নদী পথে দেশের এক প্রা্ন্ত থেকে অন্য প্রান্ত সংযোগ স্থাপনের জন্য সেতু গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। একটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সেতু ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। সে জন্য প্রয়োজনের তাগিদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য সেতু। সেতুর র্দৈঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা কিংবা অবকাঠামোগত আঙ্গিক বিচারের একটা সেতু অন্য সেতুকে ছাড়িয়ে গেছে সবসময় । আজ আপনাদের নিয়ে যাবো বিশ্বের এগারতম ও দক্ষিন এশিয়ার ৬ষ্ঠ তম র্দীঘ সেতুর কাছে।
নদীর কুলে ঢলে পড়া আকাশের রঙের বর্ণছটার এমন বর্ণিল মুর্হূত কতখানি উপভোগ্য সময়ের সাক্ষী না হয়ে বুঝা কঠিন !
মূল সেতুর প্রবেশ পথে হাতের বাম পাশে বিস্তৃর্ণ সবুঝে ঘেরা উন্মুক্ত জায়গা। চাইলে দলবল নিয়ে বনভোজন ও করতে পারেন সেতুন নিকটর্বতী এই জায়গায় আর উপভোগ করতে পারেন একপাশ থেকে সেতুন ভিন্ন রাকম সৌন্দর্য্য।
সবুঝের সুন্দর দেখতে হলে যেতে হবে দিনের বেলায় আর যদি ইট-পাথরের সৌন্দর্য্য দেখতে চান তবে যেতে হবে রাতে বেলায়। তাইতো অন্ধকারে বাহারি আলোতে যমুনা সেতু হয় যুবতী নারীর মতো আকর্ষনীয় !
সেতুর নিকটে রেল স্টেশন
⌂ যমুনা সেতু যেকারনে বাঁকানো
■ সেতু বাকানোর প্রধান কারণগুলো হলো:
কাঠামোতে ৩ ধরনের লোড কাজ করে-
১ কাঠামোর নিজস্বলোড
২ যানবাহনের ওজন
৩ ইনভায়রমেন্টাল (পারিপাশ্বিক লোড)।
ক) এখানে যানবাহন পার হওয়ার সময় ব্রিজের ওপর এক প্রকার কম্পনজনিত লোড ও বেগের গতি জনিত কম্পন উৎপন্ন হয়। সেতুটি যদি সোজা হতো তাহলে আনেক আগেই সেটি ভেঙ্গেযেতো।
খ) সেতুটির মোমেন্ট ঠিক রাখার জন্য, ও অধিক পরিমাণে শিয়ার প্রতিরোধ করার জন্য মাধখানে ধনুকের ন্যায় বাকানো হয়।
এর ফলে বন্যার সময় পানির অধিক চাপেও পিলার গুলো সেতুর কাঠামোতে ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
গ) পানির নিচে মাটির চাপ সব জায়গাতে সমান থাকেনা, সেই দিকটা বিবেচনা করা হয়।
ঘ) যদি কখনো সেতুর কোন অংশ ভেঙ্গেযায় তাহলে সেটা দুর থেকে দেখা যাবে. এর ফলে অনেক বড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
ঙ) যান বাহনের লোডগুলো সঠিক ভাবে প্রতিটা পিলারে আরোপিত হয়।
চ) এখানে সৌন্দয্য বড় কথা না, এবং সেতুকে বেশিদিন টিকে থাকতে হলে সেতু বাকা করতে হবে। আর সেই জন্য রড় সিমেন্ট বেলি লাগলেও কোন কিছু করার নেই।
সেতুটিকে স্রোতের বিপরীতে অধিক চাপ (স্রোতের) সহনশীল এবং
বড় মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল করে গড়ে তোলার জন্য।
□ এছাড়াও সাধারণ সেন্সে আরও কিছু কারণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন জোর সম্ভাবনা রয়েছে যে….
দু’পাড়ের একই স্থানে সেতুটির সাথে মূল সড়কের সংযোগ-রাস্তা তৈরির জন্য উপযুক্ত গঠনবিশিষ্ট মাটি পাওয়া যায়নি।
উভয়পাড়ে মূলসড়ক (যে সড়কের সাথে সেতু সংযুক্ত হবে) একই সরলরেখায় নয়।
এছাড়াও সেতু টা সোজা হলে সিরাজগঞ্জের ঐ দিক থেকে সূর্যের (সূর্যাস্ত) আলো আসবে বিকাল বেলা আর তা চালকদের চোখে সরাসরিভাবে পড়বে ফলে দূর্ঘটনা ঘটবে। সকাল বেলা টাঙ্গাইলের এ দিক থেকে সূর্যের (সূর্যোদয়) আলো পড়বে চালকদের চোখে সরাসরিভাবে ফলে দূর্ঘটনা ঘটবে। তাই বাকাঁ করে বানানো হয়েছে।
যমুনা সেতু বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু
সেতুর প্রবেশ মুখে টোল প্লাজা।
দীর্ঘতম সেতুতে বাইক চালানো কতটা নিরাপদ ! কেননা অন্য বড় যানবাহন গুলো তুলনামুলক বেশ গতি নিয়ে সেতু অতিক্রম করে।
সেতুর শেষ প্রান্তের সবুঝ বনায়ন
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৮