একজন পুলিশ একজন ছাত্রের উপর মিছিলে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কোন নিয়ম নেই? ইচ্ছে করলেই ঠিক বিদ্রোহী ছাত্রের চোখকে নিশানা করে গুলি বর্ষণ করা যায়?
ছাত্ররা বরাবরই অপরাধী। কারণ তারা চায় কিছু অধিকার, কিছু চাওয়া যা তাদের পাপ্য।
ছেলেটি মিছিলে নেমেছিল কারণ সময় বয়ে যাচ্ছে। ঘরে বিধবা মা, সাবালক বোন। তাদের ভরণপোষণ এর দায়িত্ব এবার নিতে হবে। এক বেলা খেয়ে অন্য বেলা উপোষ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সে। ওদিকে বয়সটাও বড্ড বেড়ে গেছে। সরকারি চাকুরীর ফর্মটা হয়ত আগামী বছর থেকে আর তুলতে পারবে না।
দোষ কার মাননীয় রাষ্ট্র ? বছরের পর বছর সেশনজট, পরীক্ষার সময় পিছিয়ে যাওয়া, ফলাফল বের হতে বিলম্ব। জবাব দিতে পারবেন আপনি?
জানি পারবেন না। বরংচ এসব আবুলেশ অন্ধকার ভেদ করার জন্য যারা রাজপথে স্লোগান দিচ্ছে তাদের চোখকে লক্ষ করে কালো বুট পরা দেশ রক্ষকের হাত থেকে দুটো করে বুলেট তাদের চোখে ঢুকিয়ে দিন। কিন্তু আপনি কি জানেন বুলেট চোখে যাবার পরেও অনেক গুলো কন্ঠ একসাথে আবারো চিৎকার করে উঠবে। এ চিৎকার মুক্তির চিৎকার, এ চিৎকার আর্তনাদ এর চিৎকার। শুনতে পাচ্ছেন ঠিক আপনার দরোজার কপাটে আঘাত দিচ্ছে শত শত চিৎকার। আপনার ঘুম কি ভাঙবে না মাননীয় রাষ্ট্র।
#save_our_students
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