যুগে যুগে যে সব মানুষ তরুণদের হার্টবিট শুনতে পেয়েছিলেন এবং হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন; তারা যেমন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন, তেমনি হয়েছেন বিখ্যাত। বাঙ্গালী জাতিসত্তার ইতিহাসের ক্ষেত্রে এ কথাটি আরো বেশি সত্য। তরুণদের হার্টবিট ধরতে পেরেছিলেন বলেই এক জন শেখ মুজিব "বঙ্গবন্ধু" হয়ে উঠেছিলেন; হয়েছেন জাতির পিতা। তরুণদের হার্টবিট ধরতে পেরেছিলন বলেই "জোহা স্যার" নামটি আজো ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধায় উচ্চারিত হয়। তরুণদের কাছে তিতুমীর আজো এক প্রতিরোধের নাম; শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী এক একজন সাহসী প্রতীক। কারন তরুণদের হার্টবিট কথা বলে অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পক্ষে; মানুষের মুক্তির আকাঙ্খায়। এ হার্টবিট বুঝতে পারা অতোটা সহজ নয়; সহজ নয় শাসক এবং শোষকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠে কথা বলা। তবু যারা এই কাজটি সব শঙ্কা, ভয় এবং সীমাবদ্ধতাকে পিছনে ফেলে করতে পেরেছেন; তারাই হয়েছেন অবিসংবাদিত; হয়েছেন কালজয়ী, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার পাত্র।
সরকারের দায়িত্বশীল মহলকে বলতে চাই, কোটা সংস্কারে দাবিতে যে আন্দোলন চলছে; এটা আপামর ছাত্র-জনতার আন্দোলন। এটা বেকারত্বের জাতাকলে পৃষ্ঠ ত্রিশ লক্ষ যুবকের আকুতি; তাদের পরিবারের অনুভূতি। এটা মুষ্টিময়ে কিছু স্বার্থবাদী ছাড়া ষোল কোটি মানুষের একান্ত চাওয়া; কোন সরকার বিরোধী আন্দোলন না। শক্তি প্রয়োগ করে এই আন্দোলকে চিরদিনের জন্য দমিয়ে দেওয়া যাবে না। ইতিহাস বলে আপামর ছাত্র-জনতার অনুভূতি কখনো পারাজিত হয়নি; তরুণরা কখনো পারাজিত হয়না। আজ হোক কিংবা কাল; কোটা সংস্কার করতেই হবে। এটা নেয্য দাবি; শাম্যের দাবি বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তাই অনুগ্রহ করে তরুণদের কথা শুনুন মাননীয় সরকার বাহাদুর; তাদের হার্টবিটকে উপলব্ধি করুন। কোটা বৈষম্যের জাতাকলে তরুণদের যে অবর্ণনীয় কষ্ট, দুর্ভোগ এবং হতাশা; তার আশু সুরাহা প্রয়োজন। আর এই কাজটি সরকারকেই করতে হবে দ্রুততার সাথে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