নেপালের ভুমিকম্পের ঘটনার পর থেকেই মনটা খারাপ। কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না, কিচ্ছু করতে ইচ্ছে করে না। শুধু মনে হয়, কি হবে করে? মুহূর্তেই তো সাজানো ঘর, সাজানো স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। কিসের জন্য করব, যদি বেঁচেই না থাকি?
আজ দুপুরে ক্যাম্পাসেই ছিলাম। একদল শিক্ষার্থী কাছে এলো, ওদের সবার কাঁধে অ্যাপ্রন ঝুলানো। বুঝতে পারলাম, এঁরা মেডিক্যালের ছাত্র, ক্লাস বাং দিয়ে এসেছে। ওদের একজনের হাতে একটা কাগজের বাক্স, তাতে লেখা- "নেপালের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের জন্য সাহায্য চাই'। কথা বলে জানতে পারলাম, ওরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। এসেই বললো, "দাদা, নেপালের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের জন্য সাহায্য চাইতে এসেছি। কিছু দেবেন?"
সত্যি বলতে কি, এইতো গত পরশুই আমি বাংলাদেশ সরকার এবং সাধারণ মানুষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেছি, নেপাল আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, আমাদের উচিৎ ওদের এই বিপদের সময়ে ওদের পাশে দাঁড়ানো। এই মুহূর্তে এই ছাত্রদের উদ্যোগ আমাকে অভিভূত করলো, করলো আনন্দিত। তবু, বাংলাদেশে এমন অনেকেই সাহায্য চাওয়ার কথা বলে টাকা নেয়, কিন্তু টাকাটা আসলে কতটা আসল জায়গায় পৌঁছায়, সেটা নিয়ে অনেকসময় সন্দেহ থেকে যায়। আমি জানতে চাইলাম, "সাহায্যটা নেপালীদের কাছে পৌঁছে দেবে কি করে?" বাক্স-হাতে ছেলেটা কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর জানালো, "নেপালী অ্যাম্বেসির মাধ্যমে পাঠাব।"
এবার আমি নিশ্চিত হলাম যে টাকাটা সঠিক জায়গাতেই যাচ্ছে। ছেলেগুলোর চেহাড়াতেও কেমন একটা সততার ছবি ফুটে উঠেছে। আমি সাধ্যমত অল্প কিছু টাকা বাক্সে দিলাম। ছেলেটা বিনয়ের সাথে ধন্যবাদ জানালো। আরেকটু ভালো করে লক্ষ্য করে আমি নিশ্চিত হলাম, ছেলেগুলো নিজেরাই নেপালী, এখানে পড়তে এসেছে। অথচ কথা বলার সময় শুধু 'স' এর উচ্চারণ 'ছ' ছাড়া বাঙালি আর ওদের উচ্চারণে আর কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া গেলো না! এমনই সুন্দর ওদের বাংলা উচ্চারণ। আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সেই থেকে ওদের জন্য খারাপ লাগছে। ওদের আত্মীয়-স্বজনেরা কে কোন অবস্থায় আছে কে জানে? হয়তো চাইলেও দেশে ফিরে যেতে পারছে না এখন ক্লাস ফেলে। ততক্ষণে ওরা অনেক দূরে চলে গেছে, আর ডাকতে ইচ্ছা হলো না। নাহলে, কাছে ডেকে বুকে জড়িয়ে বলতাম, "চিন্তা করো না ভাই, সব ঠিক হয়ে যাবে।"
আলোচিত ব্লগ
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন