একটি সাম্প্রতিক সময়ের সত্য ঘটনা।
বিশ্ব ভালবাসা দিবসের উপহার ও সতর্কবানী
নাটক বানাতে চাইলে লেখকের অনুমতি নিন।
নিজে সতর্ক হোন, অপরকে ও লিংকটি দিয়ে জানিয়ে দিন….
গল্পটা এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের।
মেয়েটা থাকত গায়ের সুন্দর এক পরিবেশে। বাবা হাই স্কুলের হেড মাস্টার। মেয়েটা বড় হয়েছে গ্রামেই। এখনো রাজধানী ঢাকার বাইরেই সরকারী কলেজে অনার্স ২য় বা ১ম বর্ষের শেষে আছে।
HSC,কলেজ এর শেষে সমপর্কে পুরোপুরি জড়ায়। ২০১২এ সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক। দেড় বছর হলো কোর্ট ম্যারেজ ও হয়ে গেছে, পরিবার না দিলে কি, নিজেরাই মাঝে মাঝে একসাথে থাকে।
বাকি সময় যোগাযোগ ফোন আর এসএমএস এ। তাছাড়া ৪মাস হলো নেটে নিমবাজ আর ২মাস ধরে ফেইসবুকেও যোগাযোগ চলছে। আগে এসবের প্রয়োজন বোধ করে নাই, কেউ ই…
ছেলেটা ও পড়ছে সরকারী ভারসিটিতে। ইসলামীক মাইন্ডের। চেষ্টা করে মেনে চলতে। মেয়েটা কে পর্দা করায়, ইসলামিক জ্ঞান চর্চা করায় ইত্যাদি। মেয়েটাও সব সতস্ফুর্তভাবেই মেনে চলে বা চেষ্টা করে। নামাজ, পর্দা, ইসলামিক জ্ঞান চর্চার মধ্যেই ছিল।
ঝগড়া ছাড়া নাকি প্রেম জমে না ! দু জনের ই প্রথম প্রেম। মাঝে মাঝেই ঝগড়া হয়, নানা কারনেই। আবার ঠিক আবার সমস্যা….।চলছিল ভালোই….
প্রতি ঝগড়ায় ছেলের কাছে মেয়ে দোষী সাব্যস্ত হয় আবার মেনেও নেয়, কারন মেয়ে ভালবাসার কথা্র ফুলঝুরি থাকে সবসময় ই কেমন যেন বেশী বেশী….
দেড় মাস আগে শেষ ঝগড়া লাগে। ছেলেটা সিদ্ধান্ত নেয় আগামী এক মাস কোন যোগাযোগ করবে না, তাকে রেগে জানিয়েও দেয় আর কখনোই কথা হবে না, এই ছিম আমি ভেঙ্গে ফেলবো, তখন রাত ২.৩০ টা । মেয়েটা কিছু মনে করে নাই, ভাবে কতই তো এমন হয়েছে! ছেলেটার যে কথা সেই কাজ। এক সিম চালু রেখে আরেকটা বদলে ফেলে।
মেয়েটা ওটাতে প্রতিদিন ই ট্রাই করে বাট রিসিভ হয় না। কারন তার নাম্বার ছেলেটা টোন অফ করে রাখে। তবুও একই নাম্বার থেকেই মেয়েটা একই ভাবে ট্রাই করে যায়। পাশাপাশি ছেলেটার এক মামার সাথে প্রায় কথা বলে ছেলাটার খোজ খবর নেয়। ছেলেটাও তার কাছ থেকেই খবর নেয়, তবে মেয়েটাকে প্রশ্রয় না দিয়ে। কোন কল, SMS না দিয়েই থাকে ছেলেটা। ১০দিন পর নিমবাজ থেকেও মেয়েটার একাউন্ট ডিলিট করে হিট করে মেয়েটাকে। এভাবেই চলতে চলতে এক মাস শেষ হয়।
এক মাস পরঃ
ছেলেটা রাত ৮টায় নেটে গুগল টকে যায়, দেখে মেয়েকে। মেয়েও তাকে দেখে কিন্তু কেউ ই নক করে না। ছেলেটা পুরোনো সিম খুলে রাত ১২টায়। নিমবাজে যোগ করে মেয়ের একাউন্ট সকাল ১১টায়। মেয়েটা প্রথম দেখে বিকাল ২.১৫তে। কিন্তু কল ব্লক !
