প্রথম পর্ব
প্রথম পর্বে বলেছিলাম যে প্রত্যেক স্বামী এবং স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক কিছু চাহিদা আছে। যখন এসব চাহিদা পূরণ হয় না তখনই পরকীয়ার সূত্রপাত ঘটে। যখন স্বামী ও স্ত্রী একে অপরকে পর্যাপ্ত সময় না দিতে পারে তখন তাদের মাঝের মানসিক দূরত্ব পরকীয়ার সূত্রপাত ঘটায়।
২) গত পর্বের সূত্র ধরেই বলছি যে বাংলাদেশের অনেক মানুষ মধ্যপ্রাচ্য ও বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে তাদের কর্মসূত্রে। এ জনসংখ্যার অধিকাংশই পুরুষ এবং এদের ৯৮% চাকুরীজীবি, শ্রমিকদের পরিবার, স্ত্রী-সন্তান সবাই থাকে বাংলাদেশে, হয়ত অবস্থাসম্পন্ন কিছু তাদের পরিবার নিয়ে বিদেশে থাকেন। এই ৯৮% চাকুরীজীবি, শ্রমিকরা ২-৩ বছর আবার ৪-৫ বছর পর দেশে ফিরেন। প্রতিমাসে ফোনে অথবা চিঠিতে যোগাযোগ রাখেন। কিন্তু স্বামী ও স্ত্রীর মাঝখানে একটা মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হয় তা কেউ মানা করতে পারবেন না। এবার শারীরিক চাহিদার প্রসঙ্গে আসি। স্বামী ও স্ত্রী দুজনের প্রত্যেকের কিছু শারীরিক চাহিদা আছে; যা তারা পরস্পর কাছাকাছি না থাকলে সেই চাহিদা পূরণ হয় না। হয়ত স্বামী তার সেই চাহিদা পূরনের জন্য কোন নিষিদ্ধ পল্লীতে যেতে পারেন; কেউ তাকে দোষারোপ করবে না। পরকীয়ায় লিপ্ত হবেন, বিদেশে বিয়ে করে আরেক সংসার করবেন। হয়ত এ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের তারা বাঁধা পাবেন না। কিন্তু একটা স্ত্রীর পক্ষে এসব সম্ভব নয়। এজন্যই একটা স্ত্রী পরকীয়ার পথে পা বাড়ায় তার চাহিদা পুরণের জন্য। আর বেশি ব্যাখ্যা করতে চাচ্ছি না।
এর কোন সমাধান দিতে পারছি না।কারন স্বামী অথবা স্ত্রী কেউই এটার জন্য প্রকৃত দায়ী নন। আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা ব্যবস্থা এর জন্য দায়ী। বাংলাদেশের অধিকাংশ গরিব অশিক্ষিত মানুষ মধ্যপ্রাচ্য ও বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে দেশ ছেড়ে যায় আর ছেড়ে যায় দেশে তাদের পরিবারকে অনন্ত অপেক্ষার প্রহর গোনাবার জন্য। হয়তো তারা আজ শিক্ষিত হলে ও তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল হলে স্বামী অথবা স্ত্রী কাউকেই তাদের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা মেটানোর জন্য পরকীয়ায় লিপ্ত হতে হতো না।
(চলবে)
প্রথম পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



