আজকাল নতুন এক ধরণের সহিংসতা দিন দিন বেড়েই চলছে তা হলো পুরুষাঙ্গ কর্তন। প্রায় প্রতিদিনই ভয়ঙ্কর এই সহিংসতা দেখতে পাই পত্রিকায়। এ ধরণের সহিংসতায় কেউ কেউ খুশী হলেও ব্যক্তিগতভাবে আমি আঁতকে উঠি। কোথায় যেন এক ধরণের কষ্ট ও আতঙ্ক অনুভব করি।
গতকালকে একটি সংবাদ পেলাম, খুলনার নূপুর বালা তার স্বামীর লিঙ্গটি কেটে ফেলেছেন। স্বামীর অপরাধ সে পরকীয়ায় জড়িয়েছে। স্বামীর উপর প্রতিশোধ নেবার জন্য একেবারে গোঁড়া থেকেই মুসলমানি দিয়ে ফেলেছে ঘুমন্ত নিষ্পাপ অবলা মিহির বালাকে। নূপুর নিজেই পরকীয়া করে মধুর প্রতিশোধ নিতে পারতো। অথবা এই রকম স্বামীকে ছেড়ে দিতে পারতো, কিন্তু সেগুলো না করে সহিংসতার পথ বেছে নিলো সে।
প্রকৃতপক্ষে পরকীয়া দোষের কিছু নয়, একান্ত নিজের সঙ্গী হলো আবদ্ধ কক্ষের দম বন্ধ হাওয়ার মতো অন্যদিকে একান্ত অন্য সঙ্গীরা হলো দখিণা বাতাসের মতো যা আন্দোলিত করে সমস্ত শরীর ও মনকে। আবদ্ধ হাওয়া খেতে খেতে মাঝের মধ্যে একটু দখিণা হাওয়া খারাপ কিছু নয়। তবে এই সুযোগ তো সবার পাওয়া সম্ভব নয়, যারা ঠিক মতো এই সুযোগের সদব্যবহার করতে পারে তারাই জানে ইহা কতো বড় সুবর্ণ সুযোগ। তবে যারা আবদ্ধ হাওয়ার মধ্যে থাকতে থাকতে অভ্যাস্ত হয়ে যায় তাদের কথা ভিন্ন। বেশীরভাগ মানুষই কিন্তু নিরাপদে দখিণা হাওয়া খেতে চায়, উপরের কথা গুলো নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্যই প্রযোজ্য।
যদি ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয়, তাহলে পুরুষাঙ্গ কাঁটার সর্বোচ্চ শাস্তি কেন মৃত্যুদণ্ড হবে না? কিন্তু আপসোস, এই ব্যপারে ভিক্টিম ও অপরাধকারী দুজনকে নিয়েই হাসিঠাট্টা করে আমাদের সমাজ, আইন ও প্রশাসন। আজ পর্যন্ত আমার জানা মতে, পুরুষাঙ্গ কাঁটার সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে ২ বছরের কারাদণ্ড, এটা ২০১১ সালে হয়েছিলো যা ছিলো হাস্যকর।
পৃথিবীতে নারীর প্রতি সহিংসতার পাশাপাশি পুরুষের প্রতি সহিংসতাও বেড়েই চলছে। উন্নত বিশ্বগুলোতে এই ব্যপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখা হলেও বাংলাদেশে হাসি ঠাট্টাই করা হয়। পুরুষাঙ্গ কাঁটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, এই ধরণের সহিংসতা কখনোই কাম্য নয়।
অবশেষে বলবো এই বিষয়ে আল্লাহ্ কোরআনে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। আপনার স্ত্রী যদি আপনার পরকীয়ার জন্য লিঙ্গ কাঁটার হুমকি দেয় তাহলে আপনি কি করবেন তা সূরা নিসার ৬ নম্বর রুকুর ৩৪ নাম্বার আয়াতে রয়েছে। “পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ্ তাদের একের উপরে অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করো। আর যাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যাত্যাগ কর এবং প্রহার কর।”
সুতরং এই ধরণের নারীদের প্রথমে সদুপদেশ তারপর শয্যাত্যাগ এরপর প্রহার এমনকি পরিত্যাগ করাও শ্রেয়। মনে রাখবেন, একজন গেলে আরেকজন পাবেন কিন্তু ঐ টা একবার গেলে আর পাবেন না। বি careফুল।