
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনা গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং নিন্দনীয় একটি ঘটনা। এই হামলা গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা এবং নাগরিক নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। অনেকেই এটিকে নির্বাচনকে অস্থির করার সুপরিকল্পিত অপচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সহিংসতা, হামলা, ভীতি প্রদর্শন এবং অবৈধ অস্ত্রের মহড়া উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে চোরাগোপ্তা হামলা, গুলি ও সন্ত্রাস কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। এই পোস্ট যখন লিখছি, তার কিছুক্ষণ আগেই সংবাদ পাওয়া গেছে, রাজধানীর বাডডা এলাকায় একটি যাত্রী্াহী বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যাত্রী বেশে বাসে উঠে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। নির্বাচন সামনে রেখে সহিংসতার এই ধারাবাহিকতা সরকারের সদিচ্ছা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার সামর্থ্য নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে।
ওসমান হাদির ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি দীর্ঘদিনের দুর্বৃত্তপোষণ ও দুর্বল রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতিফলন। অপরাধী যেই হোক, যে রাজনৈতিক প্রভাবই থাকুক, তাদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে যেকোনো ধরনের সহিংসতা এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। জনগণের নিরাপত্তা এবং প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করাই সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত।
আমরা ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করি এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



