন্য কোচিং সেন্টার খোলা হয়েছে যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বিনে পয়সায় ক্লাস নেন
৭) ভাসমান বেদেদের আবাসনের জন্য পৌনে তিন একর জমি বরাদ্দ পেতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন
৮) বেদে-পাড়ার ভেতরে স্কুল তৈরির কাশ শুরু করেছেন
৯) বাল্যবিবাহ কমিয়ে আনার ব্যবস্হা করেছেন (১৮ বছরের পরে বিবাহ করলে আর্থিক সাহায্য করার ব্যবস্হা করেছেন)
১০) বেদে পাড়ার স্যানিটেশনের ব্যবস্থা উন্নত করেছেন
১১) বেদে সম্প্রদায় হতে ৩ জনকে পুলিশে চাকুরী দিয়েছেন
১২) কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেদে-পাড়াকে ‘মাদকের হাট’-এর কুখ্যাতি থেকে মুক্তি দিয়েছেন
নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে মেধা, উৎসাহ ও সামর্থ্য দিয়ে দেশ ও সমাজ গঠনে অন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
সংবাদটি শেয়ার করার জন্য সকলকে অনুরোধ করবো। এই রকম গল্প গুলো যত বেশি প্রচার করার হবে তত বেশি মানুষ এগিয়ে আসবে এই রকম ভাল কাজ করতে। হাবিবুর রহমান দীর্ঘজীবী হউন এই প্রার্থনা করি।
তথ্য সুত্র: ভিন্ন পুলিশিং, অনন্য উত্তরণ দৈনিক প্রথম আলো, ২৬ শে জুন, ২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১১