ডারউইন সাহেব যা বলেছিলেন বাঙালির ক্ষেত্রে তা খাটে না।
পশুপ্রানীর নিকট থিইকা বাঙালির জন্ম হয় নাই। বাঙালির জন্ম হইছে একনায়ক থিইকা। বুটসানগ্লাসজেনারেল থিইকা। ছুরিচাপাতি থিইকা।
আর যেদিন বাঙালি নিজেরে বাঙালি বইলা পরিচয় দিতে শিখলো; সেদিন থিইকা বাঙালির থিক্যা জন্ম নিছে অজস্র হায়না । ডারউইন সাহেব যা বলেছিলেন বাঙালির ক্ষেত্রে তার উল্টাটা হইছে। পশু থেকে বাঙালি হয় নাই। বাঙালি থেকে পশু!
কয়দিন আগে দেখলাম রাজিয়া নামের ছয় মাসের এক ছোট্ট তুলতুলে শিশুকে এক বাঙালিহায়না এসিডে ঝলসে দিছে । পত্রিকার পাতায় বেশ চমৎকার মানাইছিলো ছবিটা!
সারা গায়ে ব্যান্ডেস করা ছোট্ট একটা মানুষ। যে জন্মেই দেখলো হায়নার নির্যাতনের ভয়াবহতা। হয়ত রাজিয়া মরে গেছে এই কয়েকদিনে; হয়ত মরে নাই। খুব শীঘ্রই মারা যাবে।
এমন একটা দেশে কেন বেঁচে থাকবে রাজিয়ারা।
ওর পোড়া ছোট্ট তুলথুলে মেঘের মতো শরীরটা দেখে কারো কী কান্না পায় নাই! আমি জানি না।
গতকালের সমকাল।
হাসপাতালের বাথরুমে ধর্ষিত হইছে চার বছরের বালিকা। তারপর সারাদিন চিকিৎসাহীন থাকার পর তাকে ডাক্তারহায়নারা দেখেন। ক্ষতস্থানে শেলাই করেন। ...আসলে আমি আর কিছু লিখতে পারছি না।
আমার মনে হয় এই দেশটার বহু জায়গায় এমন অনেক
ক্ষত তৈরী হইছে । দেশটার চিকিৎসা করা জরুরী।
ক্ষতগুলা সেলাই করা দরকার!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৯:৩৫