রান্না শিখেছিলাম শখের বশে। ভেবেছিলাম শিখে মজার মজার রান্না নিজেই বানিয়ে খাব। কিন্তু ঝামেলার কারনে হয় না । শেখার পর কিছু দিন প্রাকটিসের জন্য কিছু বানাতাম। বহুদিন পর আজকে ভেজিটেবল রোল বানালাম। খেতে দোকানেরটার থেকে খুব খারাপ হয় নাই...
আপনাদের ত দিতে পারলাম না তবে রেসিপিটা দিলাম। কষ্ট করে বানিয়ে খেয়ে নিয়েন।
উপকরন:
আলু...... ১টা
সীম....... ৮/১০টা
ফুলকপি..... বড় ২টুকরা
সবজি গুলো ধুয়ে কুচি করে কেটে নিন। কড়াইতে আন্দাজ করে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ, মরিচ কুচি দিয়ে একটু ভেজে নিন। এবার এগুলোর মধ্যে ১চাচামচ পরিমান আদা, রসুন, জিরা বাটা দিয়ে কষান। তার পর সবজি ঢেলে দিয়ে নেড়েচেড়ে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। চুলা কমিয়ে অন্য কাজে আসি এবার
ডো তৈরীর জন্য:
ময়দা..... ২কাপ
কর্ণফ্লাওয়ার.... আধাকাপ
ডিম.......... ১টা
পানি...... অল্প অল্প করে পরিমান মত দিন( পাটিসাপটা পিঠার ডো টার মত হতে হবে)
টেস্টিংসল্ট.....আধা চা চামচ
চিনি....... আধা চা চামচ
লবন........ ১ চা চামচ
ভাজিটা মাঝে মধ্যে নেড়ে দিন। ( মনে করিয়ে দিলাম, পুড়ে গেলে আবার আমার দোষ দিতে পারবেন না)
ডিম আর পানি বাদে সব উপকরন একসাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। পরে ডিম ভেংগে দিয়ে আর পানি দিয়ে ডাল ঘুটনি দিয়ে রাম ঘুটা দিন...
মাঝেমধ্যে একটু করে পানি পানি দিয়ে নিন। ডো হয়ে গেলে এবার ওটা সেফ জায়গায় রেখে(পায়ে লেগে পরে গেলে রোল খাওয়ার ১২টা বাজবে, তাই সতর্ক করে দিলাম ) ভাজির জাছে যান।
ভাজিটা শুকনো শুকনো হয়ে এলে ১টা ডিম ভেংগে দিন ওটার মধ্যে। পরে আধা চা চামচ দারুচিনি, এলাচ আর সাদাগোল মরিচের(কালোটা হলেও অপরাধ নাই ) গুড়া দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন।
এবার চুলায় ফ্রাইপ্যান গরম করে জালিব্যাগ গোলকরে ওটাতে তেল লাগিয়ে প্যান মুছে নিন। তার পরে ছোট সাইজের ওড়ন দিয়ে(ওড়ন না চিনলে বড় ডালের গোল চামচ হলেও চলবে) ১ ওড়ন পরিমান গোলা প্যানে দিয়ে তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে ঢেকে দিন। এবার আবার তাড়াতাড়ি ঢাকনা তুলে রুটিটা রুটি বেলার পিঁড়ির উপর রেখে সবজী ভরে মুড়ে নিন। এভাবে সব গুলো বানিয়ে একটা প্লেটে ডিমের সাদা অংশের মাঝে রোল গুলো ডুবিয়ে মুড়ির গুড়ায় গড়িয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। তার পরে কি করবেন বাকীটা আমি না বললেও চলবে..... আর না পারলে শুধু এই অধমকে ডাকবেন। এসে প্র্যাকটিক্যালি দেখিয়ে দিব কি করতে হবে।
এবার কিছু টিপস:
১। একজন মানুষ রাখবেন। আপনি রোলগুলো ডিমে ডুবোলে পাশের জনকে বলবেন মুড়িতে গড়াতে নতুবা সব মুড়ির গুড়ো
হাতে লেগে যাবে (বাজে অবস্থা)
২। যে খাবারে টেস্টিং সল্ট দিবেন সে খাবারে অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই সমপরিমান চিনি দিবেন ( টেস্টিং সল্ট নাকি ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া করে শরীরে চিনি দিলে সেটা করতে পারেনা।) টেস্টিংসল্ট এর বিকল্প হিসেবে একট চা চামচ লেবুর রসের সাথে এক চা চামচ চিনি গুলে দিতে পারেন স্বাদ একই হবে।
৩। আমি যদিও মুড়ির গুড়ো ব্যাবহার করেছি কিন্ত সাধারনত ব্রেডক্রাম ব্যাবহার করা হয়। বিস্কুটের গুড়ো দিলে পুড়ে যাবে তাই মুড়িই ভাল।
বি:দ্র: আমি আসলে এভাবে বানিয়েছি। মূল রেসিপি থেকে একটু এদিক সেদিক করে। তবে স্বাদের খুব একটা তারতম্য হয়না।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০১