somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৪ফেব্রুয়ারি কে বা কারা কোথায় ধরা খাবে দেখে নিন(কিঞ্চিত১৮+) দ্বিতীয় পর্ব …

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্বটা এখানে দেখুন

জহির সমন্ধে উপরি উক্ত কথা মিথ্যা ! মেয়েটা প্রথমে তার সস্বামীর কাছে উপরের কথা বলে।তবে সত্য কি ঢাকা থাকে !
পরে জানা গেল সত্য ঘটনাঃ

জহিরের সাথে সম্পর্ক কলেজ থেকেই ! ১ম বা ২য় ছিল ক্লাসে, মেয়েটা একসাথে প্রাইভেট পরত। জহিরের নোট করা খাতা মেয়ে নিত, তার টা জহির নিত।

রাতে জহিরের সাথে ফোনে কথা হত! তবে জহিরের কারনে এতোটা আগে বাড়ে নি কথার ধরন। তবে মেয়েটা চাইতো! এভাবে ১ম বর্ষ গেলো।২য় বছরে জহিরের রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় সে পড়ায় মনযোগ দেয়। সম্পর্ক আর তখন আগে বাড়ে নি। তবে মাঝে মাঝে কথা হত। এসবের পাশাপাশি কিন্তু বর্তমান স্বামীর সাথে তখনো কথা চলত! এডমিশন টেস্ট শুরু হল সবাই ব্যস্ত। কিন্তু মাঝে মাঝে জহিরের খোজ নিয়েই চলে।

তারপর জহির এতো আগ্রহ দেখায় না, কারন কলেজে সে শুনছিল ঐ মেয়ে নাকি কার সাথে রিক্সায় ঘুরে বেরিয়েছে! বর্তমান স্বামীর সাথে তখন দেখাই হত না!
সবাই এউনিতে ভর্তি হল, কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে ফোন করত। জহিরের ভাষ্য মতে, স্বাভাবিক কথাই হত। কিন্তু অন্য কারো সাথে যদি হত ৫মিনিট কথা সেখানে ওর সাথে হত ১০ মিনিট , এই পার্থক্য। এভাবেই চলছিল….

শেষ দশ দিনের কথায় আসা যাক।
প্রথম কল মেয়েটাই দিয়েছিল। হায়, হ্যালো শেষে সে প্রস্তাব সুচক কথা বলে
মেয়ে> আমার বন্ধু হবে, আমি একাকী (facebook এ in a realation থেকে changeকরেছিল single)
জহির> এত দিন পর?
>চিন্তা করলাম তো ,তাই।
জ> ওকে
>কত দিন চলবে ?
জ> যতদিন চাও

এভাবে রোমান্টিক এসেমসে চালাচালি হয়। জহির বলে সে আমার খবর এমন ভাবে নিতে থাকে, যেমন আমি চাচ্ছিলাম। সকালে ঘুম ভাংগানো, পড়া কেমন হয়, পড়ার সময় ফোন বন্ধ রাখবা ইত্যাদি।
দেখা করার ডেট ও হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি, মেয়ে বলে> আমরা সারাদিন ঘুরে বেড়াবো ওই দিন, কেমন? আমার কোন বন্ধু নাই। কোন ছেলের সাথে আমার কথা হয় না, তাই ঘুরতে বের হওয়া হয় না।
বাছাই করে এমন এক জায়গা যেখানে স্বামীর সাথে ৪/৫ বার গিয়েছিল!!!


নাম্বার ৩ঃ ইন্টারনেটে “ইন্ডিয়ান ছেলে”
৩ বা ৩.৫ মাস আগে ই একটা অপরিচিত একাউন্ট থেকে রিকুয়েস্ট আসে নিমবাজে। নাম তার sunny-looking-for-princess, ঠিকানা india !
স্বামীকে না জানিয়ে ই একসেপ্ট, যদি না করে! তাছাড়া স্বামীকে সবসময় ই বলত কোন ছেলের সাথে সে কথা বলে না, ছেলেরা দেখবে বলে মেছের ছাদে উঠে না।
শুরু হলো চ্যাটিং। হায়, হেলো, কেমন আছেন, কি করেন, পরিবার…. গেলো ১মাস। সানী ল’তে পরে ৩/৪বর্ষে, বাবা ব্যাবসায়ী। ১মাস (+-)পর নেটে ছবি/ফটো বিনিময়।
Nice, send another.
I love you
>me too,
S> I want to marry you
>I want to live with you…
এবার অন্য আবেদন
Sunny> send me a hot pic. Of ur
>Send! now ur
Sunny> send,
এবার আরো গভীরে
Sunny> send me ur breast’s pic
>send
s> one’s more
>send
s> more
…..
……

মেয়েটা মেছে থাকত, সবাই ক্লাসে চলে গেলে, নগ্ন হয়ে ছবি তুলে পাঠাতো !! ছেলে অমন ভিডিও পাঠাতো
চলতেই থাকে, সবার অগোচরে……
!!!!

