পুলিশের মহাপরিদর্শক যখন অপরাধীর পক্ষাবলম্বন করে তখন সাধারণ জনগণ নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার কোন অবকাশ নেই,উনাদের কারনেই পুলিশ আজ বেপরোয়া ঠেকবাজি চাঁদাবাজি করে যার ভাগ উনারাও পেয়ে থাকেন। উনাদের নৈতিকতা অত্যন্ত দুর্বল বলেই ঠেকবাজ পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজিতে সবল।
সম্প্রতি,পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে তল্লাশি করতে চাইলে তিনি তল্লাশি করতে না দিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। কোনো ব্যক্তি যদি পুলিশের কাজে বাধা দেন সেটা ফৌজদারি অপরাধ হয়। তিনি আরো বলেন মানবাধিকার সংস্থা নয় পুলিশ মানবাধিকার রক্ষা করে ।
প্রশ্নহচ্ছে,রাব্বী সাহেব একজন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং সে আইডি কার্ডও দেখিয়েছে,কোন আ্ইনে পুলিশ নিরীহ মানুষকে ধরে মারধর করে?পুলিশের কাজ সে অপরাধী হলে তাকে আদালতে হাজির করা, বিচার করবে আদালত, মারধর করা না, জনাব আইজিপিএসআই মাসুদ যে রাব্বীকে ক্রসফায়ারে দিতে চেয়েছিল তার কি হবে?
এছাড়া,বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সদস্য তল্লাশির নামে চাঁদাবাজি করে ইয়াবা,ফেন্সিডিল দিয়া চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে এত নতুন কিছু না।
কিছুদিন আগে গৃহবধু নির্যাতনের মামলা নেয়নি বলে মামলা নেয়ার জন্য সরাসরি একটি টকশো থেকে ঐ অনুষ্ঠানের অথিতি ওসিকে ফোনে মামলা নেওয়ার আকুতির পরও লাইভ ফোনালাপে ওসির তর্ক দেখে রীতিমত অবাক হয়ে ফেবুতে লিখেছিলাম এদেশের মানুষগুলো কি তাহলে আজ পুলিশ আর সরকারের কাছে এতটাই করুন অসহায় নিরীহ হয়ে পড়েছে ।
আইজি সাহেবর মানবাধিকার রক্ষার কথা প্রসঙ্গে বলছি জনাব আইজিপি সাহেব বর্তমান বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির পঙ্গুত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে!বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এ রকম অনেক অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে চলেছে প্রতিদিন।কিন্তু উত্তর নেই। উত্তর দেওয়ার মালিক যাঁরা, আসলেই বলবার মতো কোনো উত্তর তাঁদের আছে বলে মনে হয় না।
"বর্তমান আইন হল রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীর নিজস্ব সম্পদ আর সেই আইন জনরক্ষায় নয় জনগণ নির্যাতিত করতে ব্যাবহ্রত হয় ”
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৯