হাসি ভরা মুখ কথায় মিশুক চেনে জনে জনে,
বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফেরে পাড়াগাঁয়ে সমান তালে।
ভয় নেই নির্ভয়ে কথা বলে তার উঁচু থাকে বুক,
সহজসরল বচনে বেড়ে ওঠা সে গ্রাম্য-কিশোর।
সারাদিন ছোটাছুটি নেই কোন স্বস্তি চলন কাজে,
ঝড়বৃষ্টির শ্রাবণ দিনেও থাকবেনা ঘরের কোণে।
জুটিয়ে খেলার সাথী কাদাজলে চলবেই হলুস্থুল,
যতো বাঁধাই থাকুক এখেলায় কভু হবে না ভুল।
বাবা-মায়ের শাসন কভু পারেনা তাদের দমাতে,
সুখ যতো গাঁয়ের সেপথে মাড়াতে আর খেলাতে।
বৈশাখী মেলা অষ্টমী বিকেলের সে'মজা হাডুডুর
মনে পড়ে আজো কিশোর স্মৃতিময় সে মুগ্ধ দুপুর।
ধূলো-বালি মাখা গাঁয়ের আঁকা বাঁকা মেঠো পথে,
নিত্য-দিনের যাওয়া আসায় সে মুগ্ধ মাটির ঘ্রাণে।
গানবাজনা আর লেখা-পড়া সেথায় গ্রামের স্কুল,
ভালোবাসা আর মনুষ্যত্ব গড়ে তুলাই লক্ষ্য মূল।
মমতায় ঘেরা পাড়া প্রতিবেশীর হৃদয়ের বন্ধনে,
ঝগড়া ফেসাদ কলহেও তার ভালোবাসা না টুটে।
ভাব-আবেগে থাকে সদা আনন্দ উল্লাসে মশগুল,
নয়নের বড়স্বাদ ফিরে পেতে সেই গ্রাম্য-কিশোর।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