মনে ১টা + ফোনে ১টা + নেটে ১টা= ৩টা

একমাস পর স্বামী আকাউন্ট চেক করে সব প্রকাশ করে। মেয়েটা উপরিউল্লেখিত সকল বিষয় শিকার করে, সব। মানে এমন ধরা পরে আর উপায় নাই। যেদিন এসব জানাজানি হয় পরদিন সকাল সকাল ই মেয়ে ১৩০কিমি. জার্নি করে ছেলের কাছে আসে কান্না-কাটি, ক্ষমা ভিক্ষা চায়।

এই ঘটনার আগে ছেলে ও মেয়ের বক্তব্য:
ছেলেঃ
*ও যুকতি মানতে চায় না, নিজে যা বলে বা করে তা ই সঠিক ভাবে *ছিচুয়েশন ঠিক করার জন্য মিথ্যা কথা বলে, শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষটা করে
*মনের সকল কথা হয়ত বা প্রকাশ করে না।
*কথায় কাজে মিল থাকে না প্রায় ই....


মেয়েঃ
*খুব রাগী
*কথা না শুনেই রাগ করে, আমাকে বুজতে চায় না


এই ঘটনায় বক্তব্য সমুহঃ

স্বামীর মামাঃ
*আমার কাছে ফোন করতো ঠিক, তবে অত আকুলতা বা নিয়মিত না।
*ছবি কি কাপড় ছাড়া পাঠাইলো ! আমি এখনো কনফিউজড। গ্রামের মেয়ে হয়ে ! আমি ওতো গ্রামের ই সন্তান !
*নিস্তব্ধ………………………………………….

ছেলে বা স্বামীঃ
*আমি কোনদিন ওর মুখে কোন ছেলের নাম শুনি নাই।
*কই আমি তো এক মাস যাবত ওর অপেক্ষাই ছিলাম, ইউনিতে পরা সত্তেও কোন মেয়ের সাথে কথা পর্যন্ত বলি নাই!!
*ও এতটাই লাজুক ছিল যে ৩/৪বছর পর ও আমার কাছে আসতে লজ্জা পেত
*ওর জন্য ই সম্পর্কের এতদুর আসা, কথা ও ব্যাকুলতায়।
*এত নিচ কোন নারীর চরিত্র হতে পারে জানতাম না
*কেন করলে এসব, কি পেলে বিনিময়ে?
*কেন পর্দা, নামাজ, ইসলামীক জ্ঞান শিখিয়েছিলাম?
*বোনের মৃত্যুতে ৩বছর পর তোকে কেন, জহিরের দরকার পড়ল?
*কেন পবিত্র এক ভালবাসার সাথে বিশ্বাসঘাতগতা করলে?
*এত নিচে ও নামতে পারে আমার কল্পনার বাহিরেও ছিল না ভিতরে থাকবে দুরের কথা,
যেমন,আদিম মানুষ চাদে যাবার কথা কোন দিন ভাবতে পারে নাই।
*হতাশ ও অশ্রু সিকক্ততা….
………………………………


মহীয়সী মেয়ের প্রত্যাশা+বক্তব্যঃ
*আমি কোন কিছুই বুযে করি নাই।
*কেন করলাম এটাও জানি না।
*(সানীর ব্যাপারে) আমি জানি বিয়ে সম্ভব না তাই এসব লিখছি, আর ছবি পাঠানোর সময় আমি স্বাভাবিক ছিলাম না
*সব কিছু হইছে তোমার জন্য(স্বামীকে), তোমার অভাবে, তোমার প্রতি রেগে, কেনো যোগাযোগ বন্ধ রাখলে?
*আমার মনে স্বামীর জায়গায় তুমি ই ছিলে, ওসব ছিল বাহ্যিক।
*আমার মনের ব্যাকুলতা সব সময় প্রকাশ করতে পারি না (@মামা)
*জহিরকে ফোন দিসি ঠিক, ঘন্টা ধরে কথা বলছি ঠিক,তবে আমি শুধু শুনতাম, আর জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতাম।
*তোমার ঐ নাম্বারটা মুখস্থ ছিল তাই ওটা ডিলিট করে, বোনের মৃত্যু শুনে fnf করছি
*(স্বামীকে)জান্ ! আমি তোমাকেই ভালবাসি, আমি তোমার বুকে ই থাকতে চাই, আমাকে শেষ সুযোগ দাও!(এমন সুযোগ আরো অন্য কারনেও চাইছে, ছেলে দিয়েছে)
*আমি আর কোন ছেলের সাথে বাকী জীবনে কথা বলবো না, জান্, ক্ষমা করো।
*জহিরের সাথে ঐ রাতের পর এমনিতে ই আর কথা বলব না জানিয়ে দিতাম, আর দেহ তো ছবিতে ই না দেখছে, বাস্তব কি দেখছে?
*কান্না-কাটি আর নিরবতা…..
…………………………………
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

