বিগত দিনের সকল পরাজয়, হাহাকার, গ্লানি, সমালোচনা অদম্য শক্তিতে রুপান্তর হয়ে ধরা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কাছে। আর তাই ২০১৫ সালে এসে বাংলাদেশ যেন ক্রিকেট বিশ্বের এক উদীয়মান ও অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিনত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় অসাধারণ পেশাদারি মনোভাব প্রদর্শন করে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে পর পর দুই ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে পরাজিত করে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে র্যািঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দলের বিপক্ষে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত হওয়াটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। যার ফলে পাকিস্থানকে সরিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার টিকিট নিশ্চিত করার পাশাপাশি ওয়ানডেতে নিজেদের র্যাং কিং এ উন্নতি ঘটালো বাংলাদেশ। এই ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমেই অর্জিত হলো বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম এক মাইল ফলক।
ভারত টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রোহিত শর্মাকে আউট করে মুস্তাফিজ বুঝিয়ে দেন আজকে দিনটাও যেন তার। তারপর বাকিটা তো ইতিহাস। ভারত ইনিংসের ৪৪তম ওভারে বৃষ্টি নামলে প্রায় দুই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। আবার খেলা শুরু হলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪৭ ওভারে। কিন্তু ৪৫ ওভারে ২০০ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য এক রান কমে দাঁড়ায় ২০০ রান। ৩৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে অনায়াসে এই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, দেশের মাটিতে ওয়ানডেতে এটি মাশরাফি বিন মুর্তজাদের টানা দশম জয়।
এই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের জন্য টাইগারদেরকে আমরা সামহোয়্যারইন ব্লগের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আশা করি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আগামীতেও বিজয়ের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ .espncricinfo.com
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৪