somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিডি হ্যাকারদের সাইবার যুদ্ধে ভরতকে পরাস্থ করার পর এখন বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়া উচিত আইটিতে বাংলাদেশ কোথায় ?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সন্মানীত হ্যাকার সমর্থক সাধারন ভাই ও বোনেরা।আশা রাখি সবাই ভালো আছেন।পর সমাচার এই যে, আমি নিজেও ইন্ডিয়ান সাইট হ্যাক উৎসবের একজন সক্রিয় সমর্থক।আমাকে বরং আপনাদের চেয়ে এক ডিগ্রী বেশি সাধারন সমর্থকও বলতে পারেন।কারন আমি বিশ্বাস করি সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরীক হত্যাকে আমাদের সরকারগুলো কখনও তাদের হীন স্বার্থেই আন্তর্জাতীক অঙ্গনে প্রকাশ করবে না।তাই ভারত ওয়েব সাইটে এরকম গণ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে খুবই সহজে বিশ্ববাসীকে জানাতে পেরেছি। আমি আরও আশা করেছিলাম তরুন প্রজন্মের নেটের এই আগ্রহ দেশের ইন্টারনেট সিচুয়েশন সম্পর্কে তাদের সচেতন করবে, যেহেতু ইন্টারনেট দিয়েই যুদ্ধটা করতে হবে, তাই এই হ্যাকিং মোভমেন্টের এ্যাক্সপার্টরা তরুন প্রজন্মকে নীতিগত ভাবেই দেশের ইন্টারনেটের অবস্থা সম্পর্কে অবগত করে সবার কাছে সব প্রকাশ করে দেবে।কিন্তু আমি হতাশ, সপ্তাহ অধীক কাল ধরে সাইবার যুদ্ধের ময়দানে থেকে এদের অবজার্ভ করে দেখলাম দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে কোন আগ্রহ নেই।অথচ এই তথ্যপ্রযুক্তিই এদের ভারতের মত একটা দেশের দুই গালে দুইটা থাপ্পর দেয়ার শক্তি দিয়েছে, এই তথ্য প্রযুক্তিই পারে এদেশের সকল সমস্যা অব্যবস্থাপনাকে স্বমুলে উৎপাটন করতে।

শুধু তথ্যপ্রযুক্তিতে অসচেতনতার জন্যই তথ্যপ্রযুক্তির প্রথম দুইটি দশক জুরে এদেশের প্রতিটি সরকার দেশকে পিছিয়েই রেখেছে, আর অসকল্পনীয় ক্ষতির মাশুল ১৬ কোটি জনগণ দিচ্ছে, দেশটি আজ বিশ্বে সবচেয়ে পশ্চাদপদ ইন্টারনেট অবকাঠামোর দেশ - বেসিক কাজগুলোর একটিও এখনও করেনি।যেমন ন্যাশনাল বেকবোন, মোবাইল ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ইত্যাদী।আসলে বাংলাদেশের ইন্টারনেট আজও ইন্টারনেট হওয়ার ইলিজিবিলিটিই অর্জন করেনি - পর্নগ্রাফি আর বিনোদনের নেট, রিয়েল লাইফ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের না। এমনকি বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষনা দিয়েও প্রথম দশম কর্ম দিবশেই বাংলার জনগণের ফ্রী তথ্য পাওয়ার অন্যতম শক্তিশালী টেরেস্টারিয়াল টেলিকাস্ট আইন করে শুধু বিটিভির জন্য সংরক্ষন করেছে।গত তিন বছরে যে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির এক ইঞ্চিও অগ্রগতি করেনি তা চ্যালেঞ্জ দিয়ে যে কাউকে বুঝিয়ে দেয়া যাবে - যদি মাথায় গোবর না থাকে।বরং দ্রুত উন্নয়নশীল ইনফর্মেশন টেকনোলজির এই বিশ্বে এত গুরুত্বপূর্ন আরও তিনটি বছর পিছিয়ে দিয়েছে।একটু গভীর ভাবে এতে হওয়া ক্ষতির পরিমানটি ভাবলে যেকারো মাথা খারাপ হয়ে যাবে।

যা হউক, হ্যাকিং উৎসবে আমার প্রথম আশাটি পুরন হলেও দ্বিতীয় আশাটি একেবারেই বৃথা গেল।হ্যাকিং গ্রুপগুলোতেও আমি অনেক বার চেষ্টা করেছি বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষন করতে, ব্যর্থ হয়েছি, এডমিন সহ কারও সামান্য আগ্রহও নেই।তরুন প্রজন্মের অসচেতনতা কারনে টানেলের অপর প্রান্তে আলোর সামান্যতম কোন চিহ্নও নেই।দেশটির ভবিষ্যৎ অন্ধকার।আমাদের সুশিল তরুনরা বাংলাদেশ ও এর তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে সামান্য ধারনা রাখলেও এর থেকে বেরিয়ে আসার কোন মোটিভেশন নেই।অথচ সাধারন তরুন প্রজন্মের আইসিটির যে অবিশ্বাস্য মেধা আছে, তা শুধু এ্যানভাইরনম্যান্ট না থাকায় গত এক দশকের বেশি সময় ধরে শুকিয়ে মরছে।বিষয়টি বোঝার জন্য আপনাদের দুইটি তুলনা করে দেখাই।ধরুন মার্ক জুকারবার্গ যদি বাংলাদেশের বসবাসকারী হতেন, তবে আজ ২০১২ সালে এসেও তিনি ফেইসবুক বানানো দূরে থাক, ফেইসবুক ডটকম ডোমেনটিও কিনতে পারতেন না।আর তথ্যপ্রযুক্তির পিতাতুল্য স্টিভ জবস্‌ বাংলাদেশের বসবাস করলে তার সর্বচ্চ একটা ফেইসবুক এ্যাকাউন্ট থাকতো।এদেশের বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামোয় তাদের মত দুর্দান্ত প্রতিভারও বিকাশ অবাস্তব অসম্ভব।

