কয়েক বছর আগের ঘটনা। শহরের ধন্যাঢ ব্যবসায়ী রশীদ চৌধুরীকে তার পড়ার ঘরে মৃত অবস্হায় পাওয়া যায়। তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলির চিন্হ আছে।
পুলিশ ঘটনস্থলে পৌছলে তার ব্যক্তিগত বাটলার বাড়ীর সদর দরজা খুলে দেয়। সে পুলিশকে রশীদ সাহেবের পড়ার ঘরে নিয়ে যায়।
রশিদ সাহেব চেয়ারে বসা, মাথা টেবিলে ঠেকানো, মাথার খুলি ভেঙ্গে গেছে, সারা টেবিলে রক্ত।
তার ডান হাতে একটা পস্তল ধরা , বা হাতে একটা টেপ রেকডার।
আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার পরে পিস্তল এবং টের রেকডারে রশীদ চৌধুরীর আঙ্গলের ছাপই পাওয়া গেলো।
পুলিশ অফিসার নিও টেপ রেকডারের প্লে বোতামে চাপ দিল এবং রশীদ চৌধুরীর কন্ঠে শুনতে পেলো।
'' আমি রশীদ চৌধুরী, আমি আমার একাকী জীবনে হাপিয়ে উঠেছি। জীবনে অনেক কিছু দেখেছি, এখন আর চাইবার কিছু নাই। আমি এই পৃথিবি থেকে বিদায় নেবো বলে ঠিক করেছি। সবার কাছে অনুরোধ আমাকে ক্ষমা করবেন। ঈস্বর আমায় ক্ষমা করুন।''
কয়েক সেকেন্ড পরেই একটি পিস্তলের গুলির শব্দ......
এই রেকডিং শোনার সাথে সাথেই নিও বুঝতে পারলো এটা হত্যা নাকি আত্বহত্য।
ধাধা নং ০৪) রিওতার ডাইরী:- ( একটু খেয়াল করলেই সিয়াকা কে বাচাতে পারতাম)
রিওতার ডাইরী থেকে>>>
আমি হয়তো একটু খেয়াল করলেই সিয়াকা কে বাচাতে পারতাম।.. এই ভাবনাটা এখনো আমার মনে ভাসে..
ছোট বেলায় আমি খুবই দুরন্ত ছিলাম, আমার বয়স যখন ১২ বছর তখন একবার ফুটবল খেলতে গিয়ে পা ভেঙ্গে যায় আমাকে কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিলো। হাসপাতালে আমার সাথে রুমে আরো ৩জন ছিলো। একজন বৃদ্ধা যার চুল সবই পাকা ছিলো। একজন বৃদ্ধ যার চোখে অনেক পাওয়ারের চশমা ছিলো এবং একটি বালিকা, আমারই বয়সী হবে।
সারাদিন খুবই বোরিং লাগছিলো একা একা ভালো লাগছিলো না। কিন্তু দুপুরে যখন মা এলো তখন তিনি আমার গেম বয়টি নিয়ে এসেছিলো। তিনি যাবার পরে আমি খেল ছিলাম। আমার অপর পাশের মেয়েটি খুবই দূব`ল এবং রুগ্ন মনে হলো, তার চোখের নিচে কালি পরেছিলো, দেখতে ফেকাসে লাগছিলো।
বিকেলে তার মা তাকে দেখতে এলো কিছু খাবার এবং সুপ নিয়ে। আমি নাস` দের কথা থেকে বুঝতে পারলাম যে মেয়েটির কি হয়েছে তা ডাক্তারাও ধরতে পারছেনা। তারা এখনো টেস্ট করছে তার রোগ ধরার জন্য।
আমি গেম খেলছিলাম এক সময় খেয়াল করলাম সে আমার গেম বয়ের দিয়ে তাকাচ্ছিলো বার বার। আমি ওর দিকে তাকালে মনে হলো লজ্জা পেলো এবং মুখ ঘুরিয়ে নিলো অন্য দিকে।
আমি তাকে বললাম তুমি খেলবে? যদি ইচ্ছা করে তবে খেলতে পারো। তার চোখে খুশির ঝলক দেখতে পেলাম। সে বললো..ঠিক আছে.. আমি বললাম আমার নাম রিওতা...সে বললো তার নাম সিয়াকা...
আমার পায়ে বেন্ডেজ তাই চলতে পারিনা তাই তার দিকে আমার গেম বয়টি ছুড়ে দিলাম...ও লুফে নিলো... সে খুব একটা গেম বয় লেখেনি তাই ভাল পারেনা। আমি তাকে শেখালাম... কয়েক দিনে তার সাথে আমার বেশ ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গেলো।
কয়েক দিন পরে ডাক্তার আমাকে বাড়ী যাবার অনুমুতি দিলেন আমি বাড়ী চলে আসলাম...সিয়াকা খুবই মন খারাপ হলো। আমি সিয়াকাকে বলে আসলাম আমি আবার হাটতে শুরু করলে তোমাকে দেখতে আসবো।
১ সপ্তাহ পরে আমি যখন ক্রাচে ভর দিয়ে চলতে শুরু করলাম তখন মা কে বলাম যে সিয়াকাকে দেখতে যাবো। আমারও ডাক্তারের সাথে দেখা কথা আছে।
আমি যখন ঐ রুমে গেলাম তখন ঐ রুমে মহিলা এবং পুরুষটি আছে কিন্তু সিয়াকা নেই। এমনকি তার নামটাও দরজাতে নেই।
আমি নাসে`র টেবিলে গেলাম জিঙ্গাসা করলাম সিয়াকা কোথায়.... নাস` চুপ হয়ে গেলো এবং বললো সিয়াকা অন্য দেশে গেছে। আমি ছোটো ছিলাম কিন্তু বুঝতে পারলাম যে সিয়াকা আর নেই। নাস` না বললেও আমি বুঝতে পারলাম যে সিয়াকা মারা গেছে... নাস` বললো যে এটা সিয়াকা তোমাকে দিতে বলেছে... নাস` আমার সেই গেম বয়টি আমাকে দিলো।
আমি বাড়ী ফিরে আসলাম কিন্তু কিছুই ভাল লাগছিলো না। রাতে ঘুমাতে যাবার পরে আমি গেম বয়টি চালু করলাম... সেটা দেখে সিয়াকার কথা মনে পড়ছিলো আরো বেশি।
আমি সেফ করা সেই গেমটি অপেন করলাম যেটা দুজনে খেলেছিলাম...। একটু পরেই আমি বুঝতে পারলাম যে গেমের খেলোয়ারের নাম গুলি পরিবত`ন করা হয়েছে...
২৪ ঘন্টা পরে, সবার মন্তব্য প্রকাশ করবো , এবং উত্তর দেবো। তাতে সবাই নিজে থেকেই উত্তর দিতে পারে। নাহলে প্রথমেই উত্তর দিয়ে দিলে মজা কমে যায়।
(-- ইংরেজী গল্প ধাধা অবলম্বনে)
প্রথম ধাধা>> Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