somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একবার হলো কি, জর্জ ডাব্লিউ বুশ সিদ্ধান্ত নিলেন যে ইরাক আক্রমণ করবে.....

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখাটা প্রচলিত একটা জোকস দিয়ে শুরু করি। তবে জোকসটি কাউকে হাসানোর উদ্দেশ্যে না। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে এই জোকস আপনি একাধিক বার শুনেছেন বা পড়েছেন। যাই হোক,



একবার হলো কি, জর্জ ডাব্লিউ বুশ সিদ্ধান্ত নিলেন যে ইরাক আক্রমণ করবেন। তার প্রেস সচিব জিজ্ঞাসা করলো, আপনি এটা মানুষের সামনে বলবেন কি করে? মানুষতো হাজারটা প্রশ্ন করবে। তো, বুশ তাকে কিছু একটা বললে প্রেস সচিব খুব একটা ইম্প্রেসড হলো না।

প্রেস কন্ফারেন্সের দিন বুশ ঘোষণা করলো যে সে ইরাকের উপর আক্রমণ করে এক লাখ লোক মেরে ফেলবে, আর ঢাকার ফকিরাপুলে একটা রিক্সার চাকা ফুঁটো করে দিবে। সব সাংবাদিক হুমড়ি খেয়ে পড়লো, কেন কেন কেন? রিক্সার চাকা কেন ফুঁটো করবেন? ফুকিরাপুলের রিক্সাই কেন হতে হবে? ঝিগাতলার রিক্সায় সমস্যা কি? ইত্যাদি।

বুশ তখন তার প্রেস সচিব কে বললেন, আগেই বলেছিলাম না? সবাই ঐ ফুঁটো নিয়েই পড়ে থাকবে!

----------------

গল্পটা এজন্য বলছি যাতে আপনি ব্লগের অবস্থা বুঝতে পারেন। এটি আপতদৃষ্টিতে কাউকে পারসোনাল এটাকের মত মনে হতে পারে, কিন্তু আসলে তা নয়। আমি ব্লগের অবস্থা বুঝাতেই লিখছি এটি।

আমার লেখার একটা ধরণ আছে। আমি সাধারণত একটা বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে একটা গল্প বা একটা বিষয় আবতরণা করে তারপর মূল বিষয়টি লিখি। এটাতে যদি কেউ মনযোগ দিয়ে পড়ে, তাহলে তার বিষয় বস্তুর সাথে আমার চিন্তাধারা বুঝতে সমস্যা হবে।

কিন্তু আমি মহা বিপদে পড়ে যাই, মানুষ ঐ ইরাকে হামলা করে লাখ মানুষ মারার খবর না নিয়ে সবাই রিক্সার ফুটো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। উদাহরণ স্বরূপ আমার এইগুলান কোনতর বেয়াদব? লেখাটার মন্তব্য দেখতে পারেন। শুধু এই লেখা না, এই ধরণের প্রায় সব লেখারই এই দশা হয়।

আমি যেটা মূল আলোচনায় এনেছি, সেটা নিয়ে কেউ মন্তব্য করে না, সবাই আগের উদাহরণ বা গল্প নিয়েই মেতে থাকে। এর অর্থ দাড়ায় হয় তিনি পুরা লেখাটি পড়েন নি, অথবা তিনি লেখাটি বুঝেন নি। দুইটা অবস্থাতেই দোষ আমার উপর দেওয়া যায়; আমি হয়ত তাকে লেখার শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারিনি, কিংবা আমি তাকে বোঝাতে পরিনি।

----------------

প্রায়শই ব্লগে আলোচনা হয় "আগে কি সুন্দর ব্লগাইতাম" টাইপের। তাতে ব্লগে শত শত ব্লগারের আনাগোনা, শত শত কমেন্ট, হাজার হাজার ভিউ ইত্যাদি ইত্যাদি আলোচনা হয়। তবে আমি এই বিষয়টিই মিস করি। আগে পাঠক ছিলো। সেই পাঠকেরা মন্তব্য করতো লেখার মূল বিষয়ের উপরে। তাদের আলোচনা-সমালোচনায় লেখাটা উপভোগ্য হয়ে উঠতো।

কিন্তু এখন আর সেটি হয় না। দু একজন ব্লগারের লেখায় গাদি গাদি কমেন্ট পড়ে, কিন্তু মূল আলোচনায় কেউ যায় না। এমনকি যে সকল ব্লগার ঘন ঘন মন্তব্য করেন, তাদের একাধিকবার ধরেছি মূল বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে, কিন্তু তারা ভয়ে এড়িয়ে যান। কয়েকজন তো আর এখন কমেন্টই করেন না। দু একজন আবার তাদের ব্লগে আমার করা মন্তব্যের উত্তর না দিতে পেরে আমাকে ব্লক করে বসে আছেন!

---------------

গতকাল একটা পোষ্ট এসেছিলো একজনের চাকরী জীবনে কষ্টের কথা নিয়ে। উনি তার পোষ্টে কষ্টের কথা বলে শেষে এসে সেই ফকিরাপুলের রিক্সার চাকা ফুঁটো করে দিয়েছেন! সবাই প্রায় দেখলাম সেই ফুঁটো নিয়েই ব্যস্ত। আমি এবং অন্য একজন ব্লগার মূল লেখা নিয়ে মন্তব্য করেছিলাম। ঐ দ্বিতীয় ব্লগার আর একটা মন্তব্য করেছিলেন সেই ফুঁটো নিয়েই। লেখক এসে সেই ফুঁটোর উত্তর দিয়ে গেছেন, কিন্তু আমরা যে মন্তব্য করেছি, তিনি তা সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন!

---------------

আপনি লেখক, পাঠক ও মন্তব্যকারী হিসাবে আপনি কি করবেন, কি লিখবেন সেই অধিকার আপনার একান্তই নিজের। আমি যাষ্ট এটা বলতেই এসেছিলাম যে আমি ব্লগের কি মিস করি। এক বাক্যে বলতে গেলে, "মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা মিস করি"।

আমি খুব ভালো করেই জানি, আমার এই লেখায় তেমন কোন কমেন্ট পড়বে না। না পড়ুক। মাত্র একটা কমেন্ট পড়ুক। কিন্তু সেটা যেন পোষ্টের মূল বিষয় সংলগ্ন হয়, সেটাই কামনা।

হ্যাপি ব্লগিং।

Photo by Nick Bolton on Unsplash
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:৪৩
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×