এ ব্যাপারে এক আলেমের মতামতঃ
*মেয়ের কিছু ঠিক থাকলেও ওর ধারনা বেশ মারাত্বক,(স্বামীকে তার জায়গায় ঠিক রেখে, বাকী গুলো বাহ্যিক.. !!!)
• *এসব মেয়ে যদি একবার অন্য পুরুষের প্রতি দুর্বল/আকৃষ্ট হয়ে যায়, তাকে নিয়ন্ত্রন করা একপ্রকার অসম্ভব।
• *কেমন জানি মেয়েটা এসব কিছু তেমন খারাপ মনে কছে না, এটা মুসলিম হিসেবে মনুষত্য বিকৃত বলে মনে হয়।
• *প্রকৃত ভালবাসা এমন হতে পারে না, সে স্বামীর সংগা ই জানে না।
• *যার খারাপ কাজে একবার ভয় ভেঙ্গে যায়, তার পরের অন্যায় হয় আরো সহজে আরো গুরুতর।



সকল নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, সবাই কমেন্টস এ জানান এই দু টা প্রশ্ন + …
১.ছেলে টার এখন কি করা উচিত?
২.মেয়েটা সমন্ধে আপনার কি মতামত?

আমার মতে মেয়েটা লোভি টাইপের, তাই তার আজ তাতি নষ্ট.....
কিনতু তারপর...
প্রথম আপডেট পর্বটা এখানে
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৯
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারা এমন মেধাবী এদেশে দরকার নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩২



২০০১ সালে দেলাম ঘরে আগুন দেওয়া ও মন্দীরে হামলার জঘণ্য কাজ। ২০০৪ আবার দেখলাম ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারার জঘণ্যতম ঘটনা।জাতি এদেরকে মেধাবী মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিক্ষাঙ্গনে অপ্রীতিকর ঘটনার মুল দায় কুৎসিত দলীয় লেজুরভিত্তিক রাজনীতির

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

সোস্যাল মিডিয়ার এই যুগে সবাই কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবি সাজতে চায়। কিন্ত কেউ কোন দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে রাজী নয়। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটা মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোমলমতিদের নিয়ে আমি কি বলেছিলাম?

লিখেছেন সোনাগাজী, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪



আমি বলেছিলাম যে, এরা ভয়ংকর, এরা জাতিকে ধ্বংস করে দেবে।

ড: ইউনুসের সরকারকে, বিশেষ করে ড: ইউনুসকে এখন খুবই দরকার; উনাকে টিকিয়ে রাখতে হলে, কোমলমতিদের থামাতে হবে; কিভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিটিয়ে মানুষ মারার জাস্টিফিকেশন!

লিখেছেন সন্ধ্যা প্রদীপ, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

এদেশে অনেক কিছুই সম্ভব।বর্তমান এলোমেলো সয়য়ে যা সম্ভব না বলে মনে করতাম তাও সম্ভব হতে দেখেছি।তবে মানুষকে কয়েক ঘন্টা ধরে পিটিয়ে মারাকে ইনিয়েবিনিয়ে জাস্টিফাই করা যায় এটা ভাবিনি।তাও মেরেছে কারা?
একদল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আহা তোফাজ্জল

লিখেছেন সামিয়া, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৪




মৃত্যু এখন এমনি সহজ
ভিডিও করতে করতে;
কথা বলতে বলতে
ভাত খেতে দিতে দিতে;
কনফিউজড করতে করতে
মেরে ফেলা যায়।

যার এই দুনিয়ায় কেউ অবশিষ্ট নাই
এমন একজনরে!
যে মানসিক ভারসাম্যহীন
এমন একজনরে!
যে ভবঘুরে দিক শূণ্য
এমন একজনরে!
যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×