এইযে বাংলার দামাল হ্যাকাররা ইন্ডিয়ার হাজার হাজার সাইট হ্যাক করে দিল আর ইন্ডিয়ান বিশ্ব বিখ্যাত আইটি এ্যাক্সপার্টরা বাংলাদেশের একশটা সাইটও হ্যাক করতে পারলো না। সেখানেও আছে আমাদের এক করুন বাস্তবতা।আমরা হয়তো মনে করছি ইন্ডিয়ানদের চেয়ে আমরা কত শক্তিশালী, তাই না ? তাহলে বলতে হবে আরে ইডিয়ট, বাংলাদেশের সাইট যে হ্যাক করবো, আমাদের সাইট আছে নাকি ? ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেও গত তিন বছরে তথ্যপ্রযুক্তির বেসিক কোন ডেভলপমেন্টের উদাহরন দেখান তো ? সাত দিন সময় দিলাম একশটা কাজের সাইটের নাম দেখান তো দেখি ? হাতে গোনা কয়েকটা পত্রিকা ও কয়টা ব্লগসাইটের পরেই দেখবেন তালিকা শেষ।আর সরকারী সাইটগুলোর কথা বলবেন, ওগুলোকে ওয়েবসাইট না বলে ডিজিটাল ইয়েলোপেইজ বলাই উত্তম।

অথচ এই বিষয়টি ইগনোর করে হ্যাকারদের মধ্যে শুধু রাজনৈতীক লক্ষ্য দেখে আমার মনে হয় আমাদের তরুন প্রজন্মও দুই প্রকার, এক, সুশিল তরুন প্রজন্ম, দুই, সাধারন তরুন প্রজন্ম।স্বাভাবিক ভাবেই সমাজের সুবিধাভোগী সুশিল এই তরুন প্রজন্মই একদিন দেশের নীতি নির্ধারনী পদগুলোতে যাবে।এবং এরা আরও স্মার্টলি অদক্ষ, অজ্ঞ, স্বার্থপর, দেশ বিরোধী, কুটবুদ্ধির বৃদ্ধ প্রজন্মের চেয়েও নিষ্ঠুর ভাবে দেশটির চৌদ্দটা বাজাবে।দ্যাশের সাধারন মানুষের মুক্তি দেখি অসম্ভব।বিষ আজ নতুন প্রজন্মেও ছরিয়ে গেছে।এদের কাছে দেশের চেয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই মূখ্য।আমি বলবো না পোষ্টটির হিডেন ম্যাসেজটি এই সুশিল তরুন প্রজন্ম একফোটাও ধরতে পারেনি।বরং এদের কপটতা ধরা পরে গেছে।সরাসরি বললে, এদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ না। এরা বিদেশে বসে হাইস্পীড ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫ কেবি গতির দেশি পোলাপান অর্গানাইজ করে কখনও দেশের মুক্তির কথা বলে না।গিয়ে দেখুন ওয়ার্ডওয়াইড এই প্রচারনার জন্য হয়তো কেউ প্রফেশনাল হ্যকার হায়ার করতে ফান্ড দিচ্ছে কিন্তু সাধারন মানুষের মুক্তির ইন্টারনেটের জন্য ফান্ড দূরে থাক একটা বাক্যও খরচ করবে না।অথচ এরাই বাংলার নেটের অবস্থা মুহুর্তে জানিয়ে দিতে পারতো বিশ্বকে এবং যা খুবই জরুরী।তাই বলছি বিডি হ্যাকারদের সাইবার যুদ্ধে ভরতকে পরাস্থ করার পর এখন বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়া উচিত আইটিতে বাংলাদেশ কোথায় ?

এবার আসা যাক আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের অবস্থার অল্প কিছু বেসিক তথ্যে, দেখুন। নিচে সাবমেরিন কোম্পানীর একটি জরুরী প্রেসরিলিজ দেখুন।


সাইট সরাসরি পিডিএফ ইংলিশ পিডিএফ বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল্ কোম্পানী লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এর বিগত ০৩ (তিন) বছরের কার্যক্রম ও অগ্রগতি সম্পর্কিত প্রতিরবেদনঃ

১. ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইড্থ মূল্য হ্রাসকরণঃ

ভিশন ২০২১ এর দিকে লক্ষ্য রেখে এবং অধিকতর ব্যবহার ও র্বসাধারণের সামর্থের মধ্যে আনার লক্ষ্যে ২০০৯ সালের আগষ্ট মাসে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ চার্জ সাবমেরিন কেবল্রে ক্ষেত্রে (Wet Segment -এ) ১০% কমানো হয়েছে এবং ২০১১ সালের জানুয়ারী মাসে পুনঃরায় ১০% কমানো হয়েছে।এই চার্জ আরও ১০% কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।বর্তমান সরকার গত তিন বছরে কয়েক ধাপে প্রতি মেগাবিট/সেকেন্ড ব্যান্ডউইথের মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে মাত্র ৮ হাজার টাকা করেছে। এখানে উল্লেখ্য গত কেয়ার টেকার সরকার এই মূল্য ১ লাখ ২৭ হাজার থেকে কমিয়ে মাত্র ২৭ হাজার টাকা করে রেখে গিয়েছিল।তবে ব্যান্ডউথের দাম কমালেও এই বাড়তি ব্যান্ডউইথ ইউজার পর্যন্ত পরিবহন করার জন্য প্রয়োজনীয় তরঙ্গের দাম কয়েক শত কোটি টাকা নির্ধারিত থাকার কারনে দাম কমার সুবিধা ইউজার কখনও পায়নি, পেয়েছে শুধু সার্ভিস প্রভাইডারেরা।

২. ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধিঃ

২০০৬ সালের শুরুতে দেশের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি যেখানে ৭.৫ Gbps ছিল, তা এখন ৪৪.৬ Gbps এ উন্নীত হয়েছে। কর্নসোর্টিয়ামের সদস্য দেশ হিসেবে কোন বিনিয়োগ ছাড়াই উপরোক্ত ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধি পেয়েছে।এখানে উল্লেখ্য এতে বর্তমান সরকারের কোন অবদান নেই বরং ক্ষতির পরিমান দেখলে যে কারও মাথা খারাপ হয়ে যাবে।পড়তে থাকেন নিচে পাবেন।এই আপগ্রডেশন সাবমেরিন ক্যবলের একটি সাধারন বৈশিষ্ট।২০০৫ সালে স্থাপিত সিমিউই-৪ সাবমেরিন ক্যবলে যখন বাংলাদেশ সংযুক্ত হয় সেখানে ব্যান্ডউইথের পরিমান ছিল ৭.৫ Gbps যা ২০০৭ সালে ডিসেম্বরে প্রথম আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ২৪ Gbps ও ২০০৮ সালে ডিসেম্বরে দ্বিতীয় আপগ্রেডেশনে ৪৪.৬ Gbps এ উন্নিত হয়।যা ২০০৯ ডিসেম্বরে তৃতীয় আপগ্রেডেশনে ১৪০ Gbps হওয়ার কথা ছিল।যা দুই বছর পিছিয়ে আজ ২০১১ সালে করেছেএইযে এখানে আছে এই ওয়েবসাইটের ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারীতে পাওয়া একটি প্রেস রিলিজের চিত্র

৩. ব্যান্ডউইথ এর ব্যবহারঃ

বর্তমান সরকারের আমলে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার ৭.৫ Gbps হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২২ Gbps অতিক্রম করেছে।আন্তর্জাতিক সার্কিট বৃদ্ধি, ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সম্প্রসারণের কারণে ব্যান্ডউইথ এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।তিন বছরে ৭.৫ Gbps থেকে ২২ Gbps, শুনে খুশি হয়ে গেলেন ? সাবমেরিন ক্যবল কোম্পানীর ওয়েবসাইটের ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারীতে পাওয়া এক প্রেসরিলিজে দেখা যায় সারাদেশে ৮ Gbps ব্যান্ডউথ ব্যবহার হচ্ছে।যা ২০১১ সালের শেষে দেখা যায় ১৫ Gbps আজ হঠাৎ দেখলাম ২২ Gbps অবশ্য ইংলিশ প্রেসরিলিজে এখনও ১৫ Gbps দেখাচ্ছে আর অব্যহৃত থাকছে ১৪০ Gbps।প্রমান ছবিতে -



৪. সাবমেরিন ক্যবল আপগ্রেড#৩ এ অংশগ্রহণ

ভবিষ্যতে দেশের ব্যান্ডউইথ চাহিদা সামনে রেখে বিএসসিসিএল সরকারের অনুমতিক্রমে কনসোর্টিয়ামের আপগ্রেড#৩প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অতিরিক্ত 4 Million MIU*Km ক্যাপাসিটি আনয়নের ব্যবস্থা করেছে।গত ৩রা এপ্রিল ২০১১ তারিখে গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উক্ত Upgradation প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন। ইতিমধ্যে বিএসসিসিএল আপগ্রেড#৩ তে অংশগ্রহণ করার জন্য ৫০ কোটি টাকা নিজস্ব তহবিল হতে SEA-ME-WE-4 কনসোর্টিয়াম কে প্রদান করেছে।এর ফলে ব্যান্ডউইথ পরিমান ২০১২ সালের মে মাস নাগাদ ৪৪.৬০ Gbps হতে বৃদ্ধি পেয়ে ১৬০ Gbps এ পৌঁছাবে।এইটা আসলে হইয়া গেছে গত বছর অক্টবর মাসে, এখানে দেখুন মন্ত্রী বলছে -





ছবিতেঃ আমরা ব্যন্ডউইথ সংরক্ষন করি আমরা ছগল।

এখানে আর একটা ভয়ংকর খবর হচ্ছে এই আপগ্রেডেশনটা ২০১০ সালেই হয়ে যাওয়ার কথাছিল যা একই ওয়েবসাইট সেসময় এক প্রেসরিলিজে বলেছিল।তখন ঐটা স্থগিত করা হয়েছিল যেহেতু যা ব্যন্ডউইথ ছিল তারই চারগুন অব্যবহৃত ছিল, এত ব্যান্ডউইথ দিয়ে কি হবে, রপ্তানীর উদ্দোগ্যও প্রকাশ্য নেয়া যাচ্ছে না এইসব অজুহাতে।আর এদিকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পরিকল্পিত এই একই সাবমেরিন ক্যবলে অন্যান্য দেশগুলো আজ ১.২৮ Tbps এ উন্নিত হয়ে গেছে।


ছবিতেঃ সিমিউই-৪ ক্যবলে শৃলংকায় ১.২৮ টেরাবিট বিডাব্লিউ

আলোচনাঃ ইদানিং দেখছি দেশের প্রায় সবগুলো টেলিভিশন ও জাতীয় পত্রিকা প্রায় দিনই ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় নিয়ে কথা বলছে।অনেক দেরীতে হলেও এটা প্রয়োজনীয় লক্ষ্যন।তবে দূঃখের বিষয় জটিল এই টেলিযোগাযোগ তথা ইন্টারনেট সম্পর্কে আমাদের সমাজের সবচেয়ে ইডুকেটেড লেভেলও বকলম।সেদিন এক রিপোর্টারকে দেখলাম সাবমেরিন ক্যবল কোম্পানীর গাড়ি বারান্দা পর্যন্ত গিয়ে কার গাড়ি কে ব্যবহার করছে তার রিপোর্ট নিয়ে চলে আসলেন।আরএকজনকে বরাবরের মত তিনচারবার ভিওআইপি ভিওআইপি করে রিপোর্ট শেষ।

