নি:সন্দেহে কোলবালিশ মানবকল্যানে বিজ্ঞানের এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার ,অথচ এই কোলবালিশের আবিষ্কারক এর নাম আমরা কেউ ই প্রায় জানিনা ....!
এর আবিষ্কারকের নাম জানেন ...,,,???
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ...!
ঘটনা তাহলে খুলে বলি ...
তখন রবীন্দ্রনাথ লাস্ট বেঞ্চের কৃতি ছাত্র ছিলেন ...ডজন খানেক প্রেম করিয়া ছ্যাকা খাইয়া কলিকাতা হারবালে নিয়মিত যাতায়াত করিতেন ...
একদিন হটাত করিয়া ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে তাহার দিকে চোখ টিপে বাকা হাসি দেন ..আর কি ...খাপের খাপ ময়নার বাপ ..
তিনি ঠাস করিয়া তাহার প্রেমে পরিয়া কয়েক হাজার গান আর কবিতা লিখিয়া বসেন ..
পড়াশুনা গোল্লায় যাইতে থাকে ..
ছেলের এহেন অবনতি দেখিয়া বাবা মা অনেক শাসন করিলেন ...কিন্তু যেই লাউ সেই কদু ..
একদিন রবীন্দ্রনাথ দেখিলেন বাড়ির সবাই সাজু গুজু করিয়া বিয়ের দাওয়াত খাইতে যাইতেছে..তিনিও লুঙ্গিখানা কাছা মারিয়া তাহাদের সাথে রওয়ানা হইলেন ...
বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কন্যা দেখিয়া তাহার মাথা ঘুরিয়া গেল ...
সেই মৃগনয়নি যাহার জন্য এত্ত এত্ত গান আর কবিতা....!
তিনি আর সহ্য করিতে পারিলেন না ..দ্রুত ৪ পুটলা গাঞ্জা আর কল্কি লইয়া স্মশান ঘাটের শিমুল গাছের নিচে বসিয়া গাঞ্জায় দম দিতে লাগিলেন ...!!
এইদিকে তখন শিমুল ফুলের সিজন তুলা আর ফুল দিয়া ভর্তি ...তিনি ইহার সৌন্দর্যে অভিভূত হইয়া দ্রুত একটা বস্তা সংগ্রহ করিয়া তাহাতে ফুল আর তুলা ভরিয়া ...পাশে রাখিয়া গাঁজার নেশায় ঘুমাইয়া পরিলেন ..ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া সপ্ন দেখিলেন তাহার সেই সপ্ন কন্যা কে জড়াইয়া ধরিয়া বাসর রাত উদযাপন করিতেছেন ....
সকাল বেলায় কাকের ডাক আর গায়ের উপর কাকের বিষ্ঠায় তাহার ঘুম ভাঙ্গিল ...
তিনি দেখিলেন তিনি তুলার বস্তা জড়াইয়া আছেন ..এইজন্যই রাইতে বেলায় এত আরাম অনুভব করিয়াছেন ..এইদিকে তাহার লুঙ্গির অবস্থা খারাপ দেখিয়া দ্রুত পাশের পাগারে ঝাপ দিয়া স্নান করিয়া দ্রুত দর্জির দোকানের উদ্দেশে রওনা হইলেন ..তাহার ফর্মুলা মোতাবেক ..প্রস্তুত হইলো ব্যাচেলর দের প্রাণ. ..আধুনিক কোলবালিশ...!
অত:পর রবীন্দ্রনাথ পড়াশোনায় মন দিলেন ..তাহার পিতা মাতা বরই খুশি হইলেন..এই খুশিতে তাহাকে জীবন্ত কোলবালিশ উপহার দিলেন মানে বিয়া করাইয়া দিলেন....
এইভাবেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোলবালিশ নামের মানব সভ্যতার যুগান্তকারী বস্তুর সাথে ইতিহাসে ঠাই করে নিলেন ...
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