আমি কষ্টের দাবদাহে জ্বলতে জ্বলতে অনুভব করি,
কতটা দুঃখবোধ- কতটুকু বেদনা কাঁদায় মানুষকে।
আমি কষ্টের কাছে পরাজিত নই,
বেদনার সাথে সখ্যতায় বিভোর-
কষ্টকে সদাই করে চলেছি জয়।
ফাগুন-শুষ্কতা চৈত্র-দহনে পাতা-শূন্য বৃক্ষের মতই,
নিঃশেষ হয়েও অবিচল নিজ আয়োজনে মনোবল,
দুর্দমেই দেখেছি সফলতা আর দূর্লভ কতো বিজয়।
দুঃখের সখ্যতায় চিনেছি মানুষ, বন্ধু-ভাবিত স্বজন,
মনের এ্যালবামে দুঃখ নয়-আঁকি সুখের প্রতিচ্ছবি;
করি কষ্টের সাথে বন্ধুত্ব, আমি দুঃখ ভালোবাসি।
অসহায়ের পাশে বসি দুব্বা-ঘাসে, আহ!
কতটা কষ্টের ভারে দুর্বল গরীব ক্ষুধাতুর
জীবনের ভার বইতে বইতে হয় ক্লান্ত!
আমি অনুভব করি বিষণ্ণ রাতের শেষ প্রহরে,
অনাহারীর ঘুম-দীর্ঘশ্বাস কতটা বিতৃষ্ণার-
মহাপ্রলয়ের বেগ-তাপ অঙ্গার জলন্ত হৃদয়ের।
তোমাদের সুখ-অভিনয়ে মেতে উঠি না আমি,
জানার তৃপ্ততায় আত্ম-সুখানুভবে মাতি নৃত্যে;
চিত্তে ভাসিয়ে মুগ্ধতার রশ্মি- খুঁজি সুখ ভৃত্যে।
হারানোর ব্যথায় পুড়ি নিভৃতে হয়ে নীরবচারী,
ভাবতেই পারো নির্বোধ-আমি দুঃখ ভালোবাসি।
২১-১০-২০১৭ইং। ছবির সাথে আমার কবিতার কোন সম্পর্ক না থাকলেও যেহেতু লেখাটির সাথে পোষ্ট করেছি আর ছবিটি সম্পর্কে জানা, সেহেতু ছবির শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে আমার জানা কিছু তথ্য।
ছবি সম্পর্কে জানতে : একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করে জীবন পার করছেন!
চট্রগ্রামের গোল পাহাড় মোড়ে এক বয়োবৃদ্ধ ভিক্ষুককে সংবাদপত্র পড়তে দেখে fb ব্যাক্তিত্ব Muslehuddin Mohammed Badrul ভাই আগ্রহ নিয়ে তাঁর কাছে গিয়ে জানতে পারেন তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা! মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, বয়রা গ্রামের আব্দুস সাত্তার নামের এই মুক্তিযোদ্ধা 1968 সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএ পাশ করেছিলেন। 1971সালে মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনীতে থেকে যুদ্ধ করেছেন।বর্তমানে সংসারে তাঁর কেউ নেই।তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন মেডিকেলে ছিলেন।27বছর ধরে চট্টগ্রামে আছেন।রাতে থাকেন দামপাড়া পেট্রোল পাম্পের বারান্দায়।76 বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা কথা বলার সময় অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন শুদ্ধ ইংরেজীতে।
একথা ঠিক যে, স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা সঠিক মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রনয়ন করতে পারিনি! অনেক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রের সুবিধা নিচ্ছে! অন্যদিকে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম না থাকায় রাষ্ট্রের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এমনকি কেউ কেউ ভিক্ষাও করছেন! একইভাবে বীরাঙ্গানারাও বঞ্চিত হচ্ছেন এবং ভিক্ষাবৃত্তি করে কিংবা কারো গৃহে কাজ করে মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছেন।সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে
এই বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারসহ সুবিধা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।
কার্টেসী -Mohammad Nure Alam
ফেসবুক পোষ্টটি পেয়ে খুব কষ্ট আর অপরাধী মনে হচ্ছে নিজেকে! যাদের কারণে আমরা স্বাধীনতা পেলাম, তাঁদের প্রতি আমাদের সম্মান কতটুকু! আমাদের রাষ্ট্রের কতটুকু মর্যাদা তাঁদের প্রতি!!
(ছবি সম্পর্কিত তথ্যটি আমি তিনমাস আগে পেয়েছিলাম)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