অথচ এই সাবমেরিন ক্যবলে ১৪০ জিবিপিএস অব্যবহৃত ব্যন্ডউইথের খবরই রাখেনা। আজকাল মার্কেটে ১ জিবি কন্টেন্টের ভ্যাট সহ প্রায় ৪০০/- টাকায় বিক্রি হয় -গ্রামীনফোন ইন্টারনেটের পি-6 প্যাকেজে।আরএক প্যাকেজে ৩ এমবি কন্টেন্ট এর দাম ৯/- টাকা, অন্যএক প্যাকেজে ৯৯ এমবি ৯৯/- টাকা - গতি অবশ্যই সর্বদা সমান, ৫ কেবিপিএস।আর আমরা গত ৩ বছর ধরে কি করেছি ? মাত্র ১৫ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে আর বাকি ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের ফেলে দিয়েছি, এর পরিমান কত ? গত ৩ বছরে (৩০ x ৬০ x ৬০ x ২৪ x ৩৬৫ x ৩) ভাগ ১০০০ = ২৮,৩৮,২৪০ টেরাবিট বা প্রায় ৩০ লক্ষ টেরাবিট কন্টেন্ট অব্যবহৃত ছিল।এখন প্রতি জিবি ১০০/- টাকা করে ধরলেও এই ক্ষতির আর্থিক পরিমান ২৮,৩৮,২৪০ x ১০০ x ১০০০ = ২৮৩,৮২,৪০,০০,০০০ টাকা বা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই পরিমানের সাথে তৃতীয় আপগ্রেডেশনে বিলম্ব ও ১.২৮ টেরাবিট আপগ্রেডেশনের বিষয়টা যদি ধরি আয যদি বোঝে তাহলে সমগ্র জাতীর মাথা খারাপ হয়ে উন্মাদ হয়ে যাবে।ব্যান্ডউইথ ব্যবহার না করা মানে সংরক্ষন করা না, অথচ আমাদের ইডিয়ট পলিসি মেকাররা ব্যান্ডউইথ সংরক্ষনের নীতি গ্রহন করে।আর আমাদের হুসও নেই।


ছবিতঃ ইন্টারনেট কন্টেন্ট বাই ল্যাগুয়েজ।

ইন্টারনেটে কোন ভাষার কন্টেন্ট কত শতাংশ আছে তার একটা ডাটাও নেটে পাওয়া যায়, সেখানে দেখা যায় নেটে বাংলা ভাষার টোটাল কন্টেন্ট ০.০০০০০০০০০১%, যার ৯৫ ভাগ ব্লগারদের অবদান।অথচ প্রতি মাসে সাবমেরিন ক্যবলে ৩৬৮,০৬৪,০০০ জিবি কন্টেন্ট আমরা অব্যবহৃত রেখেছি।যা দিয়ে প্রতিমাসে সম পরিমান বাংলা কন্টেন্ট আপলোড করা যেত।


ছবিতেঃ বাংলাদেশে এযাবৎ সর্বচ্চ গড় গতি।

ইন্টারনেট সর্ম্পকে মিনিমাম ধারনাও যে আমাদের সর্বোচ্চ শিক্ষিত, সচেতন মানুষগুলোর নেই ইহা তারই প্রমান উপরের ছবিটি।একটা দেশ জনগণের টেলিকমিউনিকেশন স্বাধীনতায় সরকার কতটা সৈরাচারী হলে ২০১২ সালেও এই গতির ইন্টারনেট থাকতে পারে তার একমাত্র উদাহরন বাংলাদেশ।নব্বুইয়ের দশকে ইউরোপ আমেরিকা ছাড়াও এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশ তাদের ডিজিটাল টেলিফোন লাইনগুলো অপটিক ক্যাবল দিয়ে প্রতিস্থাপন করে ইউজারদের একই তাড়ে এমবিপিএস গতির ব্যান্ডউইথ দেওয়া শুরু করে দেয়।আর ১৯৯৬ সালের মধ্যে সারা দুনিয়া জুরে মোবাইল ইন্টারনেট চলে আসায় জিপিআরএস ও ইডিজিই টেক্নোলজিতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরও ৪০ কিলোবাইট/সেকেন্ডের কম ব্যন্ডউইথ পাওয়ার রেকর্ড বিশ্বে নেই। ২০০০ সালের পরে তো দেশে দেশে ৩জি, ওয়াইম্যাক্স, ৪জি চলে এসেছে।আজ ১ এমবিপিএস এর নিচের গতিকে ইন্টারনেটই বলা হয় না, ব্রডব্যন্ডের সংঙ্গা ৫ এমবিপিএস করার দাবি উঠছে আজকাল।আর আমাদের এখানে প্রকৃত পক্ষে ১৯৯৭ সালেই মোবাইলফোন চালু হয় আর মোবাইল অপারেটর গুলো ইন্টারনেট সার্ভিস বিক্রির অনুমতি পায় ২০০৬ সালে।জেনে রাখা ভালো বিশ্বে বাণিজ্যিক মোবাইলের যাত্রা ১৯৭৯ সালে, আজ যে আমাদের এত পরিচিত এসএমএস তার ইতিহাস ১৯৮৫ সালে শুরু।বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে এরশাদ সরকার বিটিএল নামক একটি কোম্পানীকে বাংলাদেশে সেলুলার ফোন, পেজিং ও অন্যান্য নেটওয়ার্ক বেইসড সাভিস দেয়ার লাইসেন্স দিয়ে গেলেও ১৯৯১ সালে এসে সব বন্ধ করে দেয়।পরে মালিক বদলে ১৯৯৩ সালে এইচবিটিএল ঢাকায় সীমিত পর্যায়ে নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক যাত্রার শুরু করে।পরবর্তীতে সেবা নামে দেশের একমাত্র মাত্র মোবাইল কোম্পানী, এম মোরশেদ খান, জোটের মন্ত্রী, ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত একচেটিয়া মোবাইল ব্যবসা করে যায়।এক লাখ, দুই লাখ টাকায় এক একটা সংযোগ বিক্রি করেছে।আর অন্যদিকে তখনকার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও বিটিসিএল সমগ্র টেলিকমকে চুটিয়ে খেয়ে গেছে।নব্বুইয়ের দশকের দেশে টি এ্যান্ড টি'র ল্যান্ড ফোনের সংযোগেরও লক্ষ টাকা ঘুষ লাগতো।এই টাকা বিতরন হতো, লাইনম্যান থেকে শুরু করে বিটিসিএলের চীফ ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত।

