শেখ জায়েদ গ্রান্ড মসজিদ বিশ্বের ৮ নং বড় মসজিদ। আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীতে অবস্থিত। এখানে জনসাধারনের জন্য ইফতারীর ব্যবস্থা করাহয়।
১৫-৩০ হাজার মানুষের ইফতারী একটা ইলাহি কান্ড... ইফতারীর প্রস্তুতির উপরে একটা ভিডিও
গত সপ্তায় আমারও ইফতারীর জন্য গিয়েছিলাম। দুবাই থেকে যেতে আমাদের ২ ঘন্টার মতন লাগে... তাই আমরা ৪.২৫শে রওনা হয়ে ৬.৩০এর দিকে পৌছালাম। কাছে গিয়ে দেখি গেটে গাড়ীর লম্বা লাইন। পাকি`ং করে তাবুর দিতে যাবার সময় দেখলাম খোলা মাঠেও ইফতারী সাজানো আছে কিন্তু সেখানের মানুষ সবাইকে তাবুর দিতে যেতে ইসারা করছে। আমরাও গেলাম।
সকল স্তরের মানুষই এসেছে ইফতারীতে... স্থানীয়রাও এসেছে পরিবার নিয়ে এবং আমাদের মতন অনেকেই এসেছে। তাবুর কাছে যেতেই সমস্যা হলো নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্তা তার মানে আমরা একসাথে বসতে পারবো না। আর যদি আমি আমার মেয়েকে নেই তবে আমি তাবুতে যেতে পারবো কিন্তু আমার বন্ধুকে বাইরে বসতে হবে... তাই ডানা কে মায়ের কাছে দিয়ে আমি আর আমার বন্ধু বাইরে বসলাম। আমিরাতের রেড ক্রিসেন্টে এই ইফতারের দায়ীত্বে আছে।
* ব্যবস্তাপনা খুবই গোছানো, সপ্তাহের শুক্রবারে প্রায় ২০-২৫ হাজার লোক আসে, অন্যদিনে ১০-১৫হাজার লোক আছে।
* সবাই আসার আগেই সবকিছু গোছানো শেষ। ( বাইরে কাপেট` পেতে, সব প্যাকেট রেখে সব প্রস্তুত করে রাখা আছে)
* কয়েকটা এম্বুলেন্স আছে, পরিস্কারের জন্য দলও পস্তুত, শেষে ময়লা পরিস্কারের গাড়ী এসে সব কিছুই খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সব খালি প্যাকেট নিয়ে যাবে।
* যদিও ইফতারীর ৫ মিনিট পরেই জামাত শুরু হয় যার ফলে বেশির ভাগ মানুষই মুসজিদে নামাজ পড়তে পারেনা। অনেকেই ইফতারীর স্থানেই নামাজ পরে এবং অনেকেই জামাতে নামাজ পরেছে।
নামাজের পরে অনেকেই মসজিদ দেখতে ভেতরে গিয়েছে।
আমরাও গেলাম, আমার স্ত্রী এবং ডানা এই প্রথমবার এসেছে।
আমি গতবারের কিছু ছবি দিলাম ( ২০১২) মসজিদের ভেতরের ছবি, ১৯৯৬ সালে কাজ শুরু করে ২০০৭এ কাজ শেষ হয়। মসজিদ দেখলে বোঝা যায় যে বাজেট কোন সমস্যা ছিলো না। ২ বিলিওন দিরহাম মানে 43875745536.00 টাকা চার হাজার তিনশত সাতাশি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
সুত্র:-
https://en.wikipedia.org/wiki/Sheikh_Zayed_Mosque
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৫