এস এম এস করতে থাকে, চ্যাট করে বাট নো এন্সার। সন্ধ্যায় ছেলে চ্যাট শুরু করে। চায় এফ এন এফ লিষ্ট। দেখে নতুন এক নাম্বার তার একটার বদলে।
এভাবে করে ছেলেটা জানতে পারে ওই মেয়েটা একসাথে ৩টা ছেলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে চলছে !!!!!!
নাম্বার ১ঃ মনে মনে “স্বামী”
মামার কাছে জানায় সে যেন কথা বলিয়ে দেয়। তাকে ছাড়া সে বাচবে না, ইত্যাদি, ইত্যাদি। মামা চেষ্টা করে যায় কিন্তু মেয়েটাকে জানায় আর কথা তোমার স্বামী বলবে না। আর স্বামীর কাছে মেয়েটার sms and chat এ তো কান্নাকাটি, ব্যাকুলতা তো আছেই……..
নাম্বার ২ঃ টেলিফোনে “পুরোনো ক্লাসমেট”
জহির নামে এক ক্লাসমেট ছিল কলেজে, রোল ছিল ২। এখন chittaging University তে আছে। ৩বছর পর, হটাত কোন এক দুপুরে তার ই এক বান্ধুবীর কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে কল করে। অপরিচিত নম্বর, তাই মেয়েটা ৫ম কল রিসিভ করে।
সালাম, কে?
>আমি জহির, ভালো আছো?
হ্যা, তুমি?
>ভাল
লাইন কেটে দেয় মেয়ে। বলে রাখি, কলেজে ভর্তির আগে থেকেই বর্তমান স্বামীর সাথে কথা শুরু হয়। শুধু আত্বীয় হিসেবে আবার ঢাকায় থাকে!
সন্ধ্যায় জহিরের ফোন, রিসিভ করে না।
রাতে কথা হয়, জানায় জহিরের ছোট একটা বোন কিছু দিন আগে মারা যায়। তারপর থেকে খোজ খবর নেয়া শুরু। কলেজে কোন দিনই ঐ ছেলের সাথে কথা হয় নি, স্বামীর ভ্যাষ্য মতে। কিন্তু এখানে ১ম কথাই তুমি তুমি করে, যেন কলেজে কত কথা হইছে, নাম্বার হারিয়ে যাওয়ায় অনেক দিন যোগাযোগ হয় নি!! এভাবে দু-চার দিন চলে জহির ই ফোন দেয় রাতে ১২টার পর আধা ঘন্টা এক ঘন্টা কথা শুরু হয়ে যায়। কয়েক দিন পর মেয়েটাও কল দেয়, দৈনিক ৪/৫ বার মেয়ে আর ৭/৮ বার জহির কল দিয়ে কথা বলে।
জহিরঃ তোমাকে কলেজে দেখতাম, কিন্তু কিছু বলতে পারতাম না
মেয়েঃ চুপ করে শুধু শুনে….
জ> তোমার কি কোন সম্পর্ক আছে?>
মেয়েঃ নাহ ।
……………….
……………….
এভাবে চলতে থাকে। মেয়ে তার দুটি নাম্বার থেকেই কল,মিসকল, sms দিতে থাকে জহির কে। রাত দুটায় জহির কে sms করে
“ঘুম আসে না ”।
এই রাতে ই স্বামীর মামাকে sms করে, তার(স্বামীর) সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছা করছে। প্রতিদিন এই চলছে…।
স্বামী জানার পর সব sms ডিলিট করে দেয় আর জহিরকে না করে ফোন করতে, এখানে ও পৌনে এক ঘন্টা কথা। জহির জানায় তুমি কথা না বললে আমার এই নাম্বারই চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে…..!!
জহির সমন্ধে উপরি উক্ত কথা মিথ্যা ! মেয়েটা প্রথমে তার স্বামীর কাছে উপরের কথা বলে। তবে সত্য কি ঢাকা থাকে !
পরে জানা গেল সত্য ঘটনাঃ
দ্বিতীয় পর্ব এখানে দেখুন....
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৩