গত শতাব্দীতে বাংলাদেশে মূলত ইন্টারনেট ছিল, তাই বলা যাবে না।কারন তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ ছিল না।তাই অতি ব্যায়বহুল ও সীমিত পর্যায়ের ভিস্যাটে আনা ইন্টারনেট অল্প কিছু ভিআইপি লোক ও প্রতিষ্ঠানের কপালে তা জুটলেও আমার মত অতি সাধারন কেউ সর্বচ্চ শুনেছি, ইন্টারনেট নামক একটা জিনিষ আছে।প্রসংঙ্গত, আপনারা সবাই জানেন ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ বঙ্গপোসাগরে সিমিউই-৩ নামক সাবমেরিন ক্যবলে সংযোগ প্রত্যক্ষান করে। ১৯৮৫ সালে সিমিউই-২ তেও তৎকালীক সরকার। এর আগে ১৯৭৮ সালে সিমিউই-১ প্রত্যাক্ষান করে তৎকালীন সরকার বড় লোকের বিলাসীতা বলে।হয়তো ভাবছেন তখন সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে কি হতো ? তাদের বলবো সাবমেরিন ক্যবলের ধারনার জন্ম ১৭৮৫ সালে স্পেনে, আন্তমহাদেশীয় টেলিগ্রাফের নেটওয়ার্কের ধারনা থেকে।অবশ্য বিশ্বের প্রথম সফল সাবমেরিন স্থাপন হয়েছিল ১৮৫৬ সালে ইংলিশ চ্যানেলে। ১৮৭৬ সালে আটলান্টিকে, রানী এজাবেথ তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কাছে টরেটক টেলিগ্রাফ করে তা উদ্বোধন করেছিল।এরপর সাবমেরিন ক্যবলের শুধু প্রসার আর প্রসার ১৯৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রতলদেশে জালেরমত ছড়িয়ে পরে সাবমেরিন ক্যবল আর প্রতি ১৫-২০ বছর পরপর তাড়গুলো প্রতিস্থাপন হতে থাকে আরও উন্নত ও দক্ষ তাড় দিয়ে।



ব্যান্ডউথের দাম ও গতিঃ ১৯৯৩ সাল থেকে গুনিতক হারে দেশের প্রতিটি সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বারটা বাজাতে বাজাতে আজকাল দেখি অনেকেই দেশের ইন্টারনেটর গতি নিয়ে কথা বলে।মন্ত্রী, আমলা, সচিব, এমপি থেকে শুরু করে সাধারন মানুষও।এতদিনে মাত্র গতি সচেতনতা! সেদিন দেখি বিটিআরসি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) জিয়া আহাম্মেদও মূর্খের মত বললেন যে, সরকার গত ৩ বছরে ব্যান্ডউইথের দাম ৩ দফা কমিয়ে ১২৭,০০০/- হাজার টাকা থেকে মাত্র ৮০০০/- টাকায় নামিয়ে আনার পরও দেশে ইউজার ল্যাভেলে নেটের দাম তুলনা মুলক কমে তো নিই'ই ইন্টারনেটের গতিরও সামান্য উন্নতি হয়নি।অথচ ওরই জানার কথা সব ঘটনা।

চলুন দেখি ঘটনা কি ? বর্তমানে গ্রামীনফোন সহ অন্যান্য মোবাইল অপারেটররা যেহেতু আগের ১২৭,০০০/- টাকায় ১ মেগাবিটের পরিবর্তে এখন ১৩ মেগাবিট/সেকেন্ড ব্যান্ডউইথ পাচ্ছে সেখানে ইউজার এন্ডে বর্তমান গড় গতি ৫ কিলোবাইট/সেকেন্ডের পরিবর্তে ১২০ কিলোবাইট/সেকেন্ড না হলেও অন্তত এজ নেটেওয়ার্কের সর্বোচ্চ ৬০ কিলোবাইট না হলেও ৫০ কেবিপিএস হওয়া উচিত।হারামজাদা মোবাইল অপারেটররা অবশ্যই আমাদের সাথে প্রতারনা করছে ? এমনিতেই বাতাস বেঁচে বিদেশিরা দেশের টাকা নিয়ে গেল এইরকম দেশপ্রেমে আমাদের সপ্তাহে একবার স্বপ্ন দোষ হয়।অথচ বুঝে না কি দিয়া কারে কি বুঝাইতেছে আর জনগণেরই বারটা বাজাইতেছে।

