ভাই এই পোষ্টটি পড়ে কেউ হাসবেন না। আমি সাইকোলজির ছাত্র ছিলাম। বিজ্ঞানের বাইরে কিছু বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমি যে ঘটনাটি লিখছি তা নিশ্চিত হয়েই লিখছি।
জানি আপনারা উল্টাপাল্টা কমেন্ট করতে পারেন। কিন্তু ঘটনা সম্পূর্ন সত্য। আপনাদের কাছে এর ব্যাখ্যা চাই।
আমার গার্ল ফ্রেন্ড এর গত জানুয়ারীর এক তারিখে বিয়ে হয়ে যায়। তার অমতে ব্লাকমেইল করে বিয়েটা দেয়া হয়। কিন্তু আমরা সত্যি ই একে অপরকে ভালবেসেছিলাম। সেই ভালবাসা সত্যিকার অর্থেই স্বর্গীয় ছিল। ও আমাকে ছাড়া কারো সাথে ঘর করা যায় সেটা ভাবতেই পারত না। যাই হোক গত ১৫ দিন সে স্বামীকে তার শরীর স্পর্শ করতেও দেয়নি। সেই কারনে শত নির্যাতন সহ্য করেছে। মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ছয়টা সেলাই লেগেছে। সে মেয়ে ঢাবির খুব মেধাবী ছাত্রী। কিন্তু ভার্সিটিতে আসতে দেয়নি , পালিয়ে আমার কাছে আসবে সেই ভয়ে। প্রত্যেক রাতেই যে কোনো ভাবে হোক স্বামীর সাথে না থেকে আমার সাথে রাতভর কথা বলতো। যাতে আমি নিশ্চিত থাকি যে সে ভার্জিন আছে।
ওর স্বামী আর কত সহ্য করবে। শেষে তার বাবাকে ডেকে বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। যাওয়ার সময় ওর স্বামীকে বলে গেছে যে তুই একটা কুকুর।
ওর একটাই টার্গেট ছিল যে যে কোনো মূল্যে সে আমার হবেই। আমার বন্ধু বান্ধব পুরো বিষয়টি জানে। কিন্তু ব্যাখ্যাতীত একটি ঘটনা ঘটে গেল এরই মধ্যে। ও বাসায় যাওয়ার পরে সারাদিন আমার সাথে কথা বলল। সন্ধ্যায় বলল ওর আম্মুর সাথে বের হবে। আমি কারন জিজ্ঞেস করতে বলল কোথায় যেন বেড়াতে নিয়ে যাবে। পরে রাত আটটায় ফোন করল, সে বলল ওর শরীরে তিনটা তাবিজ বেধে দিয়েছে এক লোক । সেই কারনে নিয়ে গিয়েছিল। আমি হেসে উড়িয়ে দিলাম। আমি এগুলো বিশ্বাস করি না। আর সে ও বিশ্বাস করে না। সুতরাং টেনশন করলাম না। সেদিন রাতেই টের পেলাম যে এগুলো কাজ করছে। এটা গত রাতের ঘটনা। সেই রাতে সে আমার সাথে কথা বলল পুরোটাই ঝগড়া করে। সে স্পষ্টই বলল যে আমার সাথে কথা বললে তার শরীর জ্বলে পুরে যায়। খুব কষ্ট হয়। আমি থেমে থেমে প্রায় দু ঘন্টা কথা বললাম। রাত বারটায় বলে যে তুমি ক্লাসে যাওনা কেন? আবার একবার বলল তোমাকে চিনিনা। আমার ফোন কেটে দিয়ে সে তার স্বামীর সাথেও কথা বলল। আমি খুবই অবাক হলাম।
তার তাবিজ খুলে রাখতে বললাম। সে শুনলোই না। অনেক চেষ্টা করা সত্তেও শুনল না। শেষে আমি হাল ছেড়ে দিলাম। রাত দুটায় ও ফোন করল। খুবই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলল। আমি জিজ্ঞেস করলাম তাবিজ কই? সে বলল গলা চুলকাচ্ছিল তো তাই খুলে রেখেছি। পরে ও যে যে ব্যবহার আমার সাথে করেছে সেগুলো জিজ্ঞেস করলাম। অবাক হয়ে দেখলাম যে সে কিছুই মনে করতে পারছে না। সে খুবই অবাক হল। নির্ভেজাল অবাক। দীর্ঘদিন প্রেম করি , সুতরাং তার সত্যি মিথ্যা আমি চিনি। শেষে আমি পুরো ঘটনা কি হয়েছিল ব্যাখ্যা করতে বললাম। সে বলল যে ওকে সেখানে পায়েশ খাওয়ানো হয়েছিল, তারপরে কানে তেল লাগানো হয়, আর হলুদ পুড়িয়ে নাকে দেয়া হয়। আর তিনটি তাবিজ দিয়ে দিয়েছে । দুই বাহুতে দুটি আর গলায় একটি।
আমি তাবিজ গুলো নষ্ট করে দিতে বললাম। কিন্তু সে তার মায়ের ভয়ে তা করতে পারল না। সে ঘটনা শুনে তাবিজগুলোকে ভয়ও পেয়েছিল। সে বলল সকালে উঠেই তাবিজগুলো খুলে ভিতরের কাগজটি ফেলে দেবে। কিন্তু সেই সকাল আর হলনা। আমাকে অবাক করে দিয়ে সে প্রায় ১১ টা পর্যন্ত ঘুমালো। যে সিমটি খোলা ছিল সেটার নাম্বার কেবল আমিই জানি। আর কেউ জানে না। সেই সিমটি ১১ টায় খুলে ওর নিয়মিত নম্বরটি ঢুকিয়ে ফেলল। এরপর আমি ফোন দিলাম তিন চার বার , সে বলল যে আমি আপনাকে চিনি না। আমি খুবই অবাক হলাম। পরে আমার বোন ফোন করল , সেক্ষেত্রেও একই ব্যপার, তাকেও চেনে না।
একটু আগে ওর মা ফোন করে বলল বাবা অনেক কষ্টে মেয়েটাকে ঠিক করেছি, প্লিজ আর ফোন দিবা না ওর নাম্বারে। আমি শুধু বললাম তাবিজ করে কাজটি ভাল করেন নি। এতে সে পাগল হয়ে যেতে পারে।
ভাই পুরো বিষয়টি সত্য। কিন্তু কাউকে বলাও যাচ্ছে না যে এই ভাবে আমার প্রেমের পরিসমাপ্তি হল? আমি নিশ্চিত মেয়েরা যতই ছলনাময়ী হোক না কেন , ও সজ্ঞানে কখোনোই আমাকে ভুলতে পারে না। পারবেও না। আচ্ছা ও কি আর আমাকে মনে করতে পারবে না? এর ব্যাখ্যা কি??