১৯২১ সালে একটি টঙঘরে এই বোস কেবিনের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নৃপেন চন্দ্র বসু। তিনি ভুলুবাবু নামেই বেশি পরিচিত। ২০ বছর বয়সে জীবিকার সন্ধানে বিক্রমপুরের ষোলঘর থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। শুরুতে ছোট টঙঘরে কড়া লিকারের চা, লাঠি ও বাটার বিস্কুট নিয়ে বসেন। তখনই তার দোকান জনপ্রিয় হতে থাকে।
“নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু নারায়নগঞ্জ এলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ভুলুবাবু, কড়া ও হালকা লিকারের দুই কেতলি চা বানিয়ে ছুটলেন নেতাজীর জন্য। সেই চা খেয়ে তখন খুবই খুশি হয়েছিলেন নেতাজী, আশীর্বাদও করেছিলেন।”
পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথম দিকে যাদের পা পড়েছিল এই বোস কেবিনে তাদের মধ্যে রয়েছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মতো নেতারা। সাহিত্যিক শামসুল হকও এসেছিলেন এখানে।
যেভাবে যাবেন:
বাসে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ৩০ টাকায় যাওয়া যায়। গুলিস্তান থেকে উৎসব, বন্ধন, বিআরটিসি বা বোরাক বাস সার্ভিসে সরাসরি কালীরবাজার নেমে রিকশায় বা হেঁটে চেম্বার রোডে গেলেই পেয়ে যাবেন বোস কেবিন। চাইলে রেলগাড়ি বা লঞ্চেও নারায়ণগঞ্জ যাওয়া যায়।
প্রতিবেদন পড়ার পরে আমার'ত এখনই যেতে ইচ্ছে করছে
চা খেতে বোস কেবিন
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৩