আচ্ছা এই যে কারেন্টে আমরা বাতি জ্বালাই, ফ্যান চালাই, এই কারেন্ট কিসের ভেতর দিয়ে পাস হয় ? উত্তর সবার জানা। কারেন্টের তাড়ের ভিতর দিয়ে কারেন্ট পাস হয়! আচ্ছা অপটিক ক্যাবলের ভিতর দিয়ে কি পাস হয় ? এর উত্তরও অনেকেই জানে, ব্যান্ডউইথ/ইন্টারনেট পাস হয়। তাহলে বলুন, এই যে মোবাইল চলে, মোবাইলে, ওয়াইম্যাক্সে আমরা ইন্টারনেট পাই তা কিসের ভিতর দিয়ে পাস হয়ে ইউজারের মডেমে ঢুকে ? হ্যাঁ, ঐ জিনিষটা তরঙ্গ! তরঙ্গের মাধ্যমে। মোববাইল, মোবাইল ইন্টারনেট, ওয়াইম্যাক্স, থ্রিজি সহ তাড়বিহীন সকল যোগাযোগের প্রাণ হলো এই তরঙ্গ - যা প্রাকৃতিক সম্পদ।পৃথিবীতে অঞ্চল ভেদে নানা খনিজ সম্পদের তারতম্য থাকলেও এর কোন তারতম্য নেই, আমেরিকায় যা বাংলাদেশেও তাই।তবে এর ব্যবহার নিয়ে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে চলে গণবিরোধী অসংখ্য নীতি ও রাজনীতির খেলা।জন্মগত ভাবেই মানুষ তার মাথার উপর আকাশের তরঙ্গে উপর অধিকারী হলেও বাংলাদেশের সামরিক, একনায়ক, গণতন্ত্রের নামে ইজারাতান্ত্রীক সরকার ও রাজনীতি জনগণকে তাদের এই অধিকার থেকে ৯৮% বঞ্চিত রেখেছে।বাংলাদেশে মূলত কোন তরঙ্গ নীতিমালাই নেই।যা চলছে তা পৃথিবীতে নজির বিহীন।পদাধীকার বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফ্রিকোয়েন্সি এলোকেশন কমিটির চেয়ারম্যান, আর চালাচ্ছে সর্বনিম্ন ব্যবহার নীতিতে।বাংলাদেশে বর্তমানে ১ মেগাহার্ড্স তরঙ্গের জন্য সরকারকে গড়ে ৫০০ কোটি টাকা ফি দিতে হয় -সেই সাথে ভয়েস ও ডাটা বেকহাউলিং আরও শত টেটনামি।

এদিকে গত তিন বছরেও বিটিআরসি থ্রিজি স্পেকটার্ম অকশন নীতিমালা করতে পারেনি।ওয়াইম্যাক্স স্পেকটার্ম নিয়ে যত বেশি তরঙ্গ ব্যবহার না করে ফেলে রাখা যায় তত মঙ্গল, এই নীতিমালায় চলছে - পুলিশকে বিনা কাজে ১০ মেগাহার্স্ড ফাউ দিয়ে রেখেছে।ওয়াইড ব্যান্ড, ৪জি স্পেকটার্ম সম্পর্কে সচেতনতাও নেই।তাছাড়া ভিএইচএফ, এফএম সহ আরও হাজার রকমের নীতিহীনতায় ভুগছে দেশের সমগ্র তাড়বিহীন তথ্যযোগাযোগ ব্যবস্থা ও সম্ভাবনা।অথচ এই তাড় বিহীন যোগাযোগকেই হতে হবে বাংলাদেশের ডমেস্টিক কানেক্টিভিটির প্রথম ও অন্যতম মাধ্যম।কারন এদেশে কখনওই দেশ জুরে টেলিফোন সিস্টেম ক্যাবল নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠেনি এবং ভৌগলিক অবস্থার জন্য সম্ভবও না।আর ২০১২ সালে দেশে ২০০ কিলোমিটার অপটিক ক্যবলও স্থাপন হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে -যেখানে বাকি বিশ্ব ২০০০ সালের আগে ন্যাশনাল অপটিক ব্যাকবোন দ্বিতীয় মেয়াদে আপগ্রেড করে ফেলেছিল।তাই সারাদেশ তাড় দিয়ে কানেক্টিভিটির কথা আপনার সামনে যদি কেউ বলে, নির্দিধায় তাকে একটা থাপ্পর মেরে বলতে পারেন /মোবাইল/ওয়ারলেস ব্রডব্যন্ড'ই হবে বাংলাদেশের ডমেস্টিক ব্রডব্যন্ড বেকবোন।

এবার নিচের ভিডিওতে দেখেন ডিজিটাল বাংলাদেশ ৩ বছর খতিয়ান - খুবই গুরুত্বপূর্ন। বিনোদন নেন।

মাত্র ১ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ১ এমবি ভিডিও,


থ্রীজি হলো তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক। ১জি প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রথম স্থাপন হয়েছিল জাপানে ১৯৭৯ সালে।এই প্রজন্মটি ছিল এ্যানালগ মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন।১৯৯১ সালে ২জি বা প্রথম ডিজিটাল মোবাইল নেটওয়ার্ক ফিনল্যান্ডে শুরু হয়।আর ৩জি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছিল ১ অক্টবর, ২০০১ জাপানে, প্রথম।

আপনাদের মনে থাকবে ওয়ারীদ বাংলাদেশে ৩জি'র আওয়াজ তুলেছিল ২০০৪ সালেই।ওয়ারিদকে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের লাইসেন্সের সাথে থ্রী-জি অনুমোদনের ফাইল গেলে সেদিন কেবিনেট মিটিং এ সকলে এর বিপক্ষে জোর দাবী তুলেছিল।শানেনজুল ছিল, "এটা দিলে আমাদের ইয়ং জেনারেশন নষ্ট হয়ে যাবে, ওরা ভিষন পাপ করবে, ফ্রি সেক্স হইয়ে যাবে, ঘরে বসে ওরা একে অন্যের ব্লুফিল্ম দেখবে।কোরান, হাদিস সব ঘেটে ঐ মিটিংয়েই ইসলামে ৩জি'র অনুমোদনের কোন সুযোগ নেই তা প্রমান হয়েছিল।এখনও এই নীতিই চলমান।উল্লেখ্য থ্রীজি'র সাথে ধর্মীয় বিষয়টি সবদেশেই কম বেশি ছিল এবং বাংলাদেশে এই প্রতিবন্ধকতাটি সবচেয়ে বেশি যার বীজ উপ্ত হয়েছিল ২০০৪ সালে।তাই থ্রীজিকে একমাত্র বাংলাদেশেই আজও আটকে রাখতে পারছে।শুনা যাচ্ছে এবছর শিওর আসছে, আমার ভবিষ্যৎবানী বাংলাদেশে থ্রীজি আসলেও নেটের গতি আসবে না কারন তরঙ্গ দিবে না।

