পরকীয়া বলতে কি বুঝি তা আশা করি সবারই জানা আছে।অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন আর মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়ে যাবার পর পরকীয়ার হার আরও বেড়ে গেছে। বিবাহ পরবর্তী অন্য কারো সাথে সম্পর্ক; পরকীয়া বিষয়টি আমার কাছে স্পর্শকাতর মনে হয় তারপরও এটা নিয়ে লেখার চেষ্ট করলাম। নিজের কথাগুলো তুলে ধরছি। হয়তো আপনাদের কাজে লাগবে। কিছুটা বিশ্লেষন করার চেষ্টাও করলাম।
আগেই বলে রাখছি যে প্রত্যেক স্বামী এবং স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক কিছু চাহিদা আছে। যখন এসব চাহিদা পূরণ হয় না তখনই পরকীয়ার সূত্রপাত ঘটে।
১) পরকীয়ার প্রথম কারন হলো আপনি হয়তো আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীকে সময় দিতে পারছেন না। হয়ত আপনারা দু’জনেই অফিসের কাজে এত ব্যস্ত যে কেউ কাউকে সময় দিতে পারছেন না। আবার আপনি আপনার অফিস অথবা ব্যবসা নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে বাসায় ফিরে আপনার স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময়ও আপনি করতে পারছেন না। একে অপরকে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়ার কারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটা মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হয়। স্বামী অথবা স্ত্রী এমন কাউকে খুজতে থাকে যার সাথে তার একাকীত্ব ঘুচে যায়। এমন কাউকে খুজতে থাকার থেকেই পরকীয়ার সূত্রপাত।
স্বামী অথবা স্ত্রী যদি চাকুরীজীবি হয়ে থাকে তাহলে তারা তাদের অফিসের বিপরীত লিঙ্গের কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে অধিকাংশ নারী বিবাহের পর বাকি জীবনটা গৃহবধূ হিসাবে পার করে দেয়। এসব গৃহবধূদের অনেকেই বিবাহ পরবর্তী একাকীত্ব ঘুচাতে তাদের কোন আত্নীয় সম্পর্কের অথবা প্রতিবেশী কারও সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।
অনেকের পরকীয়া সম্পর্ক জানাজানি হয়ে যায় আবার অনেকের হয় না। পুরুষশাসিত সমাজে স্বামীরা অধিকাংশ সময় পরিত্রাণ পেয়ে যায় আর স্ত্রী-দের ব্যপারে জানাজানি হলে স্ত্রীকে অনেক অত্যাচার, অনাচার সহ্য করতে হয়। কিন্তু সেই ঘটনার সূত্রপাত কিভাবে হলো কেউ জানতে চায় না। প্রকৃত দোষী আড়ালেই রয়ে যায়।
হয়ত অনেক পুরুষ ও মহিলা আমার এ লেখাটি পড়ছেন। সবার কাছেই অনুরোধ যে আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীকে পর্যাপ্ত সময় দিন।অফিস থেকে একটু আগেই ফেরার চেষ্ট করেন।টাকা তো আর জীবনের সব সুখ আনতে পারে না। নয়তো পরকীয়ার মত “কারেন্ট জালে” জড়িয়ে পড়লে আপনার সাজানো সংসার বাচানো আপনার পক্ষেই কঠিন হবে।
(চলবে)
দ্বিতীয় পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