ইকমার্স বা পেপলের কতা তো কইলামই না, যেই ইন্টারনেট টাকা লেনদেন করা যায় না তা হিজরা ইন্টারনেট।আচ্ছা বলেন তো টাকা লেনদেন করা যায়না এমন ইন্টারনে বিশ্বের কোন দেশে আছে ?
বাংলাদেশ ও পাকিস্তন ছাড়া পৃথিবীর কোথাও এই রকম ইন্টারনেট ২০০৫ সালের পরে নেই।বাংলাদেশের ইন্টারনেটের একদিকে যেমন সামান্যতম গতি নেই তেমনি বীর্যও নেই।এটাকে বলতে পারেন ফাইজিল ডিজিটাল বাংলাদেশের ফাউল নেট।এটা দিয়া ফাইজলামী ও পর্নগ্রাফি ছাড়া আর কোন কামের না।বাংলাদেশ পাকিস্তান ভাই ভাই কোন দেশে পেপল নাই।



পেপল না থাকায় ডিজিটাল অর্থনীতির সমস্ত দরজাই বন্ধ।যেমন আউটসোর্সিয়ের কথাই ধরুন।দেশের সর্বশেষ রেমিটেন্স রেকর্ড ১২.৫ বিলিয়ন যা প্রায় ১০ মিলিয়ন প্রবাসীর অবদান।এই রেমিটেন্স গতি গত ৩ বছরের প্রথম ৬ মাসেই দ্বিগুনের কাছাকাছি যাওয়ার কথা ছিল।দেশে এই মুহুর্তে জেএসসি থেকে মাস্টার্স উত্তর ৫ বছর পর্যন্ত ৩ কোটির উপর শিক্ষিত বেকার তরুন'ই আছে - এবছর জেএসসি পরীক্ষার্থী সংখ্য ছিল ১৯ লাখ, এসএসসি ১৪ লাখ।সরকারের সামান্য পদক্ষেপেই ৩ মাসের মধ্যে বর্তমান প্রবাসীদের সাথে আরও ১৫ মিলিয়ন অনলাইন রেমিটেন্স উপার্জনকারী যোগ হতে পারে।এই প্রবাসীদের সাথে এরাও কাজ করবে, রেমিটেন্স আনবে।তবে এরা কাজ করবে আরও পাওয়ারফুল পথে।এরা যে শুধু দেশে বসেই কাজ করবে তা নয়, এরা ঘরে বসেই ভিসা ফ্রী বিশ্বের যে কোন দেশেই কাজ করবে - কাজ শেষে প্রতি ঘন্টায় তার মোবাইলের ফ্লেক্সিব্যাংকে ১ ডলার ভেঙ্গে ৭৬ টাকা জমা পরবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলে পেপল ভ্যারিফাই করলে দেশের সব টাকা পাচার হয়ে যাবে।ডক্টর আতিয়ার রহমান যখন বিবি গভর্নর হইলো তখন মনে করছিলাম এই গরীবের পোলা জনগণের কষ্ট বুজবো।কিন্তু যেদিন দেখলাম দেশের ৮ কোটি লোকের কাছে পৌছে যাওয়া মোবাইলের ফ্লেক্সীলোড ভাংঙানোর সহজ মোবাইল ব্যাংক না দিয়া ট্রাস্টব্যাংক, ডাচবাংলাব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং লাইসেন্স দেয় সেদিনই বুঝছি এও একই চক্রের সদস্য।তানা হলে ২০০৯ সালের মধ্যে দেশে পেপল ভ্যারিফাই করতো।

তাই বলিঃ বাংলার পুলাপানরে বলছিঃ আউটসোসিংয়ের কাজ করতে হবে না, আপনি লোম ফালানোর কাজ করেন, উন্নতি করবেন।

এবার আসুন + পাগলা দোয়েলের খবর বলি।



সেই কোন কালে, ২০০৯ সালে, ছয় মাসের মধ্যে দেশের প্রথম স্বল্পমূল্যের ল্যাপটপ বাজারে আনছে টেশিশ স্লোগান শুনতে শুনতে অতিষ্ট হয়ে সেদিন হাতে পাইলাম, পাঁচ হাজার টাকা বেশি দিয়ে বিটিসিএল এর ব্লাকমার্কেট থেকে - মেশিন ১৪ নম্বর।এবার বোঝেন রদ্দি মাল তার উপর বানিজ্য, টেলিটকের সীমের মত, টেলিটকের থ্রীজিতেও এই হবে ০১৪ নম্বর থ্রীজি। অথচ ভারত ২০০৮ সালেই ৫০০০/= টাকার ল্যাপটপ তৈরী করেছিল।বর্তমানে ভারতে ৩৫০০/= টাকায় ট্যাবলেট পাওয়া যাচ্ছে আর দোয়েলের ট্যাবলেটের দাম ১০,০০০/= টাকা।

উপরের ও নিচের সকল দায় সজিব ওয়াজেদকেই নিতে হবে, কারন সেই'ই কম্পিউটার বিজ্ঞানী।ডিজিটাল বাংলাদেশের যেখানে যাকিছু হচ্ছে, হয়েছে ও হচ্ছে না, জনগণকে তার উত্তর সজিব ওয়াজেদ জয়কেই দিতে হবে, এটা কনফার্ম।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সরকারী সাইট গত আড়াই বছর বানালাম ফ্রি জুমলা দিয়া, ওহন বানাই ধ্রুপল দিয়া।



অপচয়ের সময় আমাদের হাতে আনলিমিটেড, তাই না! আপনাদের মনে থাকবে অবশ্যই এক বছর আগে জুমলা দিয়ে বানানো প্রতিটি জেলার তথ্যবাতায়ন উদ্বোধন কালে শুধু ডেকোরেশনের বিল পঞ্চাশ হাজার টাকা।এতদিন বেগার খেটে এখন বানাই ধ্রুপল দিয়া।কেবল বেসিক বিষয়গুলোর এই অবস্থার জন্য এত বছরে জাতিকে ধ্রুপল পর্যন্ত এসেছে, মক্কা মেলা দূর! আড়াই বছর আগে ভবিষ্যতবানী করেছিলাম জুমলা একদিন ফেলে দেব, যান দুই বছর আগে আরেক ভবিষ্যতবানী করে দিলাম - লোডের ভারে ধ্রুপল মিসফাংশন শুরু করবে।জুকারবার্গ সাংঙ্ঘাতীক ভুল করে ফেলেছে, জুমলা/ধ্রুপল দিয়া ফেইসবুক বানানো উচিত ছিল - এ্যাকাউন্টও করা যায়, আনলিমিটেড এ্যাপলিকেশনও সাপোর্ট করে।ধ্রুপল গাজিপুর জেলা

গতকাল ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী মোবাইলে বাংলা কী প্যাড উদ্বধোন করলেন আজ অর্থমন্ত্রী কাওরান বাজারে হাইটেক আইসিটি পার্কের কথা বললেন সেগুলোকে কোন অগ্রগতি ভাববেন না।ঐগুলো রাজনৈতিক স্টান্টবাজী ও শত কোটি টাকার লুটপাটের প্রজেক্ট বলতে পারেন। আসলে ডিজিটাল বাংলাদেশের কাজ যেদিন শুরু হবে আপনাকে বলে দিতে হবে না।নিজেই টের পাবেন - সূর্য উঠলে যেমন চোখ বন্ধ থাকলেও টের পান, তেমন।যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেখবেন দেশের কোন জেলা/শহর/উপজেলা/এলাকা/মহল্লা হলেও ঘোষনা দেয়া হবে এইখানে জীবনে আর কখনও বিদ্যুৎ যাবে না এবং শহর জুড়ে শক্তিশালী অপটিক ক্যবল নেটওয়ার্ক হচ্ছে।ওখানে ঘরে ঘরে সার্ভারসেটাপ হবে, ডিজিটাল বাংলাদেশের সার্ভার।কারন নিজের দেশে সার্ভার ছাড়া হোস্টিং যেমন ব্যয়বহুল তেমনি দেশের একটি সাইটেই ডাটা কল করতে সাত সমুদ্র তের নদী ঘুরে বিপুল ব্যান্ডউইথ খরচ করে আসতে হবে, আর ডিজিবিডির থাকবে লাখ লাখ সাইট।ডিজিবিডি শুরু হলে এক বছরের মধ্যে দেশের যেকোন প্রত্যন্ততম স্থানেও হাতের মোবাইলেই পাঁচটা এফএম রেডিও স্টেশন ধরা যাবে যা আশেপাশে কোথাও ব্রডকাস্ট হচ্ছে ও জনগণকে বিনা খরচে তথ্য দিচ্ছে।পাশের থাইল্যান্ডে ২০০৯ সালে এক সাথে এরকম ৪৭০০ এফএম স্টেশন লাইসেন্স দিয়েছে। আরও দেখবেন রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা ও দুর্ঘটনা কমতে শুরু করেছে।লোকজন অনলাইনে ও মোবাইলেই অনেক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড করে ফেলছে।

যা হউক আমি হতাশ হলেও, সাধারন তরুনদের আরও সতর্ক থাকতে থাকতে হবে, প্রয়োজনে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হবে।এদের ঘাড়ে বসেই এদের সকলের পর্দা খুলে দিতে হবে।সকলকে জনগণের সামনে প্রকাশ করে দেয়ার বিকল্প নেই।সংবাদ/ঘটনা/সত্য অপ্রকাশিত/ আড়াল রাখাই খারাপ শাসন ব্যবস্থার অন্যতম হাতিয়ার।সরকার ও ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠান/দল/ব্যক্তি মাত্রই ষড়যন্ত্রপ্রবণ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে, মিথ্যা বলে।ষড়যন্ত্রকারীদের প্রধান অস্ত্র তথ্য/সত্যের গোপনীয়তা।গোপনীয়তা প্রকাশ করে দিতে পারলেই সকল মন্দ ভণ্ডুল করে দেয়া সম্ভব।আমরা যদি নিষ্ক্রিয়ভাবে অন্যায়-অবিচার দেখে যাই, কিছুই না করি, তবে আমারাও অন্যায়ের পক্ষেই কাজ করি। নিষ্ক্রিয়ভাবে অন্যায়-অবিচার দেখতে দেখতে আমরা দাসে পরিণত হই।

যেহেতু অধিকাংশ অন্যায়-অবিচার ঘটে তথ্যের/সত্যের/ঘটনার সাথে সাধারন মানুষের সংযোগ না থাকার কারনে।যেহেতু মানুষের জেনে যাওয়াই অন্যায় অবিচারের উপর ফাংশনাল অন্যতম চাপ, যেহেতু সবাই সবকিছু জেনে গেলে অন্যায়-অবিচার কমে যাবে।...তাই আমাদের এমন কিছু করতে হবে, যেন সবাই সবকিছু জেনে যায়, খারাপ শাসনব্যবস্থার জায়গায় ভালো কিছু আসে।আর এই করার একটাই উপায় ডিজিটাল বাংলাদেশ।

লেখাটির সাথে জাতীয় গুরুত্বের কথা বিবেচনায় সূত্র ছাড়া কপিপেস্ট মাইরা ১০০০ জায়গার পুষ্টানির লক্ষ্য ছিল, একা আর কত পারুম, একটু হাত লাগাইবেন কি ? ইচ্ছা হলে স্টিকির দাবী তুইলেন।

Wireless Bangladesh Warriors -WBW (উুবু)

আমাদের একমাত্র মুক্তির পথ ডিজিটাল তথা তথ্যপ্রযুক্তি তথা ই-বাংলাদেশে - মহাঔষধের মত।

ছোট্ট একটি ভিডিও দেখ
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৮
৯৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